সময়ের আগেই নিজেকে পাখির ডানায় বসিয়ে ছুটতে হবে দূর থেকে দূরে। বিশে^র সঙ্গে তালমেলাতে কিংবা কর্পোরেট দুনিয়ায় নেতৃত্বর দেয়ার অবারিত সুযোগ কে মিস করতে চায়! দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, অভিজ্ঞতা সবই যেনো এক সুতোয় গাঁথা। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এবার তারুণ্যমুখর বিশ্ববিদ্যালয় চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউ) যাত্রা শুরু করলো একাউন্টিং ক্লাব, সংক্ষেপে সিআইইউএসি।

কেক কেটে আর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্প্রতি যাত্রা শুরু কওে ক্লাবটি। নগরীর জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এই উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিআইইউ’র উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, যেকোনো ক্লাব বা সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। সততা ও নিষ্ঠা বজায় রেখে একাউন্টিং ক্লাব দেশের গ-ি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সুনাম বয়ে আনবে এমনটা প্রত্যাশা আমার।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সিআইইউ বিজনেস স্কুলের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আইয়ুব ইসলাম, ডিন ড. মোহাম্মদ নাঈম আবদুল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের, একাউন্টিং ক্লাবের ফ্যাকাল্টি এডভাইজার ও সহযোগী অধ্যাপক ড. ইমন কল্যাণ চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক রাহাত বারী তুহিন, ড. সায়মা সুলতানা, প্রভাষক সাঈদ হাসান, ইফফাত ইশরাত খান, তামান্না জামান ও একাউন্টিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী আমিনুল হক।

অনুষ্ঠানে একাউন্টিং ক্লাবের নতুন সদস্যদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পাশাপাশি আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা, আইডিয়া বাস্তবায়ন, চৌকস ও কর্মঠ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে সব সদস্যদের হাতে বিতরণ করা হয় সনদ। অনুষ্ঠানে মেধা যাচাইয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ছিলো কুইজ পর্ব। কৃতি ছাত্রী আফসানা ফাইরুজের প্রাণবন্ত উপস্থাপনা হলভর্তি দর্শকদের নজর কাড়ে।

জানতে চাইলে সিআইইউর একাউন্টিং ক্লাবের ফ্যাকাল্টি এডভাইজার ড. ইমন কল্যাণ চৌধুরী বলেন, পড়ালেখা শেষ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার বাজারে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় হয়। হিসেব-নিকেশ, বিপণন প্রক্রিয়া, ব্যবসা পরিচালনাসহ উদ্যোক্তার বাজারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হয়। এই ক্লাবটি তাদেরকে এগিয়ে যেতে সব ধরণের সহযোগিতা করবে। আগামীতে বড় ধরণের কর্মসূচির মাধ্যমে সিআইইউ একাউন্টিং ক্লাবের পরিসর আরো বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।-বিজ্ঞপ্তি।

পূর্বকোণ/রাশেদ