চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে থাকছে না কোনো পরীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক

১৫ মার্চ, ২০২৩ | ৮:১০ অপরাহ্ণ

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলায় তাদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

 

সোমবার এক আদেশে মাউশি জানায়, এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা নেয়া যাবে না। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

 

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী চলছে। তাদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা (টিচার্স গাউড) ও শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসরণ করা। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না।

 

শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে, তা পরে জানিয়ে দেয়া হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপপরিচালক ও আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে।

 

পাশাপাশি বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা দায়ী থাকবেন।

 

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক অংশ হিসেবে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে কোনো ভুল থাকলে বা কোনো বিষয় নিয়ে কারো অস্বস্তি থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।’

 

চলতি বছর এ শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বাস্তবায়ন শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২০২৩ সালে দেশের সব প্রাথমিক স্কুলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, মাধ্যমিকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন ৬০ শতাংশ ও সামষ্টিক মূল্যায়ন ৪০ শতাংশ। বাকি বিষয় জীবন ও জীবিকা, তথ্যপ্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ। তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন