চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিশ^শান্তির প্রকৃত পথ

ড. মুহাম্মদ নুর হোসাইন

২২ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:২৬ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বশান্তি বলতে পৃথিবীর সব জাতির স্বাধীনতা, শান্তি ও সম্প্রীতিকে বুঝায়। এটি এমন বিষয়; যাতে সব জাতি স্বেচ্ছায় অথবা পদ্ধতিগতভাবে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে সর্বপ্রকার সন্ত্রাস, জবরদস্তি এবং আগ্রাসনমুক্ত জীবন যাপন ও বসবাসের সুযোগ পাবে। মানবাধিকার, প্রযুক্তি, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রকৌশল, স¦াস্থ্য, কূটনীতি ইত্যাদির নিশ্চয়তাকে বিশ্বশান্তি বলা হয়। যুদ্ধমুক্ত থাকার অপরনামও বিশ্বশান্তি। ১৯৪৫ সাল থেকে জাতিসংঘ ও তার স্থায়ী পাঁচ সদস্যদেশ (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স) যুদ্ধ ছাড়া যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে বাস্তবতা হলো, ইতিমধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক, সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি ইস্যুতে পৃথিবীতে অনেক যুদ্ধ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে; যাতে উল্লেখিত দেশসমূহ প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে। ফলে বিশ্ববাসী বিশ্বশান্তির স্বাদ পায়নি। সুতরাং বিশ্বসংস্থাগুলো আজ অবধি বিশ্বশান্তির পথ খুঁজছে। বিশ্বশান্তির জন্য কোন পথ ও মত অধিক কার্যকর? কোন পদ্ধতি যুৎসই; যাতে সব জাতির স্বাধীনতা বজায় রেখে তাদের অধিকার যথাযথ প্রতিষ্ঠা করা যাবে? আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক নির্যাতন বন্ধ করে শান্তিময় একটি বিশ্ব গড়া যাবে? সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের অধিকার সমুন্নত রেখে সারাবিশ্বকে একটি পরিবারে পরিণত করা যাবে? উক্ত পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে একটি যুদ্ধমুক্ত, আগ্রাসনমুক্ত, বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতির পৃথিবী নামক পরিবার প্রতিষ্ঠা করা যাবে? উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে পৃথিবীতে বহু গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। অধিকাংশ গবেষণায় উঠে এসেছে যে, হযরত মুহাম্মদ (দ.)-এর জীবনাদর্শ যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই তা সম্ভব। আর তাঁর দর্শনালোকে বিশ্বশান্তির মূল ভিত্তি হলো, এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং একই পিতা-মাতার সন্তান-সন্ততি হিসেবে মানবগোষ্ঠীকে একই পরিবারভুক্ত করা। যেহেতু বিশ্বের সব মানুষ হযরত আদম ও হাওয়া (আ.)-এর সন্তান, সেহেতু তারা সবাই একই পরিবারভুক্ত। এ নীতিতেই বিশ্বায়ন সম্ভব। তাঁর বাণী মতে, হযরত ইসা (আ.) পুনরায় ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে এসে পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবেন এবং পুনরায় বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন (সুনানে বায়হাকি, হাদিস নং- ৪১৬২)।

বিশ্বশান্তির জন্য বিশ্ববাসীর ঐক্য প্রয়োজন। অনৈক্যের কারণ চিহ্নিত করে সেগুলো দূরীভূত করতে হবে সর্বাগ্রে। হযরত মুহাম্মদ (দ.) শতধা বিভক্ত

আরব জাতির অনৈক্য দূর করে তাদেরকে সুনির্দিষ্ট মূলনীতির আলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি যখন (৬২২ খৃ.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন তখন মদিনাবাসী ছিল বহুধা বিভক্ত। যুদ্ধ-বিগ্রহ, কলহ-দ্বেষ তাদের মধ্যে লেগেই থাকতো। মদিনার আউস ও খাযরাজ গোত্রের যুদ্ধ ছিল চলমান। ধর্মীয় সম্প্রীতি বলতে কিছুই ছিল না। তিনি সেখানে গিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠার মানসে ৪৭টি ধারা সম্বলিত

একটি সনদ প্রণয়ন করেন। উক্ত সনদকে মদিনার সনদ বা ঈযধৎঃবৎ ড়ভ গবফরহধ বলা হয়। এটিই পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান।

ইতোপূর্বে আইন ছিল স্বৈরাচারী শাসকের ঘোষিত আদেশ এবং সরকার ছিল ব্যক্তি কেন্দ্রীভূত। তিনিই সর্বপ্রথম জনগণের কল্যাণার্থে আইনের শাসন বা জঁষব ড়ভ খধি প্রতিষ্ঠা করেন। এ সনদটিই মহাসনদ বা গবমহধ ঈযধৎঃধ। মূলত জাতিসংঘসহ আধুনিক যুগের সব দেশ ও জাতির সনদ ও সংবিধান এ সনদ থেকেই সংগৃহীত। তাই বিশ্বায়নের এ যুগেও যদি বিশ্ববাসী এ সনদের আলোকে পরিচালিত হয়, তাহলে সব অশান্তি দূরীভূত হবে এবং শান্তির পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত হবে নিঃসন্দেহে। ঐতিহাসিক মুইর বলেন, “এটি মুহাম্মদের অসামান্য মাহাত্ম্য ও অপূর্ব মননশীলতা, শুধু তৎযুগের নয়; সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের জন্য শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক।” হিট্টি বলেন, “মদিনা প্রজাতন্ত্রই পরবর্তীকালে বৃহত্তর ইসলামি সা¤্রাজ্যের ভিত্তিমূল স্থাপন করে।” উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে পৃথিবীবাসীর জানা ছিল না যে, ধর্ম ও রাজনীতির সমন্বয়ে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তিনি এ দৈত মতবাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে নিজের প্রজ্ঞা, কুটনৈতিক দূরদর্শিতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, সমাজ সংস্কার, অর্থনৈতিক মুক্তি, কলহ-বিবাদ দূরীকরণ, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির ক্ষেত্রে যে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন, তা একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল। বার্নার্ডস লুইস বলেন, “এ দৈতমতবাদ (ধর্ম ও রাজনীতি) ইসলামি সমাজে মজ্জাগত ছিল এবং মুহাম্মদ (দ.)-এর উম্মাহ বা প্রজাতন্ত্র ছিল এর ভিত্তি। সময় ও কাল বিচারে এটা ছিল অবশ্যম্ভাবী। প্রাচীন আরব সম্প্রদায়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থার মাধ্যম ছাড়া ধর্ম প্রকাশিত ও সংগঠিত হওয়ার কোন উপায় ছিল না। অপরদিকে রাজনৈতিক ক্ষমতার ধারণা হতে বঞ্চিত আরবদের জন্য ধর্মই রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হতে পারতো।”

বিশ্বশান্তির জন্য প্রয়োজন ব্যক্তি স্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, প্রতিবেশীর অধিকার নিশ্চিতকরণ, য্দ্ধু-বিগ্রহ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা বন্ধকরণ, সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধকরণ, প্রাকৃতিক সম্পদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সদ্ব্যবহার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য বিমোচন, সুশিক্ষার প্রসার ইত্যাদি। তিনি উল্লেখিত সব বিষয়ের সফল চর্চা করে গেছেন এবং তাঁর উম্মাহকে এগুলোর অনুশীলনের নির্দেশ দিয়ে গেছেন। দাসপ্রথা বিলুপ্ত করে তিনি মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এমন ধর্মীয় ও সামাজিক বিধান দিয়েছেন; যাতে তাঁর ইন্তিকালের পরবর্তী একশ বছরের মধ্যেই মুসলিম সমাজ থেকে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং সেই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর অন্যান্য জাতিও দাসপ্রথা মুক্ত হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করতেন বিধায় সব রাষ্ট্রের সীমানাকে গুরুত্ব দিতেন। স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহকে স্বীকৃতি দিতেন এবং সেগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদেরকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন। তিনি বলেন, “সব রাজার সীমানা আছে, আর আল্লাহর সীমানা (রূপক) হলো তাঁর নিষেধসমূহ (বুখারি, হাদিস নং-৫২)।” অর্থাৎ বিনা অনুমতিতে কোন রাষ্ট্রের সীমানা অতিক্রম করা যাবে না, যেভাবে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা যাবে না।

বিশ্বশান্তির জন্য মানবাধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হযরত মুহাম্মদ (দ.) মানুষের প্রকৃতগত অধিকারসহ মানবতার সাথে সংশ্লিষ্ট বিশ্বপ্রকৃতির সব কিছুর পূর্ণাঙ্গ অধিকার নিশ্চিত করেছেন। পশু-পাখী ও জীব-জন্তুর অধিকারও তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রত্যেক জীবের সেবা করাকে তিনি ছদকা বা দান বলে ঘোষণা করেছেন। পশু-পাখীর খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধান করেছেন। তাদের থেকে যে পরিমাণ শ্রম নেয়া হবে, সে অনুযায়ী খাবার দেয়ার কথা বলেছেন। কোন পাখীকে খেলনার পাত্র বানাতে নিষেধ করেছেন। খাদ্যের উপযোগী পশু জবেহকালে যতটুকু সম্ভব কষ্ট কম দিয়ে জবেহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জিন জাতির অধিকার নিয়েও কথা বলেছেন। তাদেরকে মানবজাতির ভাই আখ্যা দিয়ে তাদের আহার বিনষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, “তোমরা শৌচকর্মে গোবর ও হাড় ব্যবহার করোনা। কেননা, সেটা তোমাদের ভাই জিনের খাবার” (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং-৪১৪৯)। অশিক্ষা হলো কুসংস্কার ও অশান্তির কারণ। তাই তিনি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছেন। বিদ্যা যার নিকট বা যেখানে থাকুক না কেন, তা আহরণ করে আলোকিত সমাজ গড়ার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জ্ঞান অন্বেষণের প্রয়োজনে সুদূর চীন সফর করতে হলেও তোমরা তা অন্বেষণ কর”।

সাম্প্রদায়িকতা বিশ্বশান্তির অন্যতম অন্তরায়। তিনি ইহুদি, খৃষ্টান, অগ্নিউপাসক ও পৌত্তলিকদের আবাসভূমিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে গেছেন কীভাবে বহুজাতির আবাসভূমিতে শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করা যায়। সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে তিনি বলেন, “যে মুসলিমের হাতে সংখ্যালঘু অত্যাচারিত হবে, কিয়ামতের দিন আমি সে মুসলিমের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে দাঁড়াব” (আবু দাউদ)। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই” (সুরা বাকারা: ২৫৬)। তিনি পূর্ববর্তী সব নবি-রাসুল ও তাঁদের প্রতি নাযিলকৃত কিতাব ও ছহিফাকে সত্যায়ন করেছেন। তাঁর উম্মতের ওপর প্রত্যেক নবি-রাসুল (আ.) ও তাঁদের কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাকে ইমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করেছেন। তিনি শ্রেষ্ঠ নবী হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে তাঁদের কারো ওপরে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়াকে পছন্দ করেননি। তিনি বলেন, “তোমরা ইউনুস বিন মাত্তার ওপরও আমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়োনা” (বুখারি)। এ প্রসঙ্গে আল-কুরআনে বলা হয়েছে, “আমরা তাঁর রাসুলগণের মাঝে তারতম্য সৃষ্টি করি না” (সুরা বাকারা: ২৮৫)। প্রতিবেশী যে ধর্মেরই হোক না কেন, তার প্রতি অন্য প্রতিবেশীর দায়িত্বকে তিনি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছেন। বিদায় হজের সংক্ষিপ্ত ভাষণেও তিনি প্রতিবেশীর অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তাঁর নীতি অনুসারে বাড়ির প্রতিবেশী হোক বা রাষ্ট্রের প্রতিবেশী, উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য তাঁর গৃহীত ও বর্ণিত পদক্ষেপগুলো অতীব কার্যকর ও যুৎসই। তিনি যাকাতকে ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ এবং দরিদ্র, নিঃস্ব, এতিম ও অসহায় মানুষের অধিকার হিসেবে বিধান করেছেন। ফিতরা, উসর, খারাজ, ছাদকা ইত্যাদির উদ্দেশ্যও দারিদ্র্য দূরীকরণ। তিনি গুটি কয়েক ব্যক্তির নিকট সম্পদ কুক্ষিগত হওয়াকে যেমন পছন্দ করেননি। তবে বৈধ পন্থায় ধনী হওয়াতেও বারণ করেননি। তিনি সাময়িক ব্যক্তি মালিকানাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

বৈধপন্থায় সম্পদ অর্জন করাকে উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু প্রত্যেক সম্পদশালীকে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ আল্লাহর পথে তথা দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবতার সেবায় ব্যয় করাকে আবশ্যক করেছেন। ফলে ইসলামি অর্থব্যবস্থায় আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার যেমন সুযোগ নেই, তেমনি অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন, মেধাবী ও উদ্যোমী ব্যক্তিকে তার ন্যায্য অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করা হয়নি। তাই অপরাপর অর্থব্যবস্থার তুলনায় ইসলামি অর্থ-ব্যবস্থা ভারসাম্যপূর্ণ, যথাযথ এবং সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অধিক সহায়ক। সুতরাং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে হযরত মুহাম্মদ (দ.)-এর আদর্শের কোন বিকল্প নেই। তাঁর জীবন-দর্শনের মাঝেই নিহিত আছে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার দিক-নির্দেশনা। জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি, যদি তাঁর মত একজন ব্যক্তি আধুনিক বিশ্বের একক নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি সব সমস্যার সমাধান পূর্বক অতি কাঙ্খিত সুখ-শান্তি আনয়ন করতে সক্ষম হবেন।”

ড. মুহাম্মদ নুর হোসাইন সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট