চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডাকবাক্স

৬ মে, ২০১৯ | ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেমন অনেক নতুন জিনিস আমাদের জীবনে যুক্ত হয়, তেমনই অনেক পুরনো জিনিসও বিলুপ্তির পথে পা বাড়ায়, এরকমই একটি ডাকবাক্স। ডাকবাক্সের অস্তিত্ব থাকলেও তার কদর নেই। একসময় নীল, হলুদসহ পোস্ট অফিসের প্রতীক লাল রঙের ডাকবাক্স চোখে পড়ত যত্রতত্র, দেয়ালে, গাছে, স্টেশনে, প¬াটফর্মে। এ সমস্ত ডাকবাক্স থেকে দিনে কয়েকবার খুলে ডাক বিভাগের লোকজন চিঠিপত্র সংগ্রহ করতেন। কিন্তু এখন আর সেইসব ডাকবাক্স তেমন একটা চোখে পড়ে না। চোখে পড়ে না ডাকবাক্স খোলার দৃশ্যও।
বর্তমানে যে ডাকবাক্সগুলো রয়েছে, অব্যবহৃত হয়ে প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে অধিকাংশই। দিনের পর দিন খোলা হয়নি এমন বাক্সের সংখ্যাও কম নয়। ডাকবাক্সগুলোতে চিঠির পরিবর্তে থাকছে ময়লা-আবর্জনা। জেলা এবং উপজেলার কিছু ডাকঘরের ডাকবাক্স ব্যতীত সবকটিরই নাজুক অবস্থা। অযত্ন-অবহেলায় বৃষ্টিতে ভিজে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে স্থাপিত ডাকবাক্সগুলোর বেশিরভাগই জরাজীর্ণ অবস্থা। অধিকাংশ জায়গায় গেলেই দেখা যায় চিঠি রাখার বাক্স মাটিতে দেবে যাচ্ছে। চারপাশে জন্মেছে আগাছা। ডাকবাক্সগুলো দিনের পর দিন থাকে বন্ধ, তাতে চিঠির পরিবর্তে স্থান পাচ্ছে বিড়ি-সিগারেটের প্যাকেট, ময়লা ও বাজে কাগজপত্র। তলাবিহীন এসব ডাকবাক্স এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে! ডাকবাক্সের কোনোটা মরচে পড়ে ফুটো হয়ে গেছে। কোনোটায় দীর্ঘদিন ধরে তালা নেই। আবার কোনোটা ভেঙে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ডাকবাক্সের এমন দুরবস্থার পাশাপাশি এগুলো নিয়মিত খোলা এবং রক্ষণাবেক্ষণও হয় না। ডাকবাক্স রাষ্ট্রীয় সমপদ। সারা দেশের ডাকবাক্সগুলোর অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত করুণ। আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রসরতায় গুরুত্ব হারাতে বসেছে ও বিলীন হওয়ার পথে রুগ্ন ডাকবাক্সগুলো; শুধু ইতিহাসের কালের সাক্ষী হিসাবে রাস্তার ধারে যেন দাঁড়িয়ে আছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মুনযির আকলাম
কোরপাই, কুমিল্লা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট