চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

প্রসঙ্গ চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

চিকিৎসা শ্রমিকের দিনলিপি

ডা. হাসান শহীদুল আলম

২২ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ

কবি আলাওল পদ্মাবতীর রূপের বর্ণনা দিয়েছিলেন এভাবে-
‘পদ্মাবতী রূপ কি কহিমু মহারাজ
তূলনা দিবার নাহি ত্রিভূবন মাঝ
আপাদলম্বিত কেশ কুস্তুরী সৌরভ
মহা অন্ধকারময় দৃষ্টি পরাভব’
এ কথাটি লাইনে আলাওল চিতোরগড়ের রাণী পদ্মাবতীর চুল এবং সিঁথির বর্ণনা দিয়েছেন। পদ্মাবতীর চুল পা পর্যন্ত লম্বা ছিলো। তার চুল এতোটাই কালো ছিলো যে চোখের দৃষ্টি সেখানে পরাজিত হতো। ইতিহাস বলে, সুলতান আলাউদ্দীন খিলজী পদ্মাবতীর সৌন্দর্য্যরে প্রতি আকৃষ্ট হয়ে চিতোরগড়কে আক্রমণ পর্যন্ত করেছিলেন শুধুমাত্র তাকে পাওয়ার জন্যে।
লম্বা চুলের যতœ করার জন্যে প্রথমেই প্রয়োজন চুল পড়া বন্ধ করা। আজকের লেখায় থাকছে চুল পড়া রোগের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে। প্রথমেই লিখছি চুল সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণাসমূহ যেগুলো সমাজে প্রচলিত রয়েছে সঠিক তথ্য না জানার কারণে।
চুল সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণাসমূহ :
ক) পরিচর্যা সসম্পর্কিত : বেশী বেশী শেম্পু করলে চুল পড়ে যায়-সপ্তাহে দু’বার। কালার বা কনডিশানিং-এর কারণে চুল পড়ে। ম্যাসেজিং করে চুলপড়া বন্ধ করা যায়। চুল বেশী আঁচড়ালে মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। বরং দিনে ২ বার-এর বেশী আঁচড়ালে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে চুলে মাখলে চুলের জন্ম হবে। চুল কাটলে চুল ঘন হয়। একটি পাকা চুল ওঠালে দু’টি নতুন চুল গজায়। তেল দিয়ে চুল ঘন হয়। বরং তেল দিয়ে মসৃন রাখলে জট লেগে চুল ছেঁড়ার আশংকা কম থাকে। গরম তেল মালিশ করলে চুল স্বাস্থ্যোম্বল থাকে। বাস্তবে গরম তেল হেয়ার ফলিকেল-এর ক্ষতি করতে পারে।
খ) পোষাক সম্পর্কিত : লম্বা সময় টুপি পড়ে থাকলে চুল পড়া বাড়ে।
গ) আকারগত : লম্বা চুল চুলের গোড়ায় বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে।
ঘ) শরীরগত : চুল একবার পড়ে গেলে সেখানে আর চুল গজানোর সম্ভাবনা নেই।
ঙ) ব্যায়াম সংক্রান্ত : মাথা নীচে পা উপরে দিয়ে ব্যায়াম করলে নতুন চুল গজায়। সত্যিটা হচ্ছে চুল পড়া মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনের উপর নির্ভরশীল নয়।
চ) বংশগত : চুল পড়া মূলতঃ মায়ের বংশ থেকে আসে।
চুলপড়ার শারীরগত কারণসমূহ :
ক) গঠনগত : কোন কারণে চুলের কিউটিকেল নষ্ট হলে চুলের কর্টেক্স-এর আঁশগুলো খুলে যায়। অতঃপর চুলের আগা ফেটে যায়। এতে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে উঠে। তখন চুল পড়তে থাকে। এছাড়া কোন কারণে চুল ফলিকলগুলো ক্রমসংকুচিত হতে থাকে। এই কুঁচকে যাবার দরুন ফলিকেলগুলো স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অনেক ছোট হয়ে যায়। ফলে এখান থেকে গজানো চুলগুলো হয় তুলনামূলভাবে কৃশকায়। এমনি চুলগুলো স্বাভাবিক চুলের চেয়ে তাড়াতাড়ি ঝরে পড়ে।
খ) রোগ সংক্রান্ত : অ্যানড্রোজোনিক অ্যালোপেসিয়া ৮৫ শতাংশ পুরুষের ক্ষেত্রে চুল পড়ার জন্য দায়ী।
(গ) বিকাশ চক্র এবং হরমোনগত ক্রটি : টেলোজেন পর্যায় দীর্ঘতর হলে চুলের ফলিকলে একটি এনজাইম তৈরী হয় যার নাম ফাইভ আলফা রিডাকটেজ। এই এনজাইম রক্তে পরিবাহিত হরমোন টেসটোসটেরন-কে ডাইহাইড্রোটেসটোসটেরন-এ পরিণত করে (ডিএইচটি) ডিএইচটি চুলের গোড়ায় আক্রমণ চালায় এবং চুলকে দূর্বল করে ঝরে পড়তে সাহায্য করে। মহিলাদের শরীরে অ্যারোমাটোজ নামে এক প্রকার এনজাইম তৈরী হয়-যাহা ডিএইচটিকে ইষ্ট্রোজেন-এ পরিণত করে। মহিলাদের মেনোপোজের সময় স্ত্রী-হরমোন-এর পরিমাণ কমে যায় এবং পুরুষ হরমোন বা টেকটোসটেরন-এর আধিক্য দেখা যায়। তখন একই নিয়মে ছেলেদের মতো মেয়েদের চুল পড়তে থাকে।
(ঘ) জীন গত : ‘এ আর’ নামক জীন এক প্রকার অ্যানড্রোজেন রিমেপটর প্রোটিন তৈরীতে ভূমিকা রাখে। এই রিস্পেটরগুলোই ডাইহাইড্রো-টেসটোসটেরন এবং অন্যান্য অ্যানড্রোজেন-এর সাথে যুক্ত হয়ে চুল পড়া ত্বরাম্বিত করে।
অ্যালোপেসিয়া রোগের কারণে চুল পড়া :ক) কারণ : বংশগত
সংজ্ঞা : এই রোগে শরীরের একটি অংশে অথবা সকল এলাকা জুড়ে চুল পড়া সমস্যাটি ঘটে।
প্রকারভেদ : (১) অ্যালোপেসিয়া এরেইটা-চুল পড়ার ফলে মাথার এক বা একাধিক গোল খালি স্থান সৃষ্টি হয় (২) ডিফিউজ অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা-সমগ্র মাথা জুড়ে চুল পড়তে থাকে (৩) অ্যালোপেসিয়া এরেইটা মনোলোকুলারিস-মাথার শুধু একটি মাত্র স্থানে চুল পড়ে টাকের সৃষ্টি হয় (৪) অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা মাল্টিলোকউলারী-মাথার একাধিক জায়গায় ছোট ছোট টাক সৃষ্টি হয় (৫) অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা বার্বেই-চুল পড়া শুধু দাঁড়িতে সীমাবদ্ধ হলে (৬) অ্যালোপেসিয়া টোটালিস-যদি মাথার সব চুল পড়ে যায় (৭) অ্যালোপেসিয়া ইউনি ভার্সালিস-যদি শরীরের সব চুল এমনকি পিউবিক চুল ও হারাতে হয়।
চুল পড়ার বিবিধ কারণ সমূহ :
পরিবেশজনিত : (১) বেশী গরম আবহাওয়া (২) পানি সমস্যা-পানিতে বর্জ্য পদার্থ, কীটনাশক, বিবিধ, রাসায়নিক মিশ্রিত থাকলে।
খ) খাবার জনিত ঃ (১) সুষ্ম খাবার না খাওয়া (২) অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া (৩) ভিটামিন ই এবং ‘বি’-এর অভাব (৪) অতিরিক্ত ডায়েট কনট্রোল করার ফলে হঠাৎ শরীরের ওজন কমে যাওয়া (৫) শরীরে আয়রন এবং জিংক-এর ঘাটতি হলে।
গ) রাসায়নিক : অতিরিক্ত রাসায়নিক হেয়ার প্রডাক্ট্ ও রঞ্জন পদার্থ ব্যবহার করা।
ঘ) শারীরিক অসূস্থতা : থাইরয়েড-এর সমস্যা, রিডমাটয়েড আর্থ্রাইটিস,ডায়াবেটিস, বদহজম, অটোইমিউন ডিজিক, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, পারনিসিয়াস রক্তশূন্যতা, লিভারের রোগ।
ঙ) পরিচর্যাগত : (১) অতিরিক্ত স্টাইলিং (২) মাথায় গরম পানি ব্যবহার করলে মাথা থেকে চুল রক্ষা করার যে তেল বের হয় তা ধুয়ে যায়। ফলে চুল রুক্ষ্ম ও ভঙ্গুর হয়ে ঝরে পড়ে।
চ) বয়স বাড়লে। ছ) মানসিক কারণ : অতি কর্মব্যস্ততা, মানসিক চাপ, দুুঃশ্চিন্তা, অপর্যাপ্ত ঘুম। জ) অভ্যাস: ধূমপান। ঝ) হরমোন-এর ভারসাম্যহীনতা
ঞ) জীনগত :
ট) সংক্রমণ জনিত : মাথায় ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ। ঠ) ওষুধের পাশর্^পতিক্রিয়া : ক্যামোথেরাপি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, বিটাব্লকার, এন্টিডিপ্রেসেন্ট, কিছু এনএসএ আইডি, ইমিউনোসাপ্রেসিভ এজেন্ট, বড় কোন অপারেশনের পর। ক্যামোথেরাপির-এর প্রথম ডোজ দেয়ার দুই-তিন সপ্তাহ পর চুল পড়া শুরু হয় এবং ক্যামো -এর সর্বশেষ ডোজের তিন চার মাস পর পুনরায় চুল গজানো শুরু হয়। ড) চর্মরোগ : খুশকী।
চুল পড়া : প্রতিরোধ:
ক) সঠিক পরিচর্যা : (১) সপ্তাহে দুইদিন শেম্পু দ্বারা চুল পরিষ্কার করতে হবে (২) চুলের গোড়ায় যেন জল না জমে (৩) চুলের গোড়া ঘেমে গেলে তা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ফেলতে হবে (৪) মাথা মোছার জন্য ব্যবহৃত শুকনা গামছা বা তোয়ালে ব্যক্তিগত হতে হবে (৫) প্রতি সপ্তাহে বা দুই সপ্তাহ পর পর নিজের বালিশের কভার ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে (৬) পরিষ্কার চিরুনী বা ব্রাশ দ্বারা চুল আঁচড়াতে হবে, তবে জোরে জোরে নয় (৭) ভেজা চুল আঁচড়ানো, বাঁধা বা বেশী টানাটানি করা উচিত নয় (৮) খুব টেনে চুল বাঁধা উচিত নয় (৯) সেলুনে চুল কাটলে বাসায় গিয়ে শেম্পু করে নেয়া উচিৎ (১০) বৃষ্টিতে মাথা যেন না ভিজে খেয়াল রাখতে হবে (১১) চুল বাঁধতে সবচেয়ে ভালো হলো নরম কাপড় জড়ানো ইলাষ্টিক ব্যা- ব্যবহার করা। চিকস ও সিনথেটিক ইলাষ্টিক চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুল খোলা সময় ইলাষ্টিক ব্যা- ধরে বেশী জোরে টানাটানি করা উচিৎ হবে না। (১২) চিরুনী ও স্টাইলিং টুল্স্, পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিবার-চুল আঁচড়াবার পর চিরুনী ও স্টাইলিং টুল্স্ থেকে ঝরে পড়া চুল পরিষ্কার রাখতে হবে (১৩) চুলকে তাপ থেকে রক্ষা করা চুলে স্ট্রেইটনার, কালার বা অন্য কোন গরম স্টাইলিং টুল্স্ ব্যবসার করার আগে অবশ্যই চুলে হিট প্রটেকটিং স্প্রে এমনভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে যেন তা প্রতিটি চুলে ভালভাবে ছড়ায়। (১৪) প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি করে চুলের আগা ছেটে নেয়া উচিৎ। এতে চুলের আগা ফাটার সম্ভাবনা কমে। (১৫) সঠিক নিয়মে ব্রাশ ব্যবহার-এক সঙ্গে পুরো চুল ব্রাশ না করে চুল কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে অল্প অল্প করে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। (১৬) সঠিকভাবে শুকানো চুল ড্রায়ার বা গরম রোলারের সাহায্যে শুকানো ঠিক নয়। যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক বাতাসে চুল শুকানো উচিৎ। (১৭) সঠিক ম্যাসেজ-প্রতিদিন চুলের গোড়া বা মাথা হালকা হাতে ম্যাসেজ করলে মাথার তালুতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় (১৮) ভেজা চুল নিয়ে ঘুমানো উচিৎ নয় (১৯) চুল ধোয়ার সময় যা মনে রাখবেন : গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন চুল ধোয়া যাবে, কিন্তু শীতকালে প্রতিদিন চুল ধোয়ার প্রয়োজন নেই। প্রতি ধোয়াতে শেম্পু ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ্ম হয়ে যাবে। চুল ধোয়ার সময় স্ক্র্যাব করা উচিৎ নয়। আঙ্গুল দ্বারা ম্যাসেজ করা যাবে। চুলে কুসুম গরম পানি দেয়া যাবে কিন্তু বেশী গরম পানি নয়। কয়েক ধরনের শেম্পু এক সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। চুল ভালভাবে ভিজিয়ে পরিমিত শেম্পু ব্যবহার করতে হবে।
খ) কু অভ্যাস ত্যাগ করা : ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে। ধূমপানের ফলে মাথার ত্বকে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। চুলের বৃদ্ধি কমে যায়।
গ) জৈব পরিচর্যা : (১) মেহেদী ব্যবহার করা (২) নারিকেল তেল, বাদাম তেল, অলিভ অয়েল বা আমলার তেল সপ্তাহে অন্তত : একবার মাথায় ম্যাসেজ করা (৩) পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা-একটি পেঁয়াজ থেকে রস সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেই রস সরাসরি মাথায় লাগিয়ে ম্যাসেজ করতে হবে। ৩০ মিনিট পর শেম্পু করতে হবে। সপ্তাহে দুই-তিন বার এই পদ্মতিতে চুলের পরিচর্যা করতে হবে। পেঁয়াজে থাকা সালফার এবং এন্টিব্যাকটোরিয়াল রাসায়নিক যথাক্রমে চুল ফলিকলে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং সংক্রমণের জন্য দায়ী জীবাণুসমূহ ধবংস করে।
ঘ) পেম্পুর সঠিক ব্যবহার : তৈলাক্ত চুলের জন্য কনডিশনারের মাত্রা কম ও তেলবিহীন শেম্পু এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য কনডিশনার ও তেলের পরিমাণ বেশী আছে এমন শেম্পু বাছাই করতে হবে।
ঙ) রং-এর পরিমিত ব্যবহার : চুলকে তার স্বাভাবিক রং-এর চেয়ে এক বা দুই শেড-এর বেশী রং করা উচিত হবে না।
চ) সুুষম খাদ্য গ্রহণ : ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া-পেয়ারা, লেবু, কাঁচামরিচ, কমলা, আনারস, কমরাংগা। মুরগীর মাংস, ডাল, ডিম, চীনা বাদাম, কাজু বাদাম, রুই জাতীয় মাছ, দই, ছোলা, সোয়াবিন। বাদাম ভাংগার পর যে হালকা আবরন থাকে সেটা ডিএইচটি ইনহিবিটর হিসেবে কাজ করে।
ছ) সুনিদ্রা : পরিমিত ঘুমানো।
জ) কনডিশনারক-এর ব্যবহার : পুলের পানিতে সাঁতার কাটার আগে চুলে সামান্য কনডিশনার লাগানো উচিৎ। এর ফলে পুলের পানিতে মেশানো রাসায়নিক উপাদানসমূহ চুলের বেশী ক্ষতি করতে পারবে না।
ঝ) চুল ঢেকে রাখা : গরমে সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি চুলের জন্য ক্ষতির। তাই তীব্র রোদে ওড়না, স্কার্ফ বা টুপি দ্বারা মাথা ঢেকে রাখতে হবে। ঞ) নিয়মিত হাঁট­া ও ব্যায়াম করা।
চুল পড়া : প্রতিকার
ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া : চুল সম্পর্কিত আপনার পারিবারিক ইতিহাস বিশেষজ্ঞকে জানান। আপনি কোন কোন ওষধ পূর্বে সেবন করেছেন, কি কি প্রসাধনী ব্যবহার করেছেন সবকিছু জানাবেন।
উপসংহার : আপনি চুলপড়া রোগে আক্রান্ত হলে যথাসময়ে ত্বক বিশেষজ্ঞের সাথে সাক্ষাত করে চুল পড়ার প্রকৃত কারণ জেনে নিন এবং প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে পরামর্শ নিন।

ডা. হাসান শহীদুল আলম ডায়াবেটিস এবং চর্ম যৌনরোগে
¯œাতোকোত্তর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসক

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট