চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা

১৯ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার ক্ষেত্রে। শিক্ষিত হওয়ার ফলে দারিদ্রের ছায়াও ছোট হয়ে আসছে। জেএসসি, পিএসসি চালু হওয়ার পর থেকে পরীক্ষা পদ্ধতি মূল্যায়নে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরো সচেতন ও প্রতিযোগী করে তুলেছে। এসএসসির পূর্বে কিন্তু তারা দুটো সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছে।

আজকের দিনে বিবেককে যথাযথ ব্যবহার না করা আবেগকে সংযত করতে না পারলে সমস্যায় পড়ে যায়। যেমন প্রতিবছর একটা বিষয় সবার নজর কেটেছে। ভালো রেজাল্ট করতে না পারলে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়। গেল বছরে এরকম ৯জন সুসাইড করেছে। তা সচেতন মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। তাহলে শিক্ষা তাদের জীবন-তরীর অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ? বিশেষজ্ঞরা বলতে চাইছেন যে, অতি প্রত্যাশা, চাহিদা, লজ্জা, প্রতিশ্রুতি তাদেরকে চিরতরে বিদায় নিতে সহায়তা করেছে। এক্ষেত্রে পিতামাতার উচ্চ চাহিদার প্রতিযোগিতা বাচ্চাকে বিষিয়ে তুলে। সহপাঠী কিংবা বন্ধু-বান্ধবীকে মুখ দেখানোর লজ্জা তার ভিতর কাজ করে। সে তখন নিজেকে মানিয়ে নিতে না পেরে এই পথ বেঁচে নেয়। অনেকে প্রেম জনিত প্রতিশ্রুতির কারণে সম্পর্ক ভেঙ্গে দেয়ার চেয়ে আত্মহত্যা করাকে শ্রেয় মনে করছে। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের দায়ী করা হলেও শিক্ষকদের মানসিক মজবুতি ও প্রেরণা তৈরি করার ক্ষেত্রে সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। একটা লক্ষণীয় বিষয় হলো, অভিভাবকরা সচেতন হওয়ার পাশাপাশি আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। উচ্চ শিক্ষিত কিছু যুবককে দেখা যায় কাঙ্খিত চাকরি না হওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে নিজের জীবনকে অপমৃত্যুর কাতারে নাম লিখছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, একটা বাচ্চা প্লে-শ্রেণিতে পড়ে তার মা তাকে ক্লাসে রেখে যায়। বাচ্চাটি ক্লাসে কান্না করার পর উক্ত ক্লাসের শিক্ষক মাথায় হাত বুলানোর পর কান্না থামে। পরক্ষণে মা আসার সাথে সাথে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে বই খাতা ছুড়ে মারে। এটার মাধ্যমে বুঝাতে চাইছি ভালো গাইড লাইনের সুযোগ থাকলে মানসিক সমন্বয় করা যাবে। অতএব বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সঠিক গাইড লাইন তৈরি করতে হবে।

মো. সাঈদী আলম
শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট