পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে চলমান দ্বিতীয় শিফটের সম্মানী ভাতার সমস্যা নিরসনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে দ্বিতীয় শিফটের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে কর্মবিরতির কারণ ব্যাখ্যা করে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ইন্দ্রজিত কুমার সাহা জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষা কার্যক্রমে কোন জনবল বৃদ্ধি করা হয়নি। আমরা সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুসারে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মূল বেতনের ৫০% হারে সম্মানী ভাতা পেয়েছিলাম। কিন্তু গত বছরের জুলাই থেকে দ্বিতীয় শিফটের আদেশ জারির মাধ্যমে তা ২০১৯ স্কেলের মূল বেসিকের ৫০% নির্ধারণ করা হয়। নতুন এই আদেশ অমানবিক। আমরা আর দ্বিতীয় শিফট চাই না।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পলিটেকনিক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/রাশেদ