চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বলা না বলার ৪৪ বছর!

মোরশেদ আলম কাদেরী

১৬ মে, ২০১৯ | ২:০৭ পূর্বাহ্ণ

সাল ১৯৭৫, রমজান মাস চলছিলো। ঠিক যেমনটা এখন চলছে। ওইদিন ছিল রোজার ৬ষ্ঠ দিন। আজ থেকে হিসাব করলে ঠিক ৪৪ বছর আগের কথা। আর এই দিনেই আমাদের সবার কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে যায় আমাদের আদরের ছোট ভাই এরশাদ।
এরশাদুল আলম কাদেরী। আমাদের ভাইদের মধ্যে সে ছিলো শাহেদের বড়। দু’জনই খুব আদরের ছিলো সবার। মহান রাব্বুল আলামিনের কি মহিমা আমাদের থেকে সবার আগে তাদেরকেই তাঁর কাছে নিয়ে গেলেন।
তার সম্পর্কে চিন্তা আমাকে এত দু:খিত করে তোলে যে, তখন আমার অশ্রু ধরে রাখা বড় দায়। ১৯৭৫ সালে চন্দনপুরায় ডা, জাফরুল হকের চেম্বার থেকে বাবার রিপোর্ট আনার সময় বাসদুর্ঘটনার শিকার হয়ে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে চলে যায় সে। ওই দিনের স্মৃতি আজও আমাকে তাড়া দেয়।
সেদিন সর্বপ্রথম আমিই দুর্ঘটনার খবর পাই। সবাইকে খবর দেয়া হলো। আব্বা ছিলেন অফিসে আর আম্মা ছিলেন মোহরার বাড়িতে। তাঁরা তখনও কিছু জানতেন না।
বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে আমরা যখন এরশাদকে মোহরার বাড়িতে আনি তখন আমার আম্মার যে কি অবস্থা হয়েছিল ওই স্মৃতি মনে পড়লে আজও কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। আমার বাবা সন্তান হারানোর শোকে কাতর হয়ে কথাবার্তা বলতে পারছিলেন না। সন্তানহারা শোকাতুর মা-বাবার কথা ভুলি নাই আজও। ভুলতে পারবোও না কোনদিন। যেটা আমার সাথে আমার জীবনেও ঘটেছে।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি এরশাদকে যেন আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট