চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

তারুণ্যের অবক্ষয় থেকে মুক্তির পথ

১৬ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

মানুষের শুধু জীবনমানের উন্নয়ন নয় আদর্শিক বা নৈতিক মূল্যবোধের ও উন্নতি হওয়া দরকার। জীবনমানের উন্নয়নের উদ্দেশ্যই হলো, জীবনের পাশাপাশি আত্মিক উন্নয়ন ঘটানো। আর আত্মার উন্নতির জন্য চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে সদাচারী জীবন-যাপন করা। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটলেও নৈতিক তথা আত্ম-উন্নয়নের খুবই অভাব এখনো রয়ে গেছে। মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে যদি নৈতিকতার দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত না হয় তাহলে সেই মানবজীবন এবং সেই রাষ্ট্র হবে বিপদগ্রস্থ। যুগে যুগে মনীষীরা মানুষের আত্ম-উন্নয়ন তথা নৈতিকতার আলোকে চরিত্রকে উন্নয়ন করার কথাই বেশী বলে গেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার প্রতিফলন প্রায় নেই বললেই চলে।
তরুণ প্রজন্ম কল্পনাবিলাসীর মত নীতি-নৈতিকতা ছেড়ে মগ্নতার মধ্যে বসবাস করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া উচ্চশিক্ষিত একজন যুবকের মধ্যে যদি সামান্য নৈতিক চরিত্র না থাকে, তাহলে বাস্তব জীবনে উক্ত যুবকের কাছ থেকে জাতি কি আশা করবে? একটা প্রবাদ আছে, “চরিত্রহীন মানুষ সিংহের চেয়ে বেশি ভয়ানক”। এই প্রবাদটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এদেশের সাথে মিল করলে পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে। বাস্তব জীবনে আমাদের শিক্ষিত সমাজ নেমে যাচ্ছে অনৈতিকতার অন্ধকারে। মাদকাসক্তি থেকে শুরু করে সকল ধরনের অনৈতিক কর্মকা-ে এই শিক্ষিত সমাজের একটা অংশ যুক্ত রয়েছে। কথায় আছে, সুশিক্ষিত মানুষ মানেই স্ব-শিক্ষিত। সুশিক্ষার অভাবেই এটা ঘটছে। দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষিত সমাজের ভূমিকাই মূখ্য। তাই, এখনি সময় নিজেদেরকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নৈতিকতার আলোকে জীবনকে পরিচালনা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা।

মো. আব্দুর রহমান
ইংরেজি ভাষা (ঊঝঙখ) বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট