চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে নগরায়ন সংকট

জিয়া হাবীব আহসান

১৪ মে, ২০১৯ | ১:১৬ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীর যে কোন বড় বড় শহরের ভেতর নদী বা নদীর দু’পাড়ে শহর থাকলে তার সেতু পারাপারে টোল প্রথা নেই। নগরায়নের স্বার্থেই তা রহিত করা হয়ে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সিটির বাকলিয়া ও কর্ণফুলি থানার মাঝখানে বহমান পাহাড়ী কন্যা কর্ণফুলি নদীর উপর নির্মিত শাহ আমানত সেতু পারাপারে প্রতিবারই দিতে হয় উচ্চ হারে। ফলে নদীর দক্ষিণপারে নগরায়ন স্থবির হয়ে পড়েছে। অথচ মহানগরীর তীব্র আবাসন সংকট নিরসনে কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ই এখন একমাত্র ভরসা। কেননা পরিকল্পিতভাবে শহর বাড়ানোর জন্য অন্যদিকে তেমন জায়গা আর নেই।
চট্টগ্রাম শহরের তীব্র আবাসন সংকট নিরসনে কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে দুই যুগেরও বহু আগে গড়ে তোলা হয় ৫১৯ টি প্লট সম্বলিত সিডিএ কর্ণফুলী আবাসন প্রকল্প। কিন্তু ওয়াসার সুপেয় পানি সরবরাহের ও কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু পারাপারে উচ্চহারে টোলের কারণে দক্ষিণ তীরে নগরায়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নগরায়ন ও আবাসন সংকট নিরসনে দক্ষিণ পারের বাসিন্দাদের জন্য টোল তুলে দিতে হবে। নগরায়নের পথে এটা মারাত্মক বাধা। পৃথিবীর অনেক বড় বড় শহরের মাঝখানে নদী বা নদীর উভয় পারে শহর থাকলে ঐ নদীর সেতুর উপর টোল থাকে না। যেমন:- কলকাতার হুগলি নদীর উপর ঐতিহ্যবাহী হাওড়া ব্রীজের উভয় দিক থেকে পারাপার টোল ফ্রি। তেমনি বিলেতে টেমস নদীর উপর লন্ডন ব্রীজও যান চলাচলে টোল ফ্রি। জ্বালানী ক্রয়ের সময় এবং গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের সময় ট্যাক্স নেয়ার পরও আবার সেতু পারাপারে টোল আদায় এমনিতেই উচিত নয়। কর্ণফুলীর উভয় পারে নগরায়নের সুবিধার্থে টোল তুলে দেয়া অত্যন্ত জরুরী। সাধারণত ঘন জনবসতি পূর্ণ এলাকা যেখানে গাড়ী বা যানবাহন বেশী চলাচল করে সেখানে সেতু পারাপারে টোল নেয়া হয় না। টোল নেয়া হয় দূর দূরান্তে যেখানে যানচলাচল তুলনামূলকভাবে কম। কর্ণফুলীর এপার-ওপারের বাসিন্দাদের দিনে রাতে অসংখ্যবার সেতু পারাপার করতে হয়। তারা উচ্চহারে টোল দিতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। এ অপচয় মেনে নেয়া যায় না। এই ব্যাপারে দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দা এডভোকেট এস.এম ফোরকান জানান, “আমি শিকলবাহার বাসিন্দা হয়েও কর্ণফুলী সেতুর অযৌক্তিক টোলের জন্য নিজ বাড়িতে বসবাস করার সাহস পাচ্ছি না। কারণ পরিবার নিয়ে শিকলবাহায় বসবাস করলে চট্টগ্রাম সিটিতে আমার নিজ প্রয়োজনে ৪ বার যাতায়াত করতে হবে, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য মূল সিটিতে দৈনিক একাধিকবার যাতায়াত করতে হবে, বিভিন্ন পারিবারিক কাজে বা কেনাকাটার জন্য মিসেসকে দিনে ১বার হলেও যেতে হবে, প্রাইভেট গাড়ী ব্যবহার করলে দৈনিক অনেক টাকা টোল দিতে হবে, এসব চিন্তা করে নিজ এলাকায় বসবাস করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাছাড়া গাড়ি ছাড়া ওপারে বসবাস করাও সম্ভব নয়। টোলের কারণে সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে টোলের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে এটার সমাধান করা উচিত। তা নাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মসহ আমাদের যুগযুগ ধরে ভোগান্তি পোহাতে হবে, এব্যাপার সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।”
মেট্রোপলিটন সিটি চট্টগ্রামের মধ্য দিয়ে বহমান খরস্রােতা নদী পাহাড়ী কন্যা কর্ণফুলী। নদীর উপর নির্মিত শাহ আমানত সেতুর টোলের কারণে ওপাড়ে গড়ে উঠছে না আধুনিক উপশহর। কর্ণফুলীর শাহ্ আমানত (রহঃ) নামীয় সেতু পারাপারে উচ্চহারে টোল আদায় মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এটা অনেকটা চাঁদাবাজির নামান্তর। জাতীয় স্বার্থে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। নইলে কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে আধুনিক উপশহর গড়ে উঠবে না। মহানগরীর উপর জনবসতির প্রচ- চাপ এবং আবাসন সংকট আরো প্রকট ও তীব্রতর হবে। তাছাড়া পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংকটসহ প্রচ- যানজট, আইন-শৃংখলার অবনতিসহ চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিবেশ ক্রমান্বয়ে বিপর্যয় হয়ে তা বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে।
কোন নদীর দু’পারে শহর, উপশহর থাকলে তা পারাপারে টোল আদায়ের ঘটনা নগরায়নের পথে প্রধান বাধা। জনসাধারণের নির্বিঘেœ পথ চলাচলের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। তাই এই বাধা অপসারণে মহামান্য উচ্চ আদালতে নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা যায়। রাষ্ট্রীয় ও জনস্বার্থে চট্টগ্রামের মেয়র, মন্ত্রী মহোদয়গণ ও সাংসদ এ ব্যাপারে যুগপৎ ভূমিকা রাখলে সংকট নিরসন সম্ভব। একটি প্রাইভেট কার ব্রিজ পার হতে আসা যাওয়া বাবদ আগে লাগতো ৪০ টাকা এখন লাগে ৭৫ টাকা। প্রাইভেট গাড়ি করে দিনে ৩/৪ বার যাওয়া আসায় মোটা অংকের টোল দিতে হলে কর্ণফুলীর বাম তীরে নগরীর ক্রমবর্ধমান আবাসন সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমে নতুন আবাসিক প্রকল্প গড়ে তোলা সম্ভব নয়। নগরায়নের স্বার্থে কর্ণফুলী শাহ আমানত (রঃ) সেতুর টোল তুলে দিতে হবে। নতুন সেতু নির্মাণে পদ্মা বা যমুনা সেতুর মতো সারা দেশ থেকে সারচার্জ আদায় করা যেতে পারে। অথবা বিল এন্ড অপারেট ভিত্তিতে দেশী-বিদেশী কোম্পানির অর্থায়নে তা নির্মাণ করা যেতে পারে। কর্ণফুলীর ওপারে নগরায়নের স্বার্থে শাহ আমানত সেতুর টোল অপ্রযোজ্য। চ.উ.ক বাম তীর প্রকল্প বাস্তবায়নসহ কর্ণফুলীর বাম তীরে নগর সম্প্রসারণের জন্য উক্ত টোল প্রথা বন্ধে সরকারী পর্যায়ে অদ্যাবধি কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি।
মহানগরীর আবাসিক সংকট নিরসনে বাম তীর প্রকল্প সিডিএ আড়াই যুগ পুর্বে গ্রহণ করলেও অদ্যাবধি তা বাস্তবায়ন করতে পারে নি। এছাড়াও উক্ত প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা সরবরাহের অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়ায় প্লট মালিকরা সেখানে বাড়ি নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছেন না। এটা সি.ডি.এ ও ওয়াসা এবং কর্তৃপক্ষের চরম ব্যর্থতার প্রকৃষ্ট উদাহারণ। পি.পি বা প্রজেক্ট প্রোফাইলে সব ইউটিলিটি প্রদানের অঙ্গীকার থাকলেও সি.ডি.এ তাতে ব্যর্থ হয়। চট্টগ্রামের ৯০ লক্ষ নগরবাসীর জন্য একটা সুখকর ব্যাপার ছিল কর্ণফুলীর উপর নির্মিত শাহ আমানত (রহঃ) সেতুর প্রতিষ্ঠা। চট্টগ্রামের অবহেলিত জনতার হাজারো আকুতির ফলশ্রুতিতে অন্তত একটি দুর্বল-ভঙ্গুর প্রকৃতির ব্রিজ পরিবর্তন করে নির্মিত হয়েছিল বর্তমান আধুনিক সেতুটি।
উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডস সরকারের দানকৃত সেকেন্ড হ্যান্ড পুরানো ব্রিজটি বাংলাদেশের খরচে আনা হয় ও সংযোজিত হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বন্দর থেকে ছুটে যাওয়া জাহাজের ধাক্কায় এই দুর্বল ব্রিজটি খ-বিখ- হয়ে যায়। যা দীর্ঘদিন পর মেরামত করা হয়। পরবর্তীতে বুড়িগঙ্গা, দাউদকান্দি, প্রভৃতির মত আধুনিক নতুন সেতু নির্মিত হলে এ দুরবস্থা দূর হয়। সেতুটি নির্মিত হওয়ার পর কর্ণফুলীর বাম তীরে নগর সম্প্রচারণের এক ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। মহানগরীর তীব্র আবাসন সংকট থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে একটু দূরে নিরিবিলিতে ও নৈসর্গিক শোভাম-িত এলাকায় একটি সুখের নীড় গড়তে মধ্যবিত্তরা ছুটতে থাকে নদীর ওপারের বিস্তীর্ণ এলাকায়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আবাসিক সংকট ও নগর সম্প্রসারণের কথা বিবেচনা করে কর্ণফুলীর নদীর বাম তীরে উক্ত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার কাজ শুরু করে দেয় । সিডিএ দুই যুগ আগে সেখানে ৫১৯টির মতো প্লট বরাদ্দ দিয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু করেছিল।
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত উদ্যোগেও কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে বহু হাউজিং, ক্ষুদ্র শিল্প ও ভারী শিল্প গড়ে তোলার পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হতে থাকে। কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগরীর সম্প্রসারণে কিংবা কর্ণফুলীর বাম তীরে আধুনিক উপশহর গড়ে উঠার ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহ আমানত (রহঃ) সেতুর টোল, ট্যাক্স। প্রতিবার এই ব্রিজ পার হতেই মোটা অংকের টোল আদায় করা হয় যানবাহনের ওপর থেকে। অর্থাৎ শুধু একটি হাল্কা যান আসতে যেতেই ৭৫+৭৫= ১৫০/- টাকা টোল প্রদান করতে হয়। ওপারে যারা বসবাস করবে, বাণিজ্য কিংবা শিল্প গড়ে তুলবে, মহানগরীর কেন্দ্রে দিনে ২/৪ বার আসতেই তাদের বার্ষিক টোলের পরিমাণই দাঁড়াবে বিপুল অংকের অর্থ। তাই, উদ্যোক্তারা এখন ভাবতে শুরু করেছেন, নদীর ওপারে গেলে তাদের লাভ কি ? এতে নগর উন্নয়ন ও শিল্প উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ সেতু যখন চালু হয় তখন সেতু পারাপারে কোন ট্যাক্স দিতে হত না। এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন সেতুতেই ট্যাক্স প্রথা নেই। কিন্তু তদানীন্তন সরকার যমুনা সেতু ও কর্ণফুলী সেতুতে ট্যাক্স বসিয়ে সঙ্কটের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
দেশে দেশে নগর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে মধ্যবিত্তের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। নদীর বাম তীরে শুধু একবার যেতে আসতে একটি মোটর গাড়িতে যদি ৭৫+৭৫= ১৫০/- টাকা টোল দিতে হয়, তার ওপর জ্বালানি খরচ, সময়সহ অন্যান্য ব্যয় হিসাব কষে তারা বাম তীরে যেতে উৎসাহ বোধ করছে না।
চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের জেলা পি.পি এ.কে.এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘ ২৬ বছর আগে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সি.ডিএ থেকে প্লট কিনেছি। ওয়াসা পানি সরবরাহ না করায় আর শাহ্ আমানত সেতুর টোলের কারণে স্বপ্নের ঠিকানা রচনা করতে পারলাম না।” পৃথিবীর প্রায় সব কসমোপলিটন সিটি কোন না কোন নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। নগর উন্নয়নের স্বার্থে ঐ সব শহরে নদীর পারাপারে কোন টোল আদায় করা হয় না। নগর সম্প্রসারণের কথা না হয় বাদই দিলাম, আইনের দৃষ্টিকোণ থেকেও এটা কতটুকু বিধিসম্মত? কেননা প্রতিটি মোটরগাড়ি আমদানি, রেজিস্ট্রেশন, রোড টেস্টিং থেকে শুরু করে প্রতিবছর বিপুল অংকের মোটর যান কর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে (বিআরটিএ) প্রদান করতে হয়। জ্বালানির সাথেও ট্যাক্স আদায় করা হয়। এরপরও আবার ব্রিজ পারাপারে টোল আদায়টা একই বিষয়ে একাধিকবার টোল আদায়ের সমতুল্য বিধায় এটা বাতিলযোগ্য, অমানবিক ও বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ইজারাদারের পেটে এই বিপুল অর্থ দিয়ে চট্টলবাসীর লাভ কি ? সরকারের কাছে এ-ব্যাপারে চট্টলবাসীর বহুবার আবেদন জানিয়ে পত্র পত্রিকায় বিবৃতি, লেখালেখি করেছিল নগর সম্প্রসারণের স্বার্থেই এই টোল আদায় অন্তত শাহ আমানত (রহঃ) সেতুর ক্ষেত্রে বাদ দিতে। ইজারাদারগণ ইজারা লাভ করার পর থেকে দফায় দফায় টোলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে জনসাধারণের নাভিশ্বাস তুলেছে। জানি না এই টোল আরো কত বৃদ্ধি হতে পারে।”
বর্তমান সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিদিন কোন না কোন সেতু উদ্বোধন করছে। মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ব্যাংকক-এর সাথে বাণিজ্য সম্প্রচারণের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণের দরজা খুলে দেয়ার স্লোগান তুললেও তা কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর টোলের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামের প্রতি এমন বৈষম্য, বঞ্চনা, অবহেলা, অবজ্ঞা, প্রতারণার হেতু কি? চট্টগ্রামের জনগণ এর জবাব সময়মতো চায়। পাহাড়-সমুদ্র-বনানীর অপূর্ব সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদসহ বন্দরের কারণে সুদৃঢ় অর্থনৈতিক অবস্থান ইত্যাদিই কি তার প্রতি সকল ইর্ষার কারণ ? আশা রাখি সরকার জাতীয় স্বার্থে, নগরায়নের স্বার্থে কর্ণফুলী শাহ আমানত (রঃ) সেতুর টোল তুলে দেবেন ।

লেখকঃ আইনজীবী, কলামিস্ট, মানবাধিকার ও সুশাসন কর্মী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট