চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইলেকট্রনিক সাক্ষ্য : প্রেক্ষিত বাংলাদেশের সাক্ষ্য আইন

জিয়া হাবীব আহসান/সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন

৩০ আগস্ট, ২০১৯ | ১:০৩ পূর্বাহ্ণ

ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশ উপনিবেশকালে ১৮৭২ সনে প্রণীত সাক্ষ্যআইন প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে উপরোক্ত সাক্ষ্যআইন এদেশেও চলতে থাকে। দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় আইনী ব্যবস্থায় পদ্ধতিগত আইন হিসেবে সাক্ষ্যআইন প্রচলিত আছে। সাম্প্রতিক কয়েক দশকব্যাপী চলমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগান্তকারী উন্নয়ন ও উৎকর্ষতা আইন ও বিচার প্রক্রিয়ার প্রভাব সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং, ইলেকট্রনিক মেইল, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন কমেন্টস্, ডিজিটাল সিগনিচার, মোবাইল ফোনের কল/টেক্সট রেকর্ড, এটিএম ট্রান্স্যাকশন লগ, ওয়ার্ড প্রসেসিং ডকুমেন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউসার হিস্টোরী, গ্লোবাল প্রসিশনিং সিস্টেম ট্র্যাক, কম্পিউটার ব্যাকআপ প্রভৃতি ডিজিটাল ফর্মে প্রযুক্তিগত বিষয় সম্পর্কে সাক্ষ্য আইনে কোন সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় তৎসমূহ সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণে বিচারক ও আইনজীবীকে গলদগর্ম হতে হয়। এতে করে অনেক ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর কয়েক হত্যাকান্ডের ও অপরাধকা- সংঘটনের জলজ্যান্ত দৃশ্যের ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে ধারণ করা ভিডিও রেকর্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। দুয়েকটির আবার অপরাধ সংঘটনের প্রচেষ্টা, অভিপ্রায়ের অডিও রেকর্ডও একইভাবে প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে। চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যা, শিশু রাজন হত্যা, গাইবান্ধার সাবেক সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায়, বরগুনায় রিফাত হত্যা এবং সর্বশেষ রাজধানীর বাড্ডায় গুজবের শিকার রেনু হত্যা ইত্যাদি মামলার ঘটনায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজই প্রমাণ করে কারা খুনি। এছাড়াও বর্তমানে প্রচুর অপরাধ ঘটছে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। যেগুলোর সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়ে যাচ্ছে সেই ইন্টারনেট ও সংশ্লিষ্ট ডিভাইসগুলোতেই। যেমন কোনো ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি বা চাঁদার জন্য ভীতি প্রদর্শন আমাদের দন্ডবিধির অধীনে গুরুতর অপরাধ। এখন কোনো ব্যক্তি যদি এই অপরাধগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে, ই-মেইল বা মোবাইলের মাধ্যমে ঘটিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হলে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে সংশ্লিষ্ট কোনো স্ক্রিনশট কিংবা মোবাইলের অডিও রেকর্ড। আবার কখনো কখনো সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ কেবল অডিও-ভিডিও কিংবা ছবি ছাড়াও অন্য কোনো মাধ্যমে থেকে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ডিজিটাল এভিডেন্সের উপরে নির্ভর করে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার। কেননা, এরকম বহু ক্ষেত্রই তৈরি হতে পারে, যেখানে ডিজিটাল এভিডেন্স ছাড়া আর কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করাই সম্ভব না।
এছাড়াও, স্থাবর সম্পত্তি বা অর্থ সংক্রান্ত দেওয়ানী মামলায় অনেক ডিজিটাল/ইলেকট্রনিক এভিডেন্স থাকলেও সুস্পষ্ট আইনী ব্যাখ্যা বা গ্রহণ করার কোন প্রক্রিয়া না থাকায় অনেক দেওয়ানী মামলায় সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দুরূহ হয়ে পড়ে। প্রচলিত আইনে ভিডিও ও অডিও রেকর্ড এবং ইমেইল টেক্সটসহ বিভিন্ন ডিজিটাল/ইলেকট্রনিক এভিডেন্স গ্রহনযোগ্য হলেও দেওয়ানী বিচার প্রক্রিয়ায় আরো গতিশীলতা আনয়ন করা সম্ভবপর হবে। আইনে ডিজিটাল/ইলেকট্রনিক এভিডেন্স এর সরাসরি গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় বর্তমানে সময়ের ট্রেডমার্ক, কপিরাইটস্, ট্রেড সিক্রেট ও পেটেন্ট রাইটস্সহ বিভিন্ন ইনটেলেকচুয়াল প্রোপ্রার্টি সংক্রান্তে মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বিচার প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টদের অনেক বেগ পেতে হয়। এতে করে, সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।

আইনে ডিজিটাল/ইলেকট্রনিক সাক্ষ্যের গ্রহণযোগ্যতা ঃ সাক্ষ্যআইনে ইলেকট্রনিক/ডিজিটাল সাক্ষ্য সংক্রান্তে কোন বিধান থাকলেও ৩৭ ডিএল.আর ২৭৫ পৃষ্টায় বর্ণিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগ মিসেস খালেদা আক্তার বনাম রাষ্ট্র মামলায় ভিডিও ক্যাসেট ডক্যুমেন্টারী এভিডেন্স হিসেবে গ্রহণযোগ্য বলেছেন। জাস্টিস এ টি এম আফজাল এবং আমিন-উর-রহমান পর্যবেক্ষণ করেন যে, যদি কোন টেপ রেকর্ডকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তাহলে কোন ভিডিও রেকর্ড সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে কোন প্রকার আপত্তি যুক্তিযুক্ত নয় । শুধুমাত্র সাক্ষ্য আইনের অস্পষ্টতার অজুহাতে কোন ক্রশিয়াল এভিডেন্সকে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করা যাবে না। তারও আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এআইআর ১৯৬৪এস সি ৭২ পৃষ্ঠায়, এআইআর ১৯৬৮ এস সি ১৪৭ পৃষ্ঠায় এবং পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট পিএলডি ১৯৭৬ এস সি ৫৭ পৃষ্ঠায় টেপ রেকর্ডকে ডক্যুমেন্টারী এভিডেন্স হিসেবে গ্রহণযোগ্য বলেছেন।

তথাপিও মূল সাক্ষ্যআইনে ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্স এর কোন সংজ্ঞাগত বা পদ্ধতিগত ব্যাখ্যা না থাকায় সাধারণ আইনের বিচারকালে অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। আশার কথা এই যে, ইলেকট্রনিক এভিডেন্স এর গুরুত্ব অনুধাবন করে, আইন প্রণেতাগণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০২, আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২, মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১, ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্সকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধানের অনুপস্থিতি আমাদের সাক্ষ্য আইনের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। তথ্য প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এই সময়ে দৈনন্দিন জীবন-যাপনে ইলেকট্রনিক্স এর ব্যাপক ব্যবহারের ফলে বিচারিক ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক্স এভিডেন্স এর সংজ্ঞাগত ও পদ্ধতিগত বিষয় সংযুক্ত করে সাক্ষ্য আইন (সাক্ষ্য, ১৮৭২) সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

আইনে গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্যের ব্যাখ্যা ঃ বাংলাদেশে প্রচলিত সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ এর ৩ নং ধারায় প্রধানত দুই রকম সাক্ষ্য বা এভিডেন্সের কথা বলা হয়েছে। যথাক্রমে মৌখিক সাক্ষ্য ও দালিলিক সাক্ষ্য। মৌখিক সাক্ষ্য হল সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়ে যা কিছু বর্ণনা করেন বা মুখে বয়ান করেন। আর দালিলিক বা ডক্যুমেন্টারি সাক্ষ্য হল আদালতের নিরীক্ষণের জন্য যেসব ডক্যুমেন্ট, দলিলাদি, নথি-পত্র উপস্থাপন করেন। প্রশ্ন হলো ডিজিটাল এভিডেন্স কি সাক্ষ্য আইনে বর্ণিত দালিলিক বা ডক্যুমেন্টারি সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য হবে? আপাতঃ দৃষ্টিতে ডিজিটাল এভিডেন্স সাক্ষ্য আইনের ৩ নং ধারা অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য না। প্রতিবেশী ভারতে সাক্ষ্য আইনের ৩ (১) নং উপধারা সংযোজন করায় ডিজিটাল/ইলেকট্রনিক সাক্ষ্যকে গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য করা হয়।
অবশ্যই, না হওয়ারই কথা, ১৮৭২ সালে স্যার জেমস ফিটজজেমস স্টিফেন সাহেবরা যখন ড্রাফট করেছিলেন তখন এসব ইলেক্ট্রনিক অডিও বা ভিডিও বা অডিও ভিজুয়াল রেকর্ড যে আগামীতে কখনও আসতে পারে তা কল্পনা করার মতো বাস্তবতা ছিল না। তাই বলে তাঁরা একেবারে অদূরদর্শী ছিলেন সে কথাও বলা যাবে না। সাক্ষ্য আইন মোতাবেক ডক্যুমেন্ট বা দলিল বলতে স্মারক হিসেবে ধরে রাখার জন্য কোন অক্ষর, সংখ্যা ও চিহ্ন যা কোন বিশেষ অবস্থার ইঙ্গিত করে বা বুঝায় । আইনের ৩নং ধারায় বর্ণিত ৫ টি ইলাসট্রেশানের কোন লেখা, প্রিন্টের মাধ্যমে কোন ছবি, মানচিত্র বা ব্যঙ্গচিত্রকে দলিল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিন্তু কোন ইলেক্ট্রনিক অডিও বা ভিডিও বা অডিও ভিজুয়াল রেকর্ডকে সুস্পষ্টভাবে দলিল হিসেবে বলা হয়নি ।
দালিলিক আর মৌখিক সাক্ষ্যের বাইরে আরেক ধরনের সাক্ষ্যও বিচারকাজে হরহামেসাই ব্যবহার হয়, যেটাকে বলা হয় বস্তুগত বা বাস্তব সাক্ষ্য (গধঃবৎরধষ ড়ৎ পবধষ ঊারফবহপব)। আমাদের আদালত অঙ্গনে যা আলামত নামে সমধিক পরিচিত। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৫ ধারার বিধান অনুযায়ী তদন্ত কর্মকমর্তা অপরাধ সংশ্লিষ্ট যে কোন আলামত জব্দ করতে পারেন, করেনও এবং এইসব আলামতের নির্দিষ্ট কোন প্রকার নেই, এইখানে আলামত বলতে ভিডিও ফুটেজ বা কোন অডিও রেকর্ডও হতে পারে । ১৮৭২ সালের এভিডেন্স এ্যাক্টের ধারা ৬০ এর ২ নং শর্তাংশের বিধান ও ক্রিমিনাল রুলস এন্ড অর্ডারের ১৬১ বিধি অনুযায়ী আদালতে বিচারের সময় আলামত প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয় । ফলে, ডিজিটাল এভিডেন্সকে দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ না করার কোন যুক্তি নেই ।

দালিলিক সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে, সাক্ষ্যটি প্রাথমিক (প্রাইমারি) নাকি দ্বৈতয়িক (সেকেন্ডারি) সাক্ষ্য। আদালতে প্রাথমিক সাক্ষ্যই উপস্থাপনের নিয়ম। তবে কিছু কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ক্ষেত্রে দ্বৈতয়িক সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হয়। এ ব্যাপারে যে বিস্তারিত নিয়মকানুন বর্ণিত আছে সাক্ষ্য আইনের ৬২ ও ৬৩ ধারায়, সেগুলো ডিজিটাল আলামতের কথা মাথায় রেখে প্রণীত হয়নি। ফলে ডিজিটাল আলামতের কোনটি প্রাথমিক সাক্ষ্য আর কোনটি দ্বৈতয়িক সাক্ষ্য সে ব্যাপারে আদালত দ্বিধাদ্বন্ধের ভেতর পড়ে যায়। একটি ডিজিটাল এভিডেন্সকে আদালতে কোন প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করতে হবে এবং এটি আসল নাকি নকল সেটি কীভাবে যাচাই করা হবে এখন পর্যন্ত কোনো আইনে এসব ব্যাপারে বিস্তারিত কার্যবিধি না থাকায় আইনে ডিজিটাল আলামতের স্বীকৃতি থাকলেও আদালতগুলো এ ধরনের সাক্ষ্য গ্রহণে বিব্রতবোধ করে থাকে।

আইনে গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্যের ব্যাখ্যা ঃ এখনকার ডিজিটাল যুগে ইলেক্ট্রনিক প্রযুক্তিতে এই নকলবাজি ও জালিয়াতির অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে, আমাদের দেশে প্রযুক্তিগত জালিয়াতি ও নকলাবজির সুযোগ ও প্রবণতা অনেক প্রশস্থ ও ব্যাপক। তাই ইলেক্ট্রনিক সাক্ষ্য-সবুদ গ্রহণ করার পদ্ধতি, আসলটা না থাকলে কী ধরনের কপি কিভাবে গ্রহণযোগ্য হবে, আসল-নকলের ফারাক বোঝার কী উপায় হবে এসব বিষয় আইনে সুনির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন। এইক্ষেত্রে, বিভিন্ন উন্নত দেশে ডিজিটাল ফরেনসিক এর ব্যবস্থা রয়েছে। যারা বিভিন্ন দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় উপস্থাপিত বা দাখিলকৃত বিভিন্ন ডিজিটাল এভিডেন্স বিশেষ করে ভিডিও রেকর্ড, অডিও রেকর্ড প্রভৃতি প্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই-বাচাইপূর্বক এর সত্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে থাকে। আমাদের দেশেও ডিজিটাল এভিডেন্স সংক্রান্তে আইন প্রনয়ণের ক্ষেত্রেও অনুরূপভাবে ডিজিটাল এভিডেন্স এর গ্রহণযোগ্যতা ও সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার নিমিত্তে ডিজিটাল ফরেনসিক এর মাধ্যমে সার্টিফিকেট দাখিল করার বিধান রাখা সমীচীন হবে। অধিকন্তু, ডিজিটাল এভিডেন্স সংক্রান্তে মূল আইনের বিধান সংযুক্ত করার সাথে সাথে তৎসংক্রান্তে রুল ও বিধি প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি মর্মে প্রতীয়মান হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট