চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কর্মঘণ্টার সুরক্ষায় শ্রম আইন

৫ মে, ২০১৯ | ১:১১ পূর্বাহ্ণ

দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সরকারি হোক বা বেসরকারি হোক যেকোনো কর্মক্ষেত্রেই কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট হওয়া দরকার। কর্মীদের অসম্মতিতে তাদের প্রতি অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা চাপিয়ে দেয়াটা শ্রম আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সাধারণত: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই অনিয়ম (কর্মীদের ইচ্ছেমতো খাটিয়ে নেয়া) বেশি পরিলক্ষিত হয়। পেটের দায়ে নীরবে সহ্য করা এসব বেসরকারি কর্মীদের প্রতি শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারের বিশেষ মনিটরিং টিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অবশ্য কেবল আইন প্রয়োগে মানবিক দিক বিকশিত করা যায় না। মানুষের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত না হলে এধরনের বিবেকহীনতা কখনোই থামানো যাবেনা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সচ্ছতা ও কর্মপরিবেশের দায়বদ্ধতাকে নিশ্চিত করতে না পারলে সৃজনশীলতার নাগাল পাওয়া যাবে না। চাকরি হারানোর ভয় দেখিয়ে কতিপয় মনুষ্যপ্রাণী কর্তাব্যক্তি তথা কর্তৃপক্ষ অধিকারহীনতায় কর্মীদেরকে কর্মজীবন বিষিয়ে তুলে।
মনে রাখতে হবে কেবল যান্ত্রিকতায় প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের শিখরে নেয়া যাবেনা, মূল্যয়ণপূর্বক অগ্রগতিতে অভিজ্ঞতা ও সাম্যতাকে নিশ্চিত করতে হবে। শক্ত হাতে স্বজনপ্রীতি ও উপহারপ্রীতিকে দমন করতে হবে। উপরি আয়ের আশায় অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিলে প্রশাসনিক শৃঙ্খলায় বিঘœ ঘটে, যা পুরো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই অতীত ও বর্তমানকে সঠিকভাবে বিচারপূর্বক ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় আত্মশুদ্ধি ও উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিতে হবে। এই সংকীর্ণতার গ-ি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আমাদের বোধশক্তি চরমভাবে ব্যহত হবে, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে। এ বিষয়ে সুচিন্তিত পদক্ষেপ থাকা দরকার।

শহিদ রাসেল
চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট