চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

কোরবানির হাটে সচেতনতা জরুরি

১১ আগস্ট, ২০১৯ | ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলমানদের দুই ঈদের মধ্যে ২য় ঈদ পবিত্র ঈদুল আজহা (ত্যাগের উৎসব)। ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ মেনে সামর্থ্যবান মুসলিমরা গরু, ছাগল, মহিষ, উট, ভেড়া কোরবানি করে। আর কোনবানীর পশু কেনার জন্য সারা দেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে বসে কোরবানীর পশুর হাট। যেখানে ক্রেতা, বিক্রেতা ও উৎসুক জনতার পাশাপাশি ছিনতাইকারীদের আনাগোনাও ব্যাপক, যারা মূলত মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের সুযোগ খোঁজে, নানা ভাবে ফাঁদ পেতে বসে থাকে।
ক্রেতাসাধারণের পাশাপাশি বিক্রেতারাও এসব ছিনতাইকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়। সারা বছর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্থসঞ্চয় করে মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশের অংশ হিসেবে কোরবানীর পশু ক্রয় করতে যাওয়া এবং সারা বছর ধরে কোরবানীর পশুকে লালন পালনের মাধ্যমে বিক্রয়ের জন্য হাঁট বাজারে এসে কিছু টাকা মুনাফার স্বপ্ন নিয়ে এসে ছিনতাইকারীদের কবলে পরে সব হারানোর মতো বহু ঘটনা ঘটছে প্রতি বছরই। এসব ছিনতাইকারীরা না বুঝে কারো কষ্ট, না বুঝে কারো স্বপ্ন, না শুনে ধর্মের বিধান।
হাটে কোরবানির পশু ক্রয়, বিক্রয়ের ব্যস্ততার সুযোগ নেয় ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি সহ প্রতারকেরা। পবিত্র ঈদ ও কোরবানীর ত্যাগের আনন্দকে মাটি করে দিতে উৎ পেতে থাকে ছিনতাইকারীরা, কাজেই নিজ থেকে সচেতন থাকার কোন বিকল্প নেই। অপরিচিত লোকজনের দেওয়া কোন কিছু না খাওয়া, তাদের সাথে কথা না বলা, কোরবানির পশু ক্রয়ের উদ্দেশ্যে একসাথে হাটে গমন করা সকলে একত্রে থাকা, অতিরিক্ত ভীড়ের মধ্যে প্রবেশ না করা, বা করলেও সাবধানে থাকার কোন বিকল্প নেই।

জুবায়ের আহমেদ
শিক্ষার্থী, ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউব অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া (বিজেম)।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট