চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সমাপনীতে বৃত্তির সংখ্যা ও অর্থ দ্বিগুণ করার প্রস্তাব

অনলাইন ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১০:৪০ অপরাহ্ণ

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দ্বিগুণ হচ্ছে বৃত্তির সংখ্যা। একই সঙ্গে অর্থের পরিমাণও দ্বিগুণ হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে প্রথম শ্রেণির বৃত্তি (ট্যালেন্টপুল) ও সাধারণ কোটায় ৮২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়। আগামী বছর থেকে এ সংখ্যা বাড়িয়ে এক লাখ ৬৫ হাজার করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে এমন প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।- জাগো নিউজ

সূত্র জানায়, ওই প্রস্তাব গ্রহণ করে চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নতুন বৃত্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সারাদেশে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ কোটায় অর্থাৎ মোট ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে ওই দুই কোটায় বৃত্তি দেয়া হয়। অন্যদিকে, ইবতেদায়িতে সাত হাজার ৫০০ জনকে ট্যালেন্টপুল এবং ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণসহ মোট ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়। এসব শিক্ষার্থীর বৃত্তিবাবদ ট্যালেন্টপুলে মাসিক জনপ্রতি ৩০০ টাকা, সাধারণ বৃত্তিবাবদ মাসিক জনপ্রতি ২২৫ টাকা দেয়া হয়।

ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, এক লাখ ৬৫ হাজার জনের মধ্যে ট্যালেন্টপুল কোটায় ১ লাখ ২০ হাজার এবং সাধারণ কোটায় ৪৫ হাজার জনকে বৃত্তি দেয়া হবে। পাশাপাশি বর্তমানে ট্যালেন্টপুল কোটায় মাসিক ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা ও সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকার বদলে ৪৫০ টাকা দেয়া হবে।

জানা গেছে, সাধারণ কোটায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতি ওয়ার্ডে ছয়জনকে বৃত্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী ও তিনজন ছাত্র থাকবে। এছাড়া ওয়ার্ডপর্যায়ে বৃত্তি দেয়ার পর অবশিষ্ট বৃত্তি থেকে প্রতি উপজেলায় বা থানায় দুজন ছাত্র ও দুজন ছাত্রীকে বৃত্তি দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি বিভাগ থেকে তিনজন করে ২৪ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেয়ার পর চারজনের সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।

নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডে ১২ জনকে বৃত্তি দেয়া হবে। এছাড়া ওয়ার্ডপর্যায়ে প্রতি উপজেলায় বা থানায় চারজন ছাত্র ও চারজন ছাত্রীকে বৃত্তি দেয়া হবে। প্রতি বিভাগে ছয়জন করে ৪৮ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেয়ার পর আটটি সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হবে।

পূর্বকোণ/ এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট