চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

গোলাপী বলের ডে নাইট টেস্ট

জুবায়ের আহমেদ

২৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ

টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণ ধরে রাখতে এবং মাঠে দর্শক সমাগম বাড়ানো সহ নানা ভাবনা থেকে ২০১৫ সালে গোলাপী বলে ডে নাইট ক্রিকেটের চালু করে আইসিসি। ডে নাইট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয় এবং সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয় লাভ করে। তখন থেকে বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার ম্যাচের আগ পর্যন্ত ১১টি ডে নাইট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ১২তম ম্যাচে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয় ভারত বনাম বাংলাদেশ এবং মাত্র ৩য় দিনের শুরুতেই ইনিংস ও ৪৬ রানে হারতে মানতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ডে নাইট টেস্টে এ পর্যন্ত ১২ ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫টি ম্যাচ খেলে ৫টিতেই জয়লাভ করে অস্ট্রেলিয়া।

১২ ম্যাচের মধ্যে আফ্রিকা বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার একটি ম্যাচ প্রথমবারের মতো চারদিনে অনুষ্ঠিত হয়, সে ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল আফ্রিকা। ১২টি ম্যাচেই ফলাফল এসেছে এবং ৫টি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে প্রতিপক্ষ। ভারত ও বাংলাদেশের প্রথম ডে নাইট ম্যাচ উপলক্ষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী নানা আয়োজনের মাধ্যমে ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখেন।
সবচেয়ে আবেগঘন বিষয় ছিলো ২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের স্কোয়াডে থাকা সকল ক্রিকেটাদের আমন্ত্রণ জানানো সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মাধ্যমে ঘন্টা বাজিয়ে ঐতিহাসিক ম্যাচটির উদ্বোধন করা।

ম্যাচ শুরুর পূর্বে নানা আয়োজনে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখলেও পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচটিকে রাঙ্গাতে পারেনি বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় তিন পেসারের বিধ্বসী বোলিংয়ে কুপোকাত হয়ে অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৬ রানে। অচেনা গোলাপী বল এবং সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও পুনরায় দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ারও সমালোচিত হয়েছে বেশ।

বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে কোহলীর সেঞ্চুরীতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশ দল ২য় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯৫ রানে অলআউট হয়। ৭৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা ইশান্ত শর্মা, সিরিজ সেরাও হন তিনি। গোলাপী বলে ভারতীয় পেসারদের তোপে পড়ে লিটন ও নাইমের আঘাত পাওয়া এবং আইসিসির নতুন নিয়ম কনকাশন সাব এর অধীনে বদলী দুই ক্রিকেটার মিরাজ ও তাইজুলের সুযোগ পাওয়াও ছিলো অন্যতম ঘটনা। টেস্ট ক্রিকেটে এই প্রথম একই ম্যাচে ২টি পরিবর্তনের ঘটনা ঘটলো। বাংলাদেশ দল মাঠের খেলায় ম্যাচটিকে স্মরণীয় করতে না পারলেও গোলাপী বলে ডে নাইট টেস্টের শুরুর ম্যাচটিকে সামনে রেখে মনোমুগ্ধকর আয়োজনের কারনে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেনে আয়োজিত ম্যাচটি বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটপ্রেমী ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকলের মনে গেঁথে থাকবে অনেকদিন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট