চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও বাংলাদেশ

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

১৯ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যূদয় ও এর সমাজ; অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পটভূমি কম-বেশি জাতির সকলেরই জানা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্ব ইতিহাসের অধ্যায়ে আজ যথার্থ অর্থেই উপস্থাপিত ও সমাদৃত। শোকাবহ ১৯৭৫, ১৫ আগস্ট। প্রায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বরণের হৃদয় বিদারক, বর্বরতম এবং সভ্যতার নৃশংসতম ঘটনা শুধু বাঙালির নয়, এই ধরিত্রির সকল বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে অব্যাহত রক্তক্ষরণ গভীর রেখাপাত করে আসছে। এই শোক কখনো ভুলবার নয়। চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ প্রেরণায় বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করে জয় বাংলা স্লোগানে স্পন্দিত বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় উদ্দীপ্ত হয়েছে।

অদম্য অগ্রগতিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে (রোল মডেল) বিশ্ব পরিমন্ডলে দেশ আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। এই দৃশ্যমান অগ্রযাত্রার পিছনে জননেত্রীর সুূদূূরপ্রসারী চিন্তা-চেতনা, বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা ও সাহসীকতার মূলে ছিল মূলতঃ বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক, শোষণহীন, মানবিক, গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্নগাঁথা। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যে অপশক্তি এই শোকাবহ আগস্ট মাস সৃষ্টি করেছিল তারা এখনো পরিপূর্ণভাবে পরাস্ত নয়। এই হত্যাযজ্ঞে জড়িত অপরাধী, কুশীলব ও তাদের প্রেতাত্মাদের নানাবিধ ষড়যন্ত্র চক্রান্তের অপচেষ্টা জোরালোভাবে সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন অপকৌশলে জাতিকে বিভ্রান্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত করার জঘন্য, নিকৃষ্ট পন্থায় প্রচার-প্রচারণা, গুজব ইত্যাদি বাংলার বাতাসকে করে চলেছে ভীষণ ভারাক্রান্ত।

জীবনব্যাপী যারা ন্যূনতম বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ স্বীকৃতি বা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেনি বরং সেনা ও স্বৈরশাসকদের ছায়াতলে থেকে চশমখোর সুবিধাবাদী গোষ্ঠী জাগতিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এই জাতি-রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার হীন কুচক্রে লিপ্ত ছিল, তারা চলচাতুরী; শঠতা; ধূর্ততার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ ও লবিং সংস্কৃতিকে কাজে লাগিয়ে সরকার বা সরকারি দলের বিভিন্ন পদ পদবী গ্রহণ করে গোপনীয়তার সাথে প্রতিনিয়ত দেশকে বিপর্যস্ত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এটি শুধু নিছক আমার অনুমান নয়, দেশপ্রেমিক অধিকাংশ মানুষেরই নীবিড় অনুমান বলে আমার ধারণা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে এবং এখনো কঠিন প্রত্যয়ে সকল নীপিড়ন-নির্যাতন, অবহেলা এবং মূল্যায়ণহীনভাবে জীবননাশের হুমকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনার কঠিন প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখনো যারা শতভাগ আস্থাশীল, তারা কেন জানি কোন এক অজানা শঙ্কায় আতঙ্কিত ও হতাশাগ্রস্ত। নিবেদিত, পরিক্ষিত সহযোদ্ধাদের কাছে এর ব্যাখ্যার কোন প্রয়োজন আছে কী? সম্ভবত বিশ্ব বরেণ্য মহাকাশ বিজ্ঞানী ও ভারতের প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম বলেছিলেন, ‘ঘবাবৎ বীঢ়ষধরহ ুড়ঁৎংবষভ ঃড় ধহুড়হব, নবপধঁংব ঃযব ঢ়বৎংড়হ যিড় ষরশবং ুড়ঁ ফড়বংহ’ঃ হববফ রঃ, ধহফ ঃযব ঢ়বৎংড়হ যিড় ফরংষরশবং ুড়ঁ ড়িহ’ঃ নবষরবাব রঃ.’
ক্ষমতা ও অর্থ লোভে হিং¯্র পশুর মতো মানুষ যে কত নিষ্ঠুর দানব হতে পারে, তা বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটে সহজেই অনুমেয়। অসমাপ্ত আত্নজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।’ আমার বিশ্বাস, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে ভয়ংকর মুখোশধারী চরিত্রগুলোকে আবিস্কার করতে এই দেশের জনগণ মোটেও দ্বিধান্বিত নয়। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা সুরক্ষা ও অর্থবহ করে তোলা অনেক বেশি কষ্টের ও ত্যাগের। এই সত্যটি বঙ্গবন্ধু শুধু নয়, বঙ্গমাতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্য, জাতীয় চার নেতা জীবন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। নিন্মোক্ত উদ্বৃতি থেকে এর বর্তমান বাস্তবতা অনেকটুকু উপলব্দির প্রয়াস পাওয়া যায়।

দেশের প্রগতিশীল বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজের অন্যতম অভিভাবক প্রয়াত অধ্যাপক আবুল ফজল তাঁর ‘শেখ মুজিব – তাঁকে যেমন দেখেছি’ গ্রন্থের শেষ প্রচ্ছদে উল্লেখ করেছেন যে, ‘১৫ আগস্টের ভোররাত্রির নির্মমতা কারবালার নির্মমতাকেও যেন ছাড়িয়ে গেছে। কারবালার দু’পক্ষের হাতে অস্ত্র ছিল, তারা ছিল পরস্পরের প্রতিদ্বন্ধী। আর সে হত্যা কোনো অর্থেই ঠান্ডা রক্তের ছিলনা। সৈনিকের পেশা-শত্রু নিধন, তার হাতের অস্ত্র উত্তোলিত হয় শত্রুর বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে। সে যখন হত্যা করে, তখন নৈতিক নিয়ম-কানুনের আওতায় থেকেই তা করে। সৈনিক তো খুনী নয়, তার হাতের অস্ত্র নিরস্ত্র নিরপরাধের ওপর উদ্যত হয়না। অথচ ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবের বাড়িতে তা-ই ঘটেছে। এ দিনের অপরাধ আর পাপ সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে আমাদের আতঙ্কটা বেশি, কারণ বৃহৎ অপরাধ আর বৃহৎ পাপ বিনা দন্ডে যায়না। বাংলার মানুষকে সে দন্ড একদিন এক ভাবে না একভাবে ভোগ করতেই হবে। এটিও আমার এক বড় রকমের আতঙ্ক।’
বঙ্গবন্ধু রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থের ভূমিকায় জননেত্রী শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে ধাপেধাপে স্বাধীনতা অর্জনের সোপানগুলি যে কত বন্ধুর পথ অতিক্রম করে এগুতে হয়েছে তার কিছুটা এই কারাগারের রোজনামচা বই থেকে পাওয়া যাবে। স্বাধীন বাংলাদেশ ও স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা বাঙালি পেয়েছে যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, সেই সংগ্রামে অনেক ব্যথা-বেদনা, অশ্রু ও রক্তের ইতিহাস রয়েছে। মহান ত্যাগের মধ্য দিয়ে মহৎ অর্জন করে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন; ক্ষুধা, দারিদ্র থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছেন। বাংলার শোষিত বঞ্চিত মানুষকে শোষণের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছেন। বাংলার মানুষ যে স্বাধীন হবে এ আত্মবিশ্বাস বারবার তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে। এত আত্মপ্রত্যয় নিয়ে পৃথিবীর আর কোনো নেতা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পেরেছেন কিনা আমি জানিনা।’

জননেত্রীর উল্লেখিত এবং পরবর্তী উদ্বৃতি থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা এবং বাংলাদেশ একরৈখিক মাত্রায় যে সমার্থক, সম্পূরক ও পরিপূরক, নিঃসন্দেহে তা বলা যায়। তিনি লিখেছেন, ‘কী অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের জীবন চলত তা তিনি বুঝতেন, কিন্তু আমার মায়ের ওপর ছিল অগাধ বিশ্বাস। ……আমার মায়ের প্রেরণা ও অনুরোধে আব্বা লিখতে শুরু করেন। যতবার জেলে গেছেন আমার মা খাতা কিনে জেলে পৌঁছে দিতেন। আবার যখন মুক্তি পেতেন তখন খাতাগুলি সংগ্রহ করে নিজে সযতেœ রেখে দিতেন। তাঁর এই দূরদর্শী চিন্তা যদি না থাকত তাহলে এই মূল্যবান লেখা আমরা জাতির কাছে তুলে দিতে পারতাম না। বারবার মায়ের কথাই মনে পড়েছে।’ স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনায় বঙ্গবন্ধু যেমন চিরঞ্জীব; অমর ও অক্ষয়, ঠিক একইভাবেই তাঁর নিরলস আত্মত্যাগ ও দুরূহ জীবনপ্রবাহের পিছনে বঙ্গমাতার যে অবদান তাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বঙ্গবন্ধুর বন্দিজীবন ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যতিব্যস্ত থাকার সময়ে কীভাবে তার অনুপস্থিতিতে বঙ্গমাতা তার পরিবারকে সুরক্ষা ও কী অভাবনীয় ধৈর্য্য সহকারে সকল কিছুকে সামাল দিয়েছেন তা জননেত্রীর লেখায় কিছুটা প্রকাশ ঘটেছে। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে প্রিয় সহধর্মিণী রেনু’র সাহচর্য কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিতে সহযোগিতা ও সাহস সমৃদ্ধ করেছেন, তার বর্ণনা-ব্যাখ্যা রয়েছে। এই স্বল্প পরিসরে উল্লেখ্য বিষয়ে বিষদ উপস্থাপনা সম্ভব নয়। কিন্তু নেত্রীর কন্ঠে উচ্চারিত বঙ্গমাতাকে নিয়ে ৭ই মার্চের ভাষণের পূর্বাপর ঘটনাটি যে কত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বিধৃত না হলে বঙ্গমাতার অবদান নির্ধারণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

জাতি সুস্পষ্টভাবে অবগত আছে যে, ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেলেন। ভাষণটি ছিল পুরোপুরি অলিখিত ভাষণ। সেখানে তিনি কোন ফুটনোটও ব্যবহার করেননি। অবিস্মরণীয় চেতনা ও আবেগ তাড়িত এবং অত্যন্ত সুনিপুণ সুদূরপ্রসারী বিচক্ষণতায় সম্পূর্ণ স্মরণ থেকেই বাংলার মানুষের হৃদয়ের ভাষা ব্যক্ত করেছেন। স্বাধীনতা ঘোষণার প্রেক্ষাপট, অসহযোগ আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিসহ সামগ্রিকীকরণ কৌশলের প্রতিটি বিষয়ই এই অমর ভাষণে উত্থাপিত ছিল। রেসকোর্সে যাত্রার পূর্বেই বঙ্গবন্ধুকে উপরে গিয়ে বঙ্গমাতা সামান্য কিছুক্ষণ বিশ্রাম এবং মনস্থির করার অনুরোধ করলেন। এই সময়ে শিয়রে মাথা বুলিয়ে দিচ্ছিলেন প্রিয়কন্যা শেখহাসিনা এবং পাশে বসে বঙ্গমাতার পরামর্শ ছিল, বঙ্গবন্ধু যেন তাঁর হাতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ প্রদত্ত লিখিত ভাষণ পাঠ না করে মনের তাগিদ থেকেই দেশের আপামর জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে অলিখিত ভাষণ প্রদান করেন। এখানেই বঙ্গমাতার অমরত্ব।

বঙ্গমাতার কারণেই বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ আমার ধারণায় পরিপূর্ণ ব্যতিক্রম এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হয়েছে, যার ব্যাখ্যা আমি একাধিক নিবন্ধে স্পষ্ট করেছি। ২০১৩ সালে বিশ্বখ্যাত গবেষক জ্যাকব এফ. ফিল্ড খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩১ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত বিশ্বের ৪১ টি শ্রেষ্ঠ ভাষণ সংকলিত যে গ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলেন তার শিরোনাম ছিল ‘ডব ঝযধষষ ঋরমযঃ ড়হ ঃযব ইবধপযবং – ঃযব ঝঢ়ববপযবং ঃযধঃ রহংঢ়রৎবফ যরংঃড়ৎু’। এই সংকলিত গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণটি ‘ঞযব ঝঃৎঁমমষব ঞযরং ঞরসব রং ঃযব ঝঃৎঁমমষব ভড়ৎ ওহফবঢ়বহফবহপব’ শিরোনামে সংযুক্ত ছিল। ৪১টি ভাষণের মধ্যে সবকয়টি ছিল লিখিত ভাষণ। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল অলিখিত অমর মহাকাব্য। এজন্যই এটিকে অন্যান্য বিশ্ব নেতার ভাষণের মত অন্যতম ভাষণ না বলে আমি এই ভাষণকে বিশ্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে চিহ্নিত ও উল্লেখ করেছি।
স্বাধীনতার ঘোষণা সম্বলিত এই ভাষণটি বহু কবিতায়, গল্পে, প্রবন্ধে, সাহিত্যে, গানে বহুবিধ বিশেষণে ভূষিত হয়ে বাংলাসহ বিশ্ববাসীকে যেভাবে জাগ্রত করেছে এবং নিরন্তর উজ্জ্বীবিত করে চলেছে, তাও বিশ্ব ইতিহাসের অনিন্দ্য সুন্দর অভিনব অর্জন। “শোন একটি মজিবরের থেকে লক্ষ মজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ…..” শ্রদ্ধেয় সুরকার অংশুমান রায়ের সুরে এবং খ্যাতিমান গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লিখিত এই সংগীতটি জনগণের হৃদয়ের সংগীতে পরিণত হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর উচ্চারিত স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণার সেই ধ্বনিত কন্ঠ শতলক্ষ কন্ঠের অনুরণিত হচ্ছে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ। যতদিন এই বাংলায় চন্দ্র, সূর্য উদিত হবে; আলো বাতাস প্রকৃতি জাগরুক এবং বাংলা নামক এই জনপদের অস্তিত্ব বিরাজমান থাকবে, ততদিন এই ভাষণ উচ্চারণ ও সংগীতের অনুরণন অব্যাহত থাকবেই।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। জয় বঙ্গমাতা। বাংলার মানুষের জয় হোক।

লেখক: শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট