চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিশুবিবাহ ও জনসচেতনতা

মুহাম্মদ আবু নাসের

৯ নভেম্বর, ২০১৯ | ৪:১৭ পূর্বাহ্ণ

বাল্যবিবাহ মা ও শিশুর মৃত্যুর অন্যতম কারণ। কিন্তু বাংলাদেশ সহ অনেক দেশেই এর প্রচলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। এর কারণ আর্থ-সামাজিক হলেও, ধর্মের নামে বাধা দেন অনেকে। এশিয়ায় সবার ওপরে বাংলাদেশ; বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ রিােধে আইন আছে অনেক আগে থেকেই। রাজনৈতিক বা সামাজিক পর্যায়ে এ নিয়ে বিভক্তি পাকিস্তানের ন্যায় নেই। কিন্তু তারপরও জাতিসংঘের হিসেবে, এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয়।

বিশে^ বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। প্রথম তিনটি আফ্রিকা মহাদেশের। ইউনিসেফের মার্চ পর্যন্ত হিসেবে প্রকাশ, ১৮ বছরের আগে বিয়ে হয় ৫৯ ভাগ বাংলাদেশি মেয়ের, আর ১৫ বছরের আগে বিয়ে হয় ২২ ভাগের। তবে এনিয়ে সরকারি পর্যায়ে দ্বিমত রয়েছে। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে মেয়েদের বিয়ের সর্বনি¤œ বয়স কমিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দু বছর আগে ব্যাপক আলোচনা বিতর্ক হয়। তখন তাদের সর্বনি¤œ বয়স ১৬ বছর করার পক্ষে প্রস্তাব আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংসদে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ যখন পাস হয়। তখন সর্বনি¤œ বয়স ১৮ বছরই রাখা হয়। তবে ‘বিশেষক্ষেত্রে’ এবং ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ আদালতের নির্দেশে ওবাবা-মায়ের সম্মতিতে যে কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হতে পারবে, এমন প্রবিধান ও রাখা হয়।

ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্যবিবাহ রোধে কিছু স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে যে সব আর্থ-সামাজিক কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা সহ বিশেষ করে শিশুদের জন্য আইনি ও অন্যান্য সহায়তার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে ধর্মীয় নেতাদের ও এই কাজে সম্পৃকত করা প্রয়োজন বলে অনেক বিশেষজ্ঞ অভিমত প্রকাশ করেছেন।
বাল্যবিবাহ নিরোধ প্রশাসনিক কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও আর্থ-সামাজিক কারণে এর লাগাম টেনে ধরা অত্যন্ত কঠিন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে যা একটি নেতিবাচক উপসর্গ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট