চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

অশ্লীলতা এবং বহিরাগত সংস্কৃতি!

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ

নারীর শরীর বন্দনায় রচিত হয়েছে অনেক সাহিত্য। সেই সব সাহিত্যের পাঠক জনপ্রিয়তা ও কম নয়। জনপ্রিয়তার লাগাম ধরে লেখকও ধন-মান দুই অর্জন করছেন। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বা বিভিন্ন প্রদর্শনীতে নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তা অনেকটা পণ্যের মত। আপনি হয়ত বলবেন এতে সমস্যা কি বিশ্বের সাথে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
বহিরাগত সংস্কৃতির প্রবেশ সেই মাত্রাটাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে দেশে ধর্ষণের হার বেড়ে যাওয়ার পিছনে নারীদের কি কোনই ভূমিকা নেই? তাদের এমন উগ্র চলাচল কি সমাজে তাদের স্থান বহুতলায়? মোটেও তেমনটি নয়।
অশ্লীলতার মাত্রা শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, মাঝে মাঝে তা অতিক্রম করে পরিবারের সীমাও। নিজের দেবরকেও যে নিজের ২য় স্বামী অথবা কাজের ছেলে কিংবা ড্রাইভারের সাথেও যে গোপন সম্পর্ক করা যায় তা শুধুমাত্র বিদেশি সিরিয়াল থেকেই মাথায় এসেছে। আগে এর পরিমাণটা কম হলেও বর্তমানে দিন দিন এর হার বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণে। নারীর খোলামেলা পোশাকের চলনটাও বহিরাগত সিরিয়াল থেকে শেখা।

মেয়েরা আজকাল নিজেদের মতো করে নিজেরা আসা-যাওয়া করে যেখানে-সেখানে। এ ব্যাপারে কেউ কোন কথা বললে তা যেন কেউ তার মাথায় আঘাত করল এমন বুঝায়। নিজেদের পোশাকের ব্যাপারেও তারা বেশ অনড়। খোলামেলা পোশাক পরতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করে। এমন পোশাক পড়লে মানুষের কটুবাক্য ত শুনতে হবেই, তাছাড়া কজনের মুখই বা আটকে রাখা যাবে? ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারটা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে। আজান দিলে যে মুসলিম মেয়েরা মাথা কাপড় দিতো তা ক’জনই বা জানে। পোশাকটা হচ্ছে ব্যক্তি স্থান কাল পাত্র বিবেচনায় যেটা সবচাইতে প্রয়োজনীয় সেটাই বেছে নিতে হবে। সুইমিং পুলে নিশ্চয়ই বোরকা পরে নামা যাবে না। আবার বাংলাদেশের কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিশ্চয়ই সুইমস্যুট পরে হাজির হওয়া শোভন নয়। পরিবেশ বুঝে পোশাক নির্বাচন করতে হবে।

নারীদের নিজেদের বাচাতে নিজেদের কঠোর হতে হবে। নিজেকে নিজে আগলে রাখতে পারলে বদলে যাবে ধর্ষণের চিত্র। কমে যাবে কাপুরুষের দলের সংখ্যাও তবে তার আগে নারীদের নিজদের নিজে ঠিক করে নিতে হবে। এভাবেই বদলে যাক নারী, সমাজ, দেশ।

সোহেল নবী
শিক্ষার্থী, বিজিপিএসসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট