চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জেএসসির ফলপ্রকাশ : পাশের হার অপরিবর্তিত

জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ | ১:২৫ অপরাহ্ণ

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এ পরীক্ষায় এ বছর পাসের হার ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ। গত বছর যা ছিল ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এবছর পাশের হার সামান্য বেড়েছে। কিন্তু এ বছর কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৩১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৩১৫। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ১৩৫ জনের। সেই হিসেবে এবার জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বড় ধস নেমেছে। পূর্বে অষ্টমের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়ের নম্বর ধরেই ফলাফল হিসাব করা হলেও মূল্যায়ন পদ্ধতির ধারাবাহিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এবার তা না করায় কারণেই জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রামে বোর্ডের জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের সার্বিক দিক তুলে ধরেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। তিনি বলেন, ‘এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ হাজার ২৪০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ২ হাজার ৪৫৫ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ১২ হাজার ৭২০ জন এবং ছাত্র ৮৯ হাজার ৭৩৫ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৮ জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এ বছর ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং ছাত্রী পাসের হার ৮০ দশমিক ৯২ শতাংশ।’
তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীসহ অন্যান্য জেলার পাশের হার গত বছরের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকলেও তুলনামূলক বেড়েছে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে। এর মধ্যে এ বছরের খাগড়াছড়িতে পাশের হার ৭৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৬৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। এছাড়া বান্দরবান জেলার এ বছর জেএসসিতে পাশের হার ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ, গত বছরে যা ছিল ৭৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ বছর শূন্য পাশের হারের স্কুলের সংখ্যা ১টি। এছাড়া শতভাগ পাশের হারের স্কুলের সংখ্যা ৮৯টি। বিষয়ভিত্তিক পাশের ক্ষেত্রে এ বছর গণিতে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০৯টি, গত বছর যা ছিল ২৮৭টি। গণিতে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে ইংরেজিতে। এ বছর ইংরেজিতে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৯৩টি, গত বছর যা ছিল ১৭৭টি।’
কিন্তু পাশের হারে বড় পরির্তন না এলেও এ বছর বড় ধস নেমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে। এ বছর চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। গত বছর এই হার ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ কমার কারণ হিসেবে মোহাম্মদ মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষা হতো ১১টি বিষয়ে। ২০১৭ সালে ৮টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এই বছর মাত্র ৭টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ বিষয়ে নম্বর যোগ হয়নি বলেই জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে। এ বছর যারা জিপিএ-৫ পেয়েছে তারা সব বিষয়েই জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী।’
শিক্ষাবোর্ড থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত ফলে ভুল ত্রুটি থাকলে তা সংশোধনে ৩০ দিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত আবেদন করা যাবে। এছাড়া ২ জানুয়ারী পর্যন্ত মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট