চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

চীনের ‘সহস্র মেধাবী প্রকল্প’ এবং আমাদের করণীয়

১৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ২:২৫ পূর্বাহ্ণ

একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রে উন্নতির মূল হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমে গবেষণা করে উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধির ফলে একটি দেশ উন্নতির শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। বর্তমানে পৃথিবীর সকল দেশ উন্নতির শীর্ষে যাবার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। একটি দেশ অন্য একটি দেশকে ডিঙিয়ে যাওয়ার জন্য নিত্য নিতুন আবিষ্কার করছে। আবিষ্কার যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের গবেষণা ততই সমৃদ্ধ হচ্ছে। এদিক দিয়ে আমেরিকার পরে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে চীন। চীনের এই দুর্বার গতিতে উন্নীত হওয়ার পিছনে মূল কারণ হচ্ছে সমৃদ্ধ গবেষণা খাত। আর গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করার প্রধান কারণ হচ্ছে চীনের ‘সহস্র মেধাবী প্রকল্প’। ২০০৮ সালে গৃহীত প্রকল্পটির ফলে চীনের ভাগ্যাকাশে অতি অল্পসময়ে উন্নতির জোয়ার বইছে। এদিকে একই মহাদেশীয় হওয়ার পরেও আমাদের উল্লেখযোগ্য গবেষণা নেই বললেই চলে। প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে, শতশত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে বিশেষ কোন ফায়দা হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে গবেষণার জন্য গেলেও অধিক সুবিধা পাওয়ার ফলে ছুটি শেষ হলেও দেশে ফিরে আসছে না। ফলে গবেষণা খাত সমৃদ্ধ হচ্ছে না। মেধাবীরা নিত্যনতুন আবিষ্কার করেন। আর মেধাবীদের তৈরি করেন শিক্ষকগণ। তাদেরকে কারিগরের কারিগর বলা হয়। তারা নিজেরা গবেষণা করবেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে সেই পথেই পরিচালিত করবেন এমনটাই কাম্য। কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে এমনটা হচ্ছে না। কিছু দায়িত্ববান শিক্ষক আছেন, যারা প্রতিনিয়ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। যাদের সংখ্যা হাতেগোনা। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এবং গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য চীনের থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। যে দেশটি সারা দুনিয়া থেকে শেখে এবং আগামীতে যারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে তাদের থেকে আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞান নিতে পারি। এছাড়া অন্য দেশের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তির মত আমাদের শিক্ষাচুক্তিও থাকতে পারে। চীনের মত আমাদেরও দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনা নিতে হবে। বিদেশে গবেষণারত দেশের সকল গবেষককে অনতিবিলম্বে দেশের স্বার্থে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়ে গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করতে হবে। তা নাহলে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত এই পৃথিবী অনেকদূর এগিয়ে যাবে আর আমরা থেকে যাবো পেছনে।

ফয়সাল মাহমুদ আল-মারজান
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট