চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঘাম অপকারী নয়, বরং উপকারী

চিকিৎসা শ্রমিকের দিনলিপি

ডা. হাসান শহীদুল আলম

১৬ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

‘নিয়মিত ওষুধ খবেন, প্রতিদিন ঘণ্টাখানেক হাঁটবেন। ঘাম যেহেতু নিয়ন্ত্রিত হয়ে এসেছে প্রয়োজন না হলে ঘামনিরোধক ব্যবহার করবেন না। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করুন, সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন’ – আমার এটুকু বক্তব্য শুনে চল্লিশোর্ধ মাঝারী গড়নের কলেজ শিক্ষিকার চেহারায় সন্তুষ্টির ভাব ফুটে উঠলো। ব্যবস্থাপত্রসহ মহিলা যখন বিদায় নিচ্ছিলেন তখন ঘড়িতে দুপুর একটা। পূর্বের জানালার কাঁচ ভেদ করে দৃষ্টি বুলালাম পাশর্^স্থ আমবাগানে। আরো সবুজ দেখাচ্ছে শিশির ধোওয়া আমগাছের পাতাগুলোকে। গাছের ডালে নাচানাচিরত ছোট ছোট পাখীগুলোর পালক পরিষ্কার রোদে ঝলমলিয়ে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে। গাছের মগডাল পেরিয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ হলো নীল আকাশে। সাদা মেঘের ভেলা ভেসে চলেছে একের পর এক। ক্ষণে ক্ষণে সূর্য ঢাকা পড়ছে মেঘের আড়ালে। আর অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে আমগাছের পাতাগুচ্ছের ফাঁকে ফাঁকে। শারদীয়া মধ্যাহ্নের আলোছায়ার লুকোচুরি খেলা দেখা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলাম চেম্বারের অভ্যন্তরে।

পরক্ষণেই একটু আগের বিদায় নেয়া মহিলার মুখখানি ভেসে উঠলো মনের পর্দায়। সপ্তাহ দুয়েক পূর্বে মহিলা এসেছিলেন আমার চেম্বারে। তাঁর অভিযোগসমূহের সারমর্ম ছিলো এরূপ : অস্থিরতা, অত্যাধিক ঘাম হওয়া, নিদ্রাহীনতা, সারাশরীরে চুলকানি এবং তদজনিত পিঠ, কোমর, বোগল ও শরীরের অন্যান্য ঘামপ্রবণস্থানে আঁচড়, ফুঁসকুড়ি ইত্যাদি চর্মরোগ। পরীক্ষা নীরিক্ষায় দ্রুত হৃদস্পন্দন, হালকা ধরনের উচ্চ রক্তচাপ এবং চর্বির উচ্চমাত্রা পাওয়া গিয়েছিলো। যথারীতি চিকিৎসা প্রদানের পর আজ দুপুরে চেম্বারে এসেছিলেন আমার পরামর্শনুযায়ী দুসপ্তাহ পরবর্তী রক্তের রিপোর্ট নিয়ে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেলো যে, তাঁর হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে এসেছ্ েরক্তে চর্বির মাত্রা এবং দেহের ঘাম প্রবণতা কমে এসেছে এবং তদজনিত চর্মরোগসমূহ সেরে উঠেছে। এবারে ঘাম সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাঠক সমীপে পেশ করছি।

ঘাম কি? ঘাম হচ্ছে এক ধরনের তরল পদার্থ যা মানবদেহের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তামূলক পদ্ধতির অংশ হিসেবে চামড়ার নীচে অবস্থিত ঘর্মগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে চামড়ার উপর জমে চামড়া বা ত্বককে ভিজিয়ে দেয়। ঘামে কি থাকে? ঘামের বেশীরভাগ অংশই হচ্ছে পানি। এতে ক্রোটনিন, ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া থাকে যা আমাদের খাবারের প্রোটিন থেকে তৈরী হয়। এ ছাড়া এতে অল্প পরিমাণে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, আয়রন, নিকেল ও সীসা পাওয়া যায়। এ সকল রাসায়নিক পদার্থ ঘামের সাথে বিভিন্ন ধরনের লবণ তৈরী করে থাকে।
ঘাম হওয়ার কারণসমূহ : ক) গরম আবহাওয়া : যখন আমরা কোন গরম তাপমাত্রার স্থানে থাকি কিংবা কায়িক পরিশ্রমের কারণে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন আমাদের গা বেয়ে ঘাম ঝরতে থাকে। এ ঘামে যে পানি থাকে তা বাতাসে বাষ্পীভূত হয়ে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। তার ফলে আমরা ঠা-া অনুভব করি।
খ) মানসিক চাপ : দুঃশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, উদ্বেগপূর্ণ পরিস্থিতি, ভীতি, উত্তেজনা, যৌন উত্তেজনা, অজানা আশংকা ইত্যাদি কারণে ঘাম হতে পারে।
গ) বিপাকীয় গোলযোগ : রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে ঘ) স্থূল ও অপুষ্ট শরীরে অল্প পরিশ্রম করলে ঙ) বিবিধ রোগ : ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, লিউকোমিয়া ইত্যাদি চ) হরমোনজনিত : থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্রমের সমস্যা, মেনোপজ ইত্যাদি ছ) ওষুধ : ঘুমের ও বিবিধ নিউরোলজিকেল ওষুধ। ঘামের স্বাদ লবণাক্ত কেন? যেহেতু ঘাম থেকে পানি উড়ে যায় সেহেতু এরপর আমাদের ত্বকে ঘামে থাকা বিভিন্ন লবণ পড়ে থাকে। এ সব লবণের কারণেই ঘামের স্বাদ লবণাক্ত হয়। ঘামের গ্রন্থিসমূহ কোথায় কিভাবে থাকে? ঘামের পরিমাণ? দেহত্বকের প্রধান তিনটি স্তরের মধ্যম স্তর বা ডার্মিস-এর ভেতর ঘর্মগ্রন্থি অবস্থান করে। ঘর্মগ্রন্থি রক্তের ভেতর থেকে শুষে নেয় পানি, লবণ এবং কিছু রেচন পদার্থ এবং ঘাম আকারে ঘর্মনালীর মধ্য দিয়ে সেগুলোকে দেহের বাইরে ত্বকের উপরে বের করে দেয়। একজন মানুষের শরীরে গড়ে ২০ থেকে ৪০ লক্ষ ঘর্মগ্রন্থি থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহ থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২-৪ লিটার ঘাম নির্গত হতে পারে যার পরিমাণ দৈনিক হবে ১০-১৪ লিটার।
ঘামের গন্ধ : তথ্যাদি : ঘামে অবস্থিত প্রোটিন ও লিপিড ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া গ্রহণ করে। যার জন্য আমরা ঘামের গন্ধ পাই। অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি সমূহ বয়ঃসন্ধিকালের পর কাজ শুরু করে। আবার বৃদ্ধদের শরীরে এদের কাজ থেমে যায়। যে কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের ঘামে গন্ধ থাকে না। ঘাম কোথা থেকে কীভাবে তৈরী হয়? আমাদের দেহে দুই ধরনের ঘর্মগ্রন্থি আছে – একক্রাইন গ্রন্থি এবং অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি। একক্রাইন এর সংখ্যা অসংখ্য এবং এরা আমাদের সারা শরীর জুড়ে বিস্তৃত। আমাদের মস্তিষ্কে হাইপোথ্যালামাস নামে একটি অংশ আছে যেটি আমাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চালনের কাজ দেখা শোনা করে। যখন আমাদের দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন এই হাইপোথ্যালামাস একক্রাইন ঘর্মগ্রন্থিসমূহকে সংকেত পাঠায় এবং এর ফলে আমাদের ঘাম নির্গত হয়। অ্যাপোক্রাইন ঘর্মগ্রন্থি আমাদের সারা শরীরে থাকে না। এরা আমাদের বগলে ও কুঁচকিতে থাকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ছাড়াও আমাদের মানসিক চাপ বা তীব্র অনুভূতির কারণে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি থেকে ঘাম বের হয়। এ ঘাম অনেকটা তৈলাক্ত থাকে এবং এতে প্রোটিন ও লিপিড থাকে যা আমাদের ত্বকে থাকা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া গ্রহণ করে গন্ধ উৎপন্ন করে।

ঘাম সম্পর্কিত তথ্যাদি : ক) অনেকের ধারণা বেশী বেশী ঘাম বের হওয়া ক্ষতিকর। কিন্তু সত্যটা ভিন্ন। যাদের ঘাম বেশী তারা অন্যদের চেয়ে বেশী ফিট থাকেন বলে প্রমাণ মিলেছে। তাছাড়া ঘামের কারণে দেহ অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে না। খ) নারী পুরুষের ঘাম ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে বের হয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ গড়ে একজন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর চেয়ে চারগুণ বেশী ঘামেন। এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয় যে, ছেলেদের ঘামের প্রবণতা বেশী। তাই সামান্য পরিশ্রমের ছেলেরা ঘেমে যায়। কিন্তু মেয়েদের ঘামাতে অনেক বেশী পরিশ্রম করতে হয়। সম্ভবত হরমোনঘটিত কারণে এমনটা হয়ে থাকে। গ) ঘামের বৈশিষ্ট্যের উপর বংশগত প্রভাব রয়েছে।

আর্দ্রতা বাড়লে গরম বেশী লাগে কেন?
আর্দ্রতা : কোন স্থানের বায়ুতে কতটুকু জলীয় বাষ্প আছে অর্থাৎ বায়ু কতখানি শুষ্ক বা ভেজা আর্দ্রতা দিয়ে তাই প্রকাশ করা হয়। আপেক্ষিক আর্দ্রতা : এটি একটি অনুপাত যাহা কোন নির্দিষ্ট জায়গার বাতাসে থাকা জলীয় বাষ্পের আংশিক চাপ ও ঐ তাপমাত্রায় জলীয় বাষ্পের সম্পৃক্ত বাষ্পচাপ দ্বারা নির্নিত হয়। নির্দিষ্ট তাপে ও চাপে বাতাসে সর্বোচ্চ কি পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে তা সুনির্দিষ্ট থাকে। আর্দ্রতা বেশী হলে গ্রীষ্মকালে বাইরে গেলে আমরা বেশী গরম অনুভব করি। কারণ তা ঘামের মাধ্যমে শরীরের তাপ বের করে দেবার প্রক্রিয়াটির কার্যকারীতা কমিয়ে দেয়। এটা কেন হয়? আবহাওয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে প্রান্তীয় রক্তনালীসমূহ প্রসারিত হয়। রক্তনালীর দেয়ালের ছিদ্রপথে রক্তের ভেতরকার জলীয় অংশ থেকে পানি ঘাম আকারে বেরুতে থাকে। চর্মের উপরিভাগের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা থেকে বেশী থাকে বিধায় ঘাম শরীরের ভেতর থেকে তাপ সংগ্রহ করে বাতাসে উড়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। এতে শীতল অনুভব হয়। আর যদি চর্মের উপরিভাগের আপেক্ষিক আর্দ্রতা থেকে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশী হয় তবে ঘাম বাতাসে উড়ে যেতে পারে না। তাই বাষ্পায়ীত না হবার কারণে শরীরের তাপমাত্রা অব্যবহৃত থাকে বিধায় শরীরের তাপমাত্রা কমে না। এতে গরম অনুভব হয়। এ অবস্থায় ফ্যান এর বাতাসে বসলে বায়ু সঞ্চালনের ফলে ঘাম বাষ্পায়িত হতে থাকে। ফলে শরীরের তাপমাত্রা ব্যবহৃত হবার ফলে দেহের তাপমাত্রা কমে শীতল অনুভূতি জাগে।
বাংলাদেশের মানুষ ঘামপ্রবণ কেন? বাংলাদেশ ভৌগলিক দিক দিয়ে নাতিশীতোষ্ণ ম-লে অবস্থিত। তাই আমাদের বাতাসে

আর্দ্রতার পরিমাণ বেশী। এ কারণে ঘাম বেশী হয়।

ঘাম সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণা : ক) বেশী ঘাম মানেই কঠোর ব্যায়াম : বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘামের পরিমাণের উপর ব্যায়ামের গুণগত মান কিংবা কার্যকারীতা নির্ভর করে না। ব্যায়ামের সময় ঘামা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে : ১) লিঙ্গগত পার্থক্য : পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশী ঘামে ২) বয়স : কম বয়সীরা বয়স্কদের চেয়ে বেশী ঘামে ৩) জেনেটিক বৈশিষ্ট্য ৪) আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়লে ঘাম বাড়ে ৫) বাতাসের আর্দ্রতা বাড়লে ঘাম বাড়ে ৬) ওজন : স্থুলদের দেহ বেশী তাপ উৎপন্ন করে ৭) ফিটনেস : মানুষের ফিটনেস বৃদ্ধির সাথে সাথে তার তাপনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি আরো বেশী কার্যকর হয়ে উঠে। খ) ঘামের মাধ্যমে বেশী ক্যালোরি ঝরানো হয়েছে কেন মনে হয় ? যেহেতু ঘাম বেশী ঝরার কারণে দেহের তরলের ওজন হ্রাস পায়।
ঘামের উপকারীতা : ক) শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে খ) রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় গ)ঘামে জ¦র ছাড়ায় ঘ) হিটস্ট্রোক কমায় ঙ) অতিরিক্ত লবণ, কোলেস্টেরল ও অ্যালকোহল এবং মানবদেহের অন্যান্য ৩০ শতাংশ অপঃদ্রব্য নিঃসৃত হয় ঘামের মাধ্যমে চ) ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত লবণ ও ক্যালসিয়াম বের হয় বিধায় কিডনীতে পাথর সৃষ্টির সম্ভাবনা কমে ছ) ঘামের মাধ্যমেই শরীরের ভেতরকার এবং ত্বকের উপরিভাগের ময়লা বের হয়ে আসে জ) ত্বকে ব্রণের সমস্যা হ্রাস করে ঝ) ঘাম ত্বকের বন্ধ ছিদ্র পথগুলো উন্মুক্ত করে দেয় যা ত্বকের নির্মলতা ও গঠনে ভিন্ন মাত্রা দেয় এবং বুড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণগুলোকে ধীরগতি করে দেয়। ঞ) ঘামার ফলে এনডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয় যা ব্যথা কমায় ট) ঘামের সঙ্গে ডার্মসিডিন নামক এক ধরনের এন্টি মাইক্রোবিয়াল পেপটাইড নিঃসরণ হয় যাহা সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে ঠ) বাড়তি ওজন কমায় ড) ঘাম নিঃসরণ কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ¯œায়ুতন্ত্রকে মেঝাঝ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ঢ) ঘামার ফলে মস্তিষ্কের কোষ সমূহের কার্যকারীতা বাড়ার মাধ্যমে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ক্ষমতা বাড়ায়।

ঘর্মাক্ত কলেবরে বাড়ী ফিরলে যা মনে রাখবেন : ১) প্রথমে ঘাম মুছে ফ্যানের বাতাসে অতঃপর ব্যবস্থা থাকলে এসি এর বাতাস লাগানো ২) ফ্রিজের ঠা-া পানি না খেয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রার ঠা-া পানি বা সরবত খাওয়া ৩) তৎক্ষণাৎ গোসল না করে প্রথমে কিছুটা জিরিয়ে অতঃপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দ্বারা গোসল সারা।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
বুকে ব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, নিশ^াস নিতে সমস্যা বা হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

উপসংহার : এ পর্যন্ত যেটুকু আলোচনা হলো তার সারমর্ম হিসেবে উপসংহারে বলতে চাই যে, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের মাধ্যমে অতিরিক্ত ঘামানো থেকে রেহাই পাওয়া তেমন কঠিন ব্যাপার নয়। যেমন : পানি বেশী পান করা, সুতী পোষাক পরিধান করা, পানি সমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাকসবজী প্রচুর খাওয়া, ধূমপান ও অতিরিক্ত চা পান পরিহার করা, মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া, বাড়তি ওজন কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রা খা ইত্যাদি। ঘামনিরোধক, দুর্গন্ধনাশক, বডি স্প্রে ইত্যাদির স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবহার সম্পর্কে ভবিষ্যতে লেখার আশা রাখি।

ডা. হাসান শহীদুল আলম ডায়াবেটিস ও চর্মরোগে ¯œাতকোত্তর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চিকিৎসক, চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট