চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ঘৃণ্য পরিত্যাজ্য দাসপ্রথা অবারিত হোক মানবতা

খন রঞ্জন রায়

২ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

মানুষ বিক্রি হতো। তাও আবার হাটবাজারে। যেমন হাটে হাঁক দেয় গরু ছাগলের পাল। গৃহপালিত পশুর যেমন মালিকানা থাকে মানুষেরও তেমন ছিল। মালিকানাধীন মানুষ মনিবের ইচ্ছানুযায়ী নিয়ন্ত্রণ হতো ব্যক্তির জীবনযাত্রা। অধিকার বলে যে শব্দটি মানুষের বেলায় প্রয়োজন তা ছিল কাগুজে কলমে বৈধ মনিবনির্ভর। মানুষে আর পশুতে তফাৎহীন এই সমস্ত লোকগুলিকে আবার পোশাকী নাম দেয়া হতো ‘ক্রীতদাস’।

ক্রীতদাসের জীবন-মরণ-কর্ম-ধর্ম আবর্তিত হতো মালিকের মনোবৃত্তি ও চাহিদার উপর। মানবজাতির কলাঙ্কময় এই অধ্যায় দূর ও নিকট অতীতে জনপ্রিয়তার সাথে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। যদিও অমানবিক এই প্রথার অস্তিত্ব পাওয়া যায় মেসোপটেমিয়াতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে। অন্ধকার যুগ যাকে বলে সেই থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপের অধিকাংশ এলাকায় ছড়িয়েছিল কুর্কীতির এই প্রথা। বিভিন্ন জাতি, সংস্কৃতি, ধর্মবিশ্বাসেও এই অমানবিকতা বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। যুদ্ধে পরাজিত, ধর্মের বৈষম্যে, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, কুসংস্কার দরিদ্রতাকে পুঁজি করে মানুষকে আটক রাখার ফন্দিফিকির করা হতো। এরপর হতো মানুষ বিক্রির নিকৃষ্টতম ভয়াবহ বাণিজ্য। নিরীহ নিরপরাধ মানুষ নিয়ে লোভনীয় এই বাণিজ্য ওলন্দাজ, ফরাসি, স্পেনিশ, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ, আরব, পশ্চিম আফ্রিকার কিছু রাজ্যের লোকেরা সাগর-মহাসাগর ঘিরে দাসবাণিজ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করে। লালন করে দাস মনোবৃত্তির পৈশাচিক এই নেশা। মানব অস্তিত্বকে হুমকিতে ফেলে ঊনিশ শতকের শুরুতে পৃথিবীর প্রায় তিন চতুর্থাংশ লোককেই কোন না কোনভাবে দাসত্বের বেড়াজালে আটক করা হয়। বনেদি সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো এবং গ্রামীণ উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে এই কলঙ্কের তিলক সরাসরি চিহ্নিত হয়। ক্রীতদাসের মধ্য থেকেই তৈরী করা হতো সমাজপতিদের চাহিদানুসারে পেশাজীবী। শারীরীক গঠন কাঠামো, বুদ্ধি, বিবেক, আচার আচরণের উপর নির্ভর করে শ্রেণি বিভাগ করা হতো।

আফ্রিকার হাবশী ও কাফ্রী জাতিগোষ্ঠীকে বাংলার সাহেব সুলতান মোড়লরা ক্রীতদাস হিসাবে বেশ সুখতৃপ্তির সাথে আমদানি করতো বলে ইতিহাস পাওয়া যায়। ১৮৩০ সালেও বাংলার বনেদি ধনী সম্ভ্রান্ত মুসলমানগণ দখলকৃত ইউরোপীয় বণিকগণ কঠোর পরিশ্রমী ও কর্তব্যনিষ্ঠ আফ্রিকান জাতিদের ক্রীতদাস বানানোর ঘৃণ্যতম নির্দশন পাওয়া যায়। তারা সবচেয়ে নির্ভরশীল পেশা খানসামা, পাচক, গায়ক, নাপিত, গৃহপ্রহরী ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য নির্ভরতার সাথে নিয়োগপ্রাপ্ত হতো। তৎকালীন সমাজে শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর বলে শক্তিশালী শ্রেণির লোকেরা উৎপাদনসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য অব্যহত রাখতে ‘ক্রীতদাস’ পেশাকে উৎসাহিত করতো। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলতর শ্রেণির লোকদের দাসে রূপান্তর করতো। অভিজাত শাসকশ্রেণির লোকদের দাসে রূপান্তর করতো। অভিজাত শাসকশ্রেণি তাদের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক পদমর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার তাগিদে দাসপ্রথাকে উস্কে দিত। তারা সুবৃহৎ কর্মী-বাহিনীর আড়ালে ‘ক্রীতদাস’ ক্রয় করে সংখ্যা বাড়াতো। দুর্বলকৃত শ্রেণির মধ্যে দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ, জাত-পাত ভেদাভেদের ফলে গুরুত্বহীন লোকজন দলেদলে ক্রীতদাস প্রথায় বলি হতো।

অভাবগ্রস্থ, নিঃস্ব, অনাথ-এতিম বিধবারা অনেকক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় শেষ গন্তব্য বেঁছে নিত ক্রীতদাসের বাজার। আইনগত পেশাগতভাবে ক্রীতদাস-দাসীরা এবং তাদের সন্তান-সন্ততিরা তাদের মালিকদের সম্পত্তিরূপে পরিগণিত হতো। ক্রয়-বিক্রয় যোগ্য পণ্য বলে মালিকরা উদ্বৃত্ত, অপ্রয়োজনীয় অক্ষম দাস-দাসীদের বাজারে বিক্রি করে দিত। আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর মানুষ কেনা-বেচা গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসাবে আর্বিভাব ঘটে। তখনের সমাজব্যবস্থা ও অর্থনীতি ছিল গার্হস্থ্য ও কৃষিকার্য নির্ভর। স্বভাতই যারা এই কার্য্যে পারদর্শী তাদের চাহিদা অন্যদের থেকে আলাদা। এর মধ্যে আবার জাত-পাতও হিসাব করা হতো। হিন্দু মালিকগণ বাছবিচার করে তাদের জন্য উপযোগী প্রয়োজনীয় কর্মক্ষম দাস-দাসী কিনে নিতেন। গোত্রভেদ প্রবল-প্রকট থাকার ফলে কায়স্থ, গোয়ালা, চাষা, বৈদ্য প্রভৃতি গোত্রকে প্রাধান্য দেয়া হতো। মনে করা হতো তারা পুত-পবিত্র-শুদ্ধ। কৈবর্ত, চ-াল, জোলা-ডোম, তেলি-বাºি, শূদ্র-তাঁতিদের চাহিদা থাকলেও তাদেরকে অশুদ্ধ-অপবিত্র কাতারে ফেলা হতো। মুসলিম পরিবারে কাজ করানো ক্রীতদাসদের কম নিপীড়ন সহ্য করতে হয়নি। মনিবের ইচ্ছানুযায়ী নৈতিক অনৈতিক ক্ষেত্রবিশেষে উপ-পত্মীরূপে তাদের ব্যবহার ছিল বৈধ। ক্রীতদাসকেও আবার শ্রেণিবিন্যাস করে নামাঙ্কিত হতো। হিন্দু সমাজপতির ছেলে কর্মীদের ডাকত ক্রীতদাস আর মেয়েদের বলতো দাসী। মুসলমান সমাজে পুরুষদের ‘গোলাম’ স্ত্রীলোকদের নাম হতো ‘বান্দি’। পরিতাপের বিষয় হিন্দু-মুসলিম উভয়েই আইন মোতাবেক সুন্দরি সুদর্শনাদের যৌন পরিতৃপ্তির কাজে সাবলীলভাবে ব্যবহার করতো। তাদের যদি সন্তান জন্ম হতো তবে সন্তানরাও হতো ক্রীতদাস বা যেভাবে সুবিধামত নামাঙ্কিত করা থাকে। উপ-পত্মীর মর্যাদা দেয়া সুদর্শনাদের জন্মদান অনেক ক্ষেত্রেই ছিল নিষিদ্ধ। কদাচিত দৈবাত সন্তান জন্ম হলে তাদের সন্তান, মালিকের জমিজমায় নামমাত্র কিছু অধিকার অর্জন করতো।

কিছুক্ষেত্রে বিপরীত চিত্রও পাওয়া গেছে। পরিশ্রমী, কর্তব্যনিষ্ঠ, বুদ্ধিমান, উচুঁ মর্যাদাসম্পন্ন ‘ক্রীতদাস’কে পরামর্শক হিসাবেও পরিগণিত করা হতো। মালিক মনিবগণের ব্যবসা সংক্রান্ত, গৃহপরিচালনা কিংবা রাজনৈতিক কর্মকা-ের ব্যাপারে ‘ক্রীতদাস’ বুদ্ধিদাতা, পরামর্শক হিসাবে আবির্ভূত হতো। মানবতাবাদী অনেক রাজাধিরাজ, মনিব-মালিক, মোড়ল, শাসক বুদ্ধিমান ক্রীতদাসকে মুক্তি দিয়েছিলেন। মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রীতদাস তাদের মেধা, বুদ্ধি, যোগ্যতা-দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে প্রশাসক, মন্ত্রী, সেনাপতি পর্যন্ত হয়েছিলেন। বাংলার সুলতানগণের চাহিদা ছিল আফ্রিকা, তুরস্ক, পারস্য এবং চীনদেশের দাস-দাসীর প্রতি। নিয়ত-প্রতিনিয়ত আমদানি করা হতো ঐ সমস্ত দেশের বিভিন্ন গোত্রীয় দুস্থ অবলাদের। তাদের বদান্যতায় বুদ্ধি দৃঢ়তায় আবিসিনীয় বংশোদ্ভেূত দাসগণ বাংলার শাসনব্যবস্থাও দখল করে নিয়েছিল। পনের শতকের শেষ দিকে কায়েম করা বাংলার শাসনভারে ‘ক্রীতদাসের হাসি’ বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে পারেনি।

১৮৩৯ সালের আইন কমিশনের প্রতিবেদনেও পরিস্কারভাবে এই বাংলার দাসপ্রথার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। অত্র অঞ্চল বিশেষভাবে কৃষিনির্ভর ছিল। ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামে অভাব, দুর্ভিক্ষ, দুর্যোগ, নদীভাঙ্গণ পরিবারের উপার্জনকারী সদস্যদের মৃত্যু বাকীদের স্বেচ্ছায় দাসত্ব গ্রহণের পথ সুগম হতো। তাদের বেলায় দেখা গেছে বংশপরম্পরায় কৃষি, গার্হস্থ শ্রমিক শ্রেণির দাস হিসেবে জীবনযাপন অবধারিত ছিল। বয়স, শারীরীক গঠন, লিঙ্গ, গোত্র, জাতি সর্বোপরি তৎকালীন সামাজিক অর্থনৈতিক বিবেচনায় এনে দাসত্বের মূল্য নির্ধারণ করা হতো। আঠার শতকের শেষ দিকে স্বাস্থ্যবান তরুণ দাসদের বাজারমূল্য কুড়ি থেকে পঞ্চাশ টাকা, শিশু বৃদ্ধদের বেলায় তা ছিল পাঁচ থেকে সাত টাকা মাত্র। ভয়াবহ, ভয়ঙ্কর বিপদজনক তথ্য হলো তৎসময়ের উপরোক্ত এলাকায় প্রতি পাঁচ জনের একজনই ছিল দাসত্বের শিকার। দুর্ভাগ্য ও গভীর শঙ্কার বিষয় বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তি উৎকর্ষতার সময়ে ‘জোর পূর্বক শ্রম দেওয়া’ দাসত্বের সংজ্ঞায় সারা বিশ্বে দুই কোটি সত্তর লক্ষ মানুষকে এখনো দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা তাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ অনুযায়ী দাসত্ব ও দাসত্ব সংশ্লিষ্ট প্রথার কাছে বন্দি ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

আভিজাত্যের প্রতীক, সভ্যতার ক্ষতচিহ্ন এই অমানবিক প্রথার কলঙ্ক মোচনের চেষ্টাও দীর্ঘদিনের। রোমান সা¤্রাজ্যের যুগ খ্রিস্টপূর্ব ১৪০ অব্দে বড় মাপের দাসবিদ্রোহ হওয়ার সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর থেকে সিসিলি যুদ্ধ, অ্যারিস্টোনিকাসের অভ্যুত্থান, স্পার্টাকাস বিদ্রোহ, ইতালির ডেলসদ্বীপ খনিতে দাসবিদ্রোহ এই প্রথার বিরুদ্ধে অনন্য ইতিহাস হয়ে আছে। ১৭৭৯ সালের ফরাসী বিপ্লবের গভীর প্রভাবে ১৭৯১ সালে শুরু হওয়া হাইতির দাস বিদ্রোহী আন্দোলন আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র সফল আন্দোলন। মানবসভ্যতাকে কলঙ্কিত করার দগদগে এই দাগ মুছে দিতে বৈশ্বিক কোন নির্দিষ্ট আন্দোলন না হলেও মানবতাবাদী কিছু ব্যক্তি এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। এই প্রথাকে নিরুৎসাহিত করতে শাসকদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছেন প্রাচীন প-িত কৌটিল্য, মার্কিন লেখক হাওয়ার্ড ফাস্ট, সমাজ সংস্কারক উইলিয়াম গ্যারিসন, টামাস কেবিন, ফরাসী লেখক ফ্রাঙ্কলিন নাইটস নানাভাবে তাদের সাধ্যমত গল্প, উপন্যাসে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে উত্তরণের চেষ্টা করেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (স.) এর বিদায় হজ্বের ভাষণে দাসদের মুক্ত করার আহ্বান ছিল। নির্মম, মর্মস্পর্শী, করুণ, অসহনীয় দাস জীবন শতাব্দীর পর শতাব্দী জিইয়ে রেখেলিছেন সমাজপ্রভুরা, তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে। রাজনৈতিক সুবিধাবাধী চিন্তার দখলদারী পাকাপোক্ত করতে।

দাসত্বের শৃঙ্খলমুক্তির লড়াইয়ে, একে চিরতরে বিলোপের নানা ঘাত-প্রতিঘাত, বাদ-বিবাদ, যুদ্ধ-গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করতে হয়েছে। আটলান্টিকে জোড়া দাস ব্যবসা বন্ধের মধ্যে দিয়ে নরওয়ে ও ডেনমার্ক ১৮০২ সালে দাস বাণিজ্য বন্ধ করে। অবশ্য অখ্যাত রাচসা নামক দেশ ১৪১৬ সালে এই কু-প্রথা নিষিদ্ধ করেছিল। ব্রিটিশ সরকার এর বিলোপ ধারণার জন্ম দিয়ে ১৮৩৪ থেকে ১৮৩৮ সালের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেন দাসমুক্ত হয়। ফ্রান্স ব্রিটেনের পথ ধরে ১৮৪৮ সালে। দাসপ্রথা নিয়ে গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই প্রথার অবসান ঘটান ১৮৬৫ সালে। এরপর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বিলোপ হতে থাকে মানবতাবিরোধী এই কলঙ্ক তিলক। ব্রাজিল ১৮৮৮, চীন ১৯১০, আফগানিস্তান ১৯২৩, ইরান ১৯২৪, ইরাক ১৯২৮, মিয়ানমার ১৯২৯, নেপাল ১৯২৬, সৌদিআরব ১৯৬২ এবং সর্বশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৯৬৩ সালে দাস মোচনের আইন পাশ করে।

নানা দেশ ও সংগঠনের সাথে একাত্ম হয়ে দাসবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘অ্যান্টি-স্ল্যাভেরি ইন্টারন্যাশনাল’ এর জোরালো দাবীর মুখে জাতিসংঘ একটি আইন পাশ করে। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে ২ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গৃহীত হয় মানুষ ক্রয়-বিক্রয়, শোষণ-নির্যাতন বিরোধী এই আইন। দাসত্ব বিলোপের কনভেনশনে গৃহীত ঐতিহাসিক এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী স্মরণীয় রাখতে ২ ডিসেম্বর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস। সামাজিকভাবে ঘৃণ্য-পরিত্যাজ্য অমানবিক কলঙ্কিত এই প্রথা সম্পূর্ণভাবে অবলুপ্ত হয়ে মানুষ তার ন্যায়সংঘত অধিকার ফিরে পাক এটাই আজকের প্রত্যাশা।

খন রঞ্জন রায় টেকসই উন্নয়নকর্মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট