চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিশুশ্রম বন্ধে পদক্ষেপ চাই

১১ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:০০ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ভয়াবহ সমস্যা হলো শিশুশ্রম। বর্তমানে বাংলাদেশেও শিশুশ্রমের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

শিল্পায়নে কম খরচে অধিক পণ্য উৎপাদন করতে সর্ব প্রথম শিশুদের শ্রমিক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সেই থেকে শিশুশ্রম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এ বলা আছে, চৌদ্দ বছরের নিচে কোন শিশুকে কাজে নেয়া যাবে না, তথা তাদের শ্রমে নিষিদ্ধ। তাছাড়া আঠারো বছরের কম বয়সী শিশুদের ঝুঁকি পূর্ণ কাজে নিয়োগ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‘জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আঠারো বছরের চেয়ে কম বয়সী ছেলে- মেয়েদের শিশু হিসাবে ধরা হয়েছে’।

শিশুদেরকে বেতন, মুনাফা বা বিনাবেতনে কোন পারিবারিক খামার, উদ্যোগ বা সংস্থায় কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া বা কাজ করিয়ে নেওয়াকে শিশুশ্রম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। শিশুশ্রম বলতে শ্রমের সময় প্রত্যক্ষভাবে উৎপাদন কাজে এবং পরোক্ষভাবে গার্হস্থ্য কাজে শ্রম ব্যয় করাকে বোঝায়। বিশেষজ্ঞদের ঐক্যমত্য অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল ক্ষেত্রে শিশুর জন্য শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক দিক থেকে ক্ষতিকর এবং শিশুর প্রয়োজন ও অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন বঞ্চনামূলক শ্রমই হলো শিশুশ্রম।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক ব্যবহার হয় পোশাক শিল্প, চামড়া শিল্প, ইট ভাটা, জুতার কারখানায়, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপগুলোতে। বর্তমানে অনেক শিশুকে রাস্তায় রিকশা চালাতেও দেখা যায়। এছাড়াও মাঝারি যানবাহন- লেগুনা, টেম্পুতে চলন্ত অবস্থায় যাত্রী ওঠানো, ভাড়া আদায় করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে থাকে। তবে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন দোকান-পাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যান্টিন গুলাতে শিশু শ্রমিকের মিলন মেলা দেখা যায়।
আমরা সকলে সচেতন হলে শিশুশ্রমিক মুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। উন্নতির দ্বারপ্রান্তে সোনার বাংলাকে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। সেটা ভাবনায় রাখতে হবে এখন থেকে।

মো. রাশেদুল ইসলাম
ঢাকা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট