চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

পড়ালেখা হোক কারিগরী শিক্ষায়

বিদ্যুৎ দেব

১৯ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি ২০১৯ ইং সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচ.এস.সি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। যারা এইচ.এস.সি ও সমমান পরীক্ষায় জি.পি.এ ৫ পেয়েছে তাদেরকে অভিনন্দন জানাই আর যাদের কাঙ্খিত ফলাফল আসে নাই তাদের হতাশার কিছু নাই। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচ.এস.সি) ও সমমান পরীক্ষায় মোট শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন, যার মধ্যে পাশ করেছে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ১শত ৬৭ জন যা শতকরা হিসেবে ৭৩.৯৩% অর্থাৎ ১০০ জনে ২৬ জনই অকৃতকার্য হয়েছে। সুতরাং যারা পাশ করেছে কিন্তু জি.পি.এ. কম পেয়েছে, তারা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সফল হতে পারে সহজেই। বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এর ফলে ২০০৮ সালের আগে যেখানে কারিগরি শিক্ষার হার ছিল ৭-৮%, বর্তমানে তা ১৮% উন্নীত হয়েছে। এবং ২০২০ সাল নাগাদ শতকরা হার ২০ এর উপরে যাবে বলে আশা করা যায়। ২০৩০ সালে কারিগরি শিক্ষার হার ৩০% অতিক্রম করার লক্ষ্য নির্ধারিত রয়েছে।

বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠিকে সম্পদে পরিনত করে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিনত করতে কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন সহ সরকারি ও বেসরকারি ভাবে প্রায় ৫০০ এর অধিক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন করেছেন। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর এবং ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরতরা চায়না স্কলারশীপ (বৃত্তি) প্রোগামের মাধ্যমে চায়নায় লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতরা দেশে ও বিদেশে সম্মানের সাথে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। বৈদেশীক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ও এরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন।

চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের স্বনামধন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজ ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর হতেই কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সর্বমোট ৮ টি টেকনোলজি আছে (ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, কম্পিউটার, আর্কিটেকচার, মেকানিক্যাল, অটোমোবাইল, টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস)। আমাদের রয়েছে ১০ তলা নিজস্ব ভবন যা ইয়াকুব ফিউচার পার্ক, খুলশীতে অবস্থিত। এই সুপ্রসস্ত নিজস্ব ভবনে রয়েছে
আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত ২৬ টি ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, কমনরুম, কনফারেন্স রুম এবং ক্যান্টিন। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সি.সি. ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে এ পর্যন্ত ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে সাফল্যের সহিত পাশ করে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে। এ বছর চায়না স্কলারশীপ (বৃত্তি) প্রোগামে আবেদনকারী ১৯ জনের মধ্যে ০৭ জনই চায়নায় অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা যারা এস.এস.সি. পাশ করেছে এবং নূন্যতম জি.পি.এ. ২.০০ পেয়েছে, তারা উল্লেখিত যে কোন একটি টেকনোলজিতে ভর্তি হতে পারবে। এইচ.এস.সি.(বিজ্ঞান) ও এইচ.এস.সি.(ভোকেশনাল) উর্ত্তীর্ণ শিক্ষার্র্থীরা যথাক্রমে ৩য় পর্ব ও ৪র্থ পর্বে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট