চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে?

মোহিত উল আলম

১০ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:০৬ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি সাবেক হওয়া যুবলীগ নেতা স¤্রাট ধরা পড়ার উত্তেজনা শেষ হতে না হতেই বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে তার নিজেরই ছাত্রাবাসে পিটিয়ে হত্যা করার ভয়ানক ঘটনাটা ঘটে গেল। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে আটজনকে আটক করেছে তারা। হয়তো আরো কয়েকজন আটক হবে। কুষ্টিয়ার বাড়িতে আবরারের মায়ের কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পুরো জাতিকে কাঁদাচ্ছে। বুয়েটের সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি দু’জনেই আবরারকে পেটানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে।

বর্তমানের সরকারের জন্য একটি কঠিন সময় যাচ্ছে এ জন্য যে যখন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমানুষিক মেধা ও শ্রম দিয়ে, ঘুমের অল্প সময়টুকু ছাড়া বাকি সময় দেশের কল্যাণে ব্যয় করছেন, তখন তাঁরই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয় এ রকম কাজ অকাতরে ঘটে যাচ্ছে, ঘটিয়ে যাচ্ছে তাঁর দলের এবং অঙ্গ সংগঠনের কিছু লোক। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই অবস্থানটি শুধু তাঁর নিজের ¯œায়ুচাপের জন্য নয়, জাতির বিবেকবান অংশের ¯œায়ুচাপেরও জন্যও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে দেশকে একটি অগ্রবর্তী সমাজে পরিণত করার চেষ্টায় ব্যাপৃত, কিন্তু সেখানে স¤্রাটের উত্থান (এবং পতন) ও আবরারের মৃত্যু যেন অশনি সংকেত।

শরীরের রোগ হয় দু’টো, একটা হচ্ছে সর্দি, যেটা দেখা যায়, রুমাল দিয়ে ঘন ঘন নাক মুছতে হয়। কিন্তু সর্দিটা লক্ষণ, আসলে সর্দি যে কারণে হয় সেটা দেখা যায় না, কিন্তু সেটার চিকিৎসা না করলে সর্দি সারে না। সেজন্য স¤্রাটের গ্রেপ্তার যতোই দর্শন তৃপ্তিদায়ক ব্যাপার হোক না কেন, স¤্রাটের ক্যাসিনো সা¤্রাজ্যের পত্তন হচ্ছে লক্ষণ, কিন্তু কী কারণে স¤্রাট স¤্রাট হয়ে উঠলো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির প্রায় নাকের ডগায় তার সা¤্রাজ্য বিস্তার করতে পারলো- এ কারণটা চিহ্নিত করে সেটি দূর করাটাই হচ্ছে সমস্যার সমাধান।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষার পাদপীঠ বুয়েটে যখন ভিন্নমত পোষণ ও সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রতি চুক্তি হওয়া বাংলাদেশ-ভারতের কিছু বিষয়কে সমালোচনা করে আবরার তার ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিল, সেটি দেখে বুয়েট ছাত্রলীগের (এখন তারা বহিষ্কৃত) নেতৃত্ব তাকে ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নেয়, যেটি টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত (ডেইলি স্টার, ৮ অক্টোবর), এবং সেখানে প্রথমে জেরা, তথ্য অনুসন্ধান, ও তারপরে ব্যাপক মারধর করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।

আবরারকে মারধরের প্রত্যক্ষ ভিডিও ফুটেজটি হয়তো পাওয়া সম্ভব হবে না, কিন্তু এর মধ্যে বরগুণার রিফাৎ শরীফ বা তারও আগে শিশু ছিনতাইকারী হিসেবে চিহ্নিত করে এক শিশু-স্কুলের সামনে একজন প্রতিবন্ধী মহিলাকে জনতা পিটিয়ে মারার দৃশ্য আমরা দেখেছি। কয়েকজন মিলে একজনকে মারার দৃশ্যের একটি পরিচিত প্যাটার্ন আছে। প্রথমে একজন মারবে কি মারবে না এভাবে এগিয়ে যায়। কিন্তু একবার একজন মারতে শুরু করলে তখন মনস্তাত্ত্বিকভাবে সেটি উপস্থিত অন্যদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়, এবং তারাও পেটানোতে অংশগ্রহণ করে। এটি মব সাইকোলোজি বা জন-মনস্তত্ত্ব, এবং এ মনস্তাত্ত্বিক প্যাটার্নটি যুবাদের বয়সের ধর্মের কারণে খড়ের গাদায় আগুন লাগার মতো কাজ করে। আবার অপরাধকান্ডের একটি নিজস্ব চরিত্র আছে। দূর থেকে অপরাধকে অপরাধ মনে হয়, কিন্তু অপরাধের গন্ডির মধ্যে একবার ঢুকে গেলে তখন অপরাধ অপরাধীর মনে নিজস্ব একটি যুক্তিবোধ তৈরি করে, যার ফলে অপরাধকে অপরাধীর কাছে আর অপরাধ মনে হয় না। তখন যে লোকটাকে তারা মারতে থাকে, তাকে তাদের কাছে আর মানুষ মনে হয় না, এবং তখন নৃশংসতার নিষ্ঠুরতম উদাহরণ তৈরি হয়। জন-মনস্তত্ত্বের সঙ্গে অপরাধবোধের আপাত: স্বাধীনতাবোধ মিশ্রিত হলেই রিফাৎ শরীফ, ফেনীর রাফি বা বুয়েটের আবরার হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা সংঘটিত হয়।

তারপরও আবরারকে হত্যার ঘটনাটা ব্যতিক্রম। কারণ কেবলমাত্র মেধার দিক থেকে দেশের শীর্ষ ফলাফলকারীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। যারা আবরারকে মেরেছে তাদের ফলাফল গণমাধ্যমে আসেনি, কিন্তু আবরারের ফলাফল এসেছে, এবং জানা গেছে সে স্কুল ও কলেজে জীবনে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি, এবং এসএসসি ও এইচএসসি’তে দুবারই গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। ধরে নিচ্ছি, তাকে যারা মেরেছে তারাও ফলাফলের দিক থেকে ঐ কাছাকাছি ফলাফল নিয়েই বুয়েটে অধ্যয়ন করছিলো।

কিন্তু তারা রাজনীতির নামে নিজেদেরকে বিপথে পরিচালিত করছিলো, একজন সহপাঠীকে মেরে ফেলার মতো গুরুতর অপরাধটি করে ফেলল। শুধু আবরারের বাবা-মা নয়, যাঁরা শোকাতুর; এই হত্যাকারী যুবকদের মা-বাবাওতো একই কারণে শংকিত হয়ে উঠবেন ভেবে যে তাঁদের এত মেধাবী ছেলেটি নরহত্যার মতো পাপ কী করে ফেলল! আবরারের বাবা-মা যেমন আর কোনদিন তাঁদের ছেলেকে প্রকৌশলী হিসেবে দেখবেন না, এক অর্থে এই হত্যাকারীদের মা-বাবারাও তাদের ছেলেদেরকে হয়তো আর প্রকৌশলী হিসেবে দেখবেন না। হয়তো ছেলেদেরকে চরম শাস্তি পেতে দেখবেন তাঁরা।
সর্দি রোগের কারণটা ঠিক এই জায়গাতেই। সকল দলীয় রাজনীতির একটি আদর্শ থাকে, যেটি ব্যানারে লেখা যায়, বক্তৃতায় বলা যায়, সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচার করা যায়, কিন্তু রাজনীতির আদর্শের চর্চার বাস্তবক্ষেত্রটা একেবারেই অন্যরকম। কারণ সকল রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে ক্ষমতার সম্পর্কটা বাম চোখের সঙ্গে ডান চোখের সম্পর্কের মতো। আদর্শ বায়বীয় একটি চেতনার মতো হলেও ক্ষমতা হচ্ছে প্রধানত অর্থনীতি-সংশ্লিষ্ট নিরেট বাস্তব। মধ্যযুগের সামন্তপ্রথার ভাষায় বললে ক্ষমতা হচ্ছে নিরেট রাজমুকুট, সিংহাসন এবং রাজদন্ডের মতো বস্তুবাদী একটা ব্যাপার। এই প্রতিটি বস্তুর ওপর অধিকার সে যুগে রাজার ক্ষমতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতো। মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগ এবং উত্তরাধুনিক যুগে ক্ষমতার সঙ্গে অর্থনীতির এ নেটওয়ার্কিংটা জটিল ও খানিকটা আন্ত:সাংঘর্ষিক। কারণ ক্ষমতা বজায় রাখা হয় প্রধানত একটি অনুসারী বা সমর্থক দল তৈরি করার মাধ্যমে। আদর্শের প্রকৃত অনুসারীরা এ জায়গাটাতে মার খায়। বরঞ্চ ফেইক, নতুন গজিয়ে ওঠা, আদর্শ বদলকারী, ব্যক্তিপূজায় বিশ্বাসী, দলবদলকারী এবং সুযোগ সন্ধানীরা এই আপাত: আকর্ষণীয় কিন্তু বস্তুত ফেইক সমর্থন গোষ্ঠী তৈরি করে, যারা আদর্শে দুর্বল, কিন্তু পেশীবহুল, দুর্বৃত্তপরায়ণও সম্পদলোভী। এরাই দেখা যায় মাঠ দখল করে রাখতে ওস্তাদ। আবার মাঠ যার দখলে, ক্ষমতাও তার দখলে, এরকম একটি অযাচাইকৃত প্রতীতি থেকে অনেক সময় শাসকদল ভোগে। সেজন্য একটি রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন ম্যাকিয়াভেলী কথিত রাজনৈতিক দ্বি-চারিতা হয়ে ওঠে সে দলের রাজনৈতিক আচরণের প্রথম বৈশিষ্ট্য। আদর্শের কথা বলা হবে, গণতন্ত্রের কথা বলা হবে, কিন্তু কার্যত লক্ষ রাখতে হবে মাঠটা দখলে আছে কীনা। মাঠ দখলে রাখার এ বাস্তব প্রয়োজনটা তৈরি করে কিছু অনাকাক্সিক্ষত উপসর্গের, যেটির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের যারা থিংকট্যাংক বা নিউক্লিয়াস বা মূল নেতৃত্ব তাদের সঙ্গে এদের সম্পর্কটা হয় লাভ-হেইট সম্পর্ক। এইটিই অন্ত:সাংঘর্ষিক প্রেক্ষাপট। সুশীল, আদর্শবাদী রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিউক্লিয়াস এই অশুভ উপসর্গের উত্থান হোক তা একেবারেই চায় না। কিন্তু ভয় থাকে এই অনিষ্ট উপসর্গগুলিকে যদি পালানো হয়, তাহলে মাঠ দখলে থাকবে কী করে! উপর্সগগুলিকে ফেলাও যায় না, গেলাও যায় না। এ কারণেই হাটডাকা, টোলডাকা, নির্মাণ কাজের তদারকি নেওয়া বা বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজীর শক্তিশালী সিন্ডিকেইট তৈরি করা, কিংবা ক্যাসিনো বাজীর মতো অতি সফিস্টিকেইটেড জুয়ার আসর বসানোর সংস্কৃতি তৈরি হয়, ক্ষমতার উৎসে লুকিয়ে থাকা এই ভয়টা থেকে যে এই আশকারা গুলি না দিলে মাঠ দখল করে রাখবে কারা! ক্ষমতাসীন দলের এই মনোভাবটা বুঝে আইনশৃক্সক্ষলাবাহিনীর আচরণও থাকে নমনীয় ও ক্ষেত্রবিশেষে ভাগীদার হিসেবে। এবং আন্ত:সংঘর্ষটা এ জায়গায়ও ঘটে।

ওপরের ব্যাখ্যাটির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দলীয় ছাত্র-রাজনীতির চরিত্রটাও বোঝা যায় আশা করি। বর্তমান সরকারের অত্যন্ত সফল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রচুর উন্নয়ণমূলক কাজ চলছে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র-রাজনীতির নামে কিছু নেতৃত্ব তৈরি হয় যারা নানাভাবে এই উন্নয়ণমূলক কাজে অন্যায়ভাবে অংশগ্রহণ করতে চায়, এবং প্রকারান্তরে উন্নয়ণ কাজের বিঘœ ঘটায়, এবং প্রকারান্তরে সরকারের সদিচ্ছার যবনিকা টানে। কিন্তু এসব অবৈধ কাজ করতে তারা অবলীলাক্রমে দলীয় আদর্শের বুলি কপচায়। এটিও আন্ত:সাংঘর্ষিক প্যাটার্নের একটি উদাহরণ।

কিন্তু, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে আমি একমত যে, এতদসত্ত্বেও বুয়েটের ঘটনাটি একেবারেই ব্যতিক্রম। কারণ এখানে শুধুমাত্র ভিন্নমত পোষণ করার কারণে একটি অত্যন্ত মেধাবী ছেলের প্রাণ চলে গেল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুধুমাত্র ভিন্নমতের জন্য কাউকে মেরে ফেলতে হবে এটা ঠিক নয়।
আবরারের গণমাধ্যমে আসা ঘটনাটার বিশ্লেষণ করে আমি যেটা বুঝতে পারি, সেটা হলো যে তারা আবরারকে টার্গেট করেছিলো তার ভিন্নমত পোষণ বা শিবির করার সন্দেহ থেকে বা ফেইস বুকে তার দেওয়া শেষ স্ট্যাটাসটির কারণে, তা নয়। কারণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লোকের সাক্ষাৎকার থেকে বুঝতে পারি আবরারের রাজনৈতিক ধারণা নিয়ে সরকারি ছাত্র সংগঠনটির নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট ছিল বা উপদ্রুত ছিল তা মনে হয় না, তবুও তাকে মারা হলো এ জন্য যে এই বুয়েট নেতৃত্বটি তাদের উচ্চবর্গের নেতৃত্বের কাছে জানান দিতে চেয়েছিলো যে তারা সরকারি দলের সমর্থনে এমন একটা কিছু করবে, যাতে তাদের প্রতি নেতৃত্বের গুণমুগ্ধতা বেড়ে যায়। যুবামনস্তত্ত্বের কাছে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রশংসা আদায় করাও রাজনৈতিক আচরণের প্রোটোকলে একটি স্বীকৃত অণুষঙ্গ। এবং আবরারের শেষ স্ট্যাটাসটি সম্ভবত তাদেরকে সে সুযোগ তৈরি করে দেয়। তাদের গ্রুপ ভাষাটাকে যদি আমি অনুমান করতে পারি, সেটা হবে এরকম: “হ্যাঁ, আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী এরকম একটা ভালো চুক্তি করে এসেছে, আর তুই সেটার সমালোচনা করিস, ব্যাটা, তোর এত সাহস!” কিন্তু এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি যে নিতান্তই অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী, এবং এর ফলে যে গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক চর্চা চলে সেটা তারা খেয়াল করতে পারে না।

এবং তারা এটাও বোঝে না জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী যে এইসব কূট-ক চালের অনেক ওপরের স্তরের পরিপক্ক নেত্রী এবং তাদের এই স্বার্থবাদী সমর্থন যে নিতান্তই সাবানের বুদবুদ সেটি তাঁর কোনদিনই অনুভব করতে দেরি হয়নি। যারা অন্যায় করে, অপরাধ করে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন যোগানোর চিন্তা করে তারা বোকাদের জন্য নির্ধারিত স্বর্গেরও নীচে বাস করে। প্রকৃত দেখা যায় কি, দল যখন বিপদে পড়ে, নেতৃত্ব যখন সংকটে নিপতিত হয়, তখন এরাই সর্বাগ্রে উধাও হয়, ভোল পাল্টে ফেলে, যেটি প্রকৃত আদর্শ অনুসারীরা কখনো করে না।

তাই জাতি যেটি কায়মনোবাক্যে চায় সেটি হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন তাঁর শুদ্ধি অভিযানের রাস্তায় সদর্পে শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন। ঐ জায়গাটায় সাধারণ মানুষের একশত ভাগ সমর্থন থাকে, এবং থাকবে। কোন ‘স¤্রাট-ট¤্রাটের’ ওপর নির্ভর করে নয়, জনগণের অপার, সৎ ও যৌক্তিক সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চললে একদিন বাংলাদেশ ‘সোনার বাংলা’ হবেই।

ি মোহীত উল আলম: ডীন, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ; অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট