চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৬ দফা কর্মসূচীর উৎস ও নতুন মেরুকরণ

নাওজিশ মাহমুদ

১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ২:০৩ পূর্বাহ্ণ

তৎকালীন পাকিস্তানের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা শুধু পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবী ছিল না। এটা ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোতে বাঙালিদের অবহেলা ও বঞ্চনার বিপরীতে রাজনৈতিক অধিকার আদায় এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান গৃহীত হয়। এতে পাকিস্তানের উভয় অংশের রাজনৈতিক নেতাদের সম্মতি ছিল। সংখ্যাসাম্য মেনে বাঙালির নেতৃত্ব তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধিদের দাবীকে জলাঞ্জলী দেয়। গণতন্ত্রের স্বার্থে বাঙালি এটা মেনে নেয়।

১৯৫৬ সালের সমগ্র পাকিস্তানের একটি প্রদেশ হিসেবে গণ্য করে সিন্ধী, বেলুচ এবং পাঠানদের জাতিসত্তাকে অস্বীকার করে একটি ইউনিট হিসেবে গণ্য করে বাঙালিদের বিরুদ্ধে সমস্ত পশ্চিম পাকিস্তানকে দাঁড় করিয়ে দেয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আমলাতন্ত্রে প্রাধান্য বিস্তারকারী পাঞ্জাবীরা এতেও সন্তুষ্ট হতে পারে নি। কারণ করাচীকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে পুঁজির যে উত্থান, সে পুঁজি নিরাপত্তার জন্য গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক শাসন অপরিহার্য ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক শাসন অর্থ হলো জনগণের প্রতিনিধিদের শাসন। আর সে শাসনে পাঞ্জাবী সামরিক ও আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালি, বেলুচ, পাঠান এবং সিন্ধীর যদি আঁতাত হয়ে যায় তা হলে সামরিক বাহিনীতে এবং আমলাতন্ত্রে পাঞ্জাবীদের আধিপত্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। পাঞ্জাবীবিরোধী এই আঁতাতে নেতৃত্ব করবে বাঙালি, যা কোন অবস্থাতেই করাচীর পুঁজির মালিকেরা যেমন মানতে পারছিল না। তেমনি সামরিক ও বেসামরিক আমলার নিয়ন্ত্রণকারী পঞ্জাবীরাও মানতে পারছিলনা। বাঙালির ক্রমশ উত্থান, করাচীর পুঁজি ও লাহোরের স্বৈরাচারী অভিজাত গোষ্ঠীর আধিপত্য; এই তিনটি দ্বন্দ্বের মধ্যে যে কোন দুটি শক্তির আপোষ ফর্মূলায় পাকিস্তানের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন একটি ভারসাম্য বজায় ছিল। হোসেন সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তখনই পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা পড়ে যায়। ইসলামকে ব্যবহার করে মুসলিম জাতিয়তাবাদের ধুঁয়া তুলে পাকিস্তান সৃষ্টি হলেও পাকিস্তানকে টিকে থাকার জন্য ভরাসাম্যপূর্ণ নীতি এবং কৌশল দরকার এটা পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতাদের প্রধান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বুঝলেও অন্যরা এর গুরত্ব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন। জিন্নাহ পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম ভাষণে পাকিস্তানকে সকল ধর্মের রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেন। ইসলামী রাষ্ট্র গড়তে অস্বীকার করেন। জিন্নাহর মৃত্যুর পর, পাকিস্তানে জিন্নাহর চিন্তা ও ভাবধারাকে আর কেউ ধারন করে নাই। ১৯৫৬ সালের সংবিধানে পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা দেয়া হয়।

’৫৬ সালের সংবিধান প্রণয়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চেষ্টা করেছিলেন অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বসমূহের মধ্যে ভারসাম্য রেখে পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে। সোহরাওয়ার্দী বেঁচে থাকলে ৬ দফা উপস্থাপনের সুযোগ হতো কী না সন্দেহ।
পূর্ব পাকিস্তানের তখনকার অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বাাধীন ন্যাশানাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) বিশ^ সাম্যবাদী আন্দোলনের ধারক এবং বাহক। তরুণদের অধিকাংশ এই ধারার সমর্থক। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি তখনও দানা বেঁধে উঠে নাই। পাকিস্তানের সংহতি এবং ইসলামী রাজনীতি তখনও নিয়ামক শক্তি। তাইতো আওয়ামী লীগের প্রথমে নামকরণ ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি দিশেহারা পাখীর মতো। নিউক্লিয়াসের তিন নেতা সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক এবং কাজী আরেফ পাগলের মতো একটি নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব খোঁজ করছিলেন। জীবনকে বাজী ধরে কোন নেতা তাঁদের নেতৃত্ব দিতে সাহস পাচ্ছিল না। সবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিশা পায়। তাঁদের স্বপ্নকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি নেতৃত্ব দিবেন এই নিশ্চয়তা পান। বঙ্গবন্ধু তখন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ, আবুল সালাম খানের মতো বড় বড় নেতার বাঙলাদেশ স্বাধীন করার ব্যাপারে একমত হলেও সরাসরি সম্পৃক্ত হতে ভয় পান।

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক আমলাতন্ত্র পাকিস্তানকে সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে পদে পদে বাধা দেয়। ক্রমাগত প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এবং শাসক পরিবর্তনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থাকে অস্থিরতার মধ্যে রেখে দেয়। সংবিধানের প্রণয়নে বিলম্ব করে। বৃটিশ আমলে বাংলা যে স্বাধীনতা ভোগ করতো তা ক্রমাগত কুক্ষিগত করে কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পাকিস্তানের সংহতি নামে স্থিতিশীলতা নামে প্রাদেশিক সরকারগুলিকে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা হতো। আমলতন্ত্রের হাতে জনপ্রতিনিধিদের হেনস্থা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।

এর সাথে যোগ হয় বাঙালির প্রতি রাজনৈতিক অবহেলা, অর্থনৈতিক বৈষম্য সামাজিক নিপীড়ন, ভাষা এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রব্যবস্থাপনায় বাঙালিকে অবহেলা করা হয়। রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতার অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা হয়। গণতন্ত্র এবং নির্বাচন ঠেকিয়ে রেখে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়া হয় নি। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আমলা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের ভয় ছিল গণতন্ত্র দিলে নির্বাচন দিলে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাকিস্তনের রাজনৈতিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। তাই কোন অবস্থাতেই এটাকে মেনে নিতে পারছিল না। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব প্রদানকারী মুসলিম লীগ গণবিচ্ছিন্নতার শিকার হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের কাছে শোচনীয় পরাজয় ঘটে। পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী তথা পাঞ্জাবী চক্র বুঝতে পারে জনগণের ভোটে কোন নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচনে বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা চলে যাবে। তাই সরাসরি ভোট আর হতে দেয় নি। সংবিধান প্রণয়ন ঠেকিয়ে রাখে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত।

৬ দফার উৎস ছিল মূলত ১৯৪০ সালে লাহোরে পাকিস্তান প্রস্তাবের মধ্যে। লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৬ দফা প্রণয়ন করা হয়েছিল দাবী করা হয়। কিন্তু ৬ দফা ছিল আরো অগ্রসর এবং বাংলাদেশ স্বাধীন করার একটি কৌশল। বিশেষ করে দুই অর্থনৈতিক তত্ত্ব ছিল অভিনব। অথনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া একটি রাষ্ট্র কোন দিন টিকে থাকতে পারে না। সেই অর্থনীতি এবং কর ধার্যের ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারে কাছে থাকার মানে হলো কার্যত স্বাধীন থাকা। তাই ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবে সর্বশেষ দাবী ছিল প্রদেশসমূহ হতে হবে স্বায়ত্বশাসিত এবং সার্বভৌম। এই দুটি শব্দ পরস্পরের বিপরীত। কারণ সার্বভৌম কখনও স্বায়ত্বশাসিত হয় না। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবে ছিল, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে রাষ্ট্রসমূহ গড়ে তুলতে হবে। এক নজরে লাহোর প্রস্তাব দেখে নেয়া যাক।

লাহোর প্রস্তাবের মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ হচ্ছে ১) প্রথমতঃ নিখিল ভারত মুসলিমলীগ দৃঢ়তার সাথে পুনঃঘোষণা করছে যে, ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনে যুক্তরাষ্ট্রের (ভবফবৎধষ) পরিকল্পনা রয়েছে তা এ দেশের উদ্ভূত অবস্থার প্রেক্ষিতে অসঙ্গত ও অকার্যকর বিধায় তা ভারতীয় মুসলমানের জন্য অগ্রহণযোগ্য।
২) দ্বিতীয়তঃ সমস্ত সাংবিধানিক পরিকল্পনা নতুনভাবে বিবেচনা করা না হলে মুসলিম ভারত অসন্তুষ্ট হবে এবং মুসলমানদের অনুমোদন ব্যতিরেকে সংবিধান রচিত হলে কোন সংশোধিত পরিকল্পনা ও তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না।
তৃতীয়ত ঃ নিখিল ভারত মুসলীম লীগের সুচিন্তিত অভিমত এরূপ যে ভারতে কোন শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা কার্যকর হবে না যদি নি¤œবর্ণিত মূলনীতির উপরি ভত্তি করে রচিত না হয়।
১. ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সংলগ্ন বা সন্নিহিত স্থানসমূহকে অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
২. প্রয়োজন অনুয়ায়ী সীমানা পরিবর্তন করে এমনভাবে গঠন করতে হবে যেখানে ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান এলাকাগুলো স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ (ওহফবঢ়বহফবঃ ংঃধঃবং) গঠন করতে পারে।
৩. স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাষ্ট্র বা প্রদেশসমূহ হতে হবে স্বায়ত্বশাসিত ও সার্বভৌম।
চতুর্থতঃ এ সমস্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক প্রশাসনিক ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য তাদের সাথে পরামর্শ স্বাপেক্ষে সংবিধান কার্যকর ও বাধ্যতামূলক রাখতে হবে। ভারতবর্ষের মুসলমান জনগণ যেখানে সংখ্যালঘু তাদের সাথে পরামর্শ স্বাপক্ষে এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথেও আলোচনা সাপেক্ষে সংবিধান কার্যকর বিধান রাখতে হবে।

এই লাহোর প্রস্তাব ভারত বিভক্তির মূল ভ্রুণ হিসেবে ধরা যায়। দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধে জার্মান, ইতালী এবং জাপানের ত্রয়ীশক্তির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই নমে বিশ^যুদ্ধ করতে গিয়ে বৃটিশদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে পড়ে ভারতকে ভারতীয় জনগণের হাতে ছেড়ে দেয়া। ভারতে নৌ বিদ্রোহ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে ত্বরান্বিত করে। এর সাথে যোগ হয় দ্বিতীয় বিশ্¦যুদ্ধের পরে বৃটেনে বামপন্থী শ্রমিকদলের জয়লাভ। শ্রমিকদল ক্ষমতায় এসেই ভারতে স্বাধীনতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পেক্ষিতে ১৯৪৬ সালে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস, স্যার পেথিক লরেন্স এবং এ ডি আলেক জান্ডার নিয়ে গঠিত ক্যাবিনেট মিশন প্রেরণ করে। তাঁদের সুপারিশসমূহের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে।

১) বৃটিশ শাসিত ভারত ও দেশীয় রাজ্যসমূহ একটি যুক্তরাষ্ট্র ও ক্ষমতা বন্টন নীতি। ২) ভারতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ ‘ক” গ্রুপে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে “খ” গ্রুপ এবং আসাম ও বাংলাকে নিয়ে ‘গ’ গ্রুপ। ৩) প্রদেশগুলি নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ। ৪)সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে নির্বাচন ৫)যে কোন প্রদেশে নতুন সংবিধান করার অধিকার ৬) সংবিধান রচনা না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালিন সরকার।
লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ক্যাবিনেট মিশন চেষ্টা করেছিল ভারতকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে একটি শিথিল কনফেডারেশনের মাধ্যমে ভারতেকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং হিন্দু-মসুলিম সমস্যার সমাধান করতে। পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি মুসলিমপ্রধান অঞ্চল রেখে মাঝখানে একটি হিন্দুপ্রাধান্য অঞ্চল গড়ে তুলতে। মুসলিম লীগ প্রথমে এটাও মানলেও নেহেরু এটার মানার ব্যাপারে দ্বিধা ছিলেন। (আগামী রবিবার সমাপ্য)

নাওজিশ মাহমুদ রাজনীতি বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট