চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

শরৎকুমার রায়

৪ মে, ২০১৯ | ১:০৯ পূর্বাহ্ণ

(১৮৭৬-১৯৪৬) : জন্ম দিঘাপতিয়া, নাটোর, ১৮৭৬। জমিদার ও সমাজসেবী। কুমার শরৎকুমার রায় নামে পরিচিত। পিতা নাটোরের দিঘাপতিয়ার বিখ্যাত জমিদার প্রমথনাথ রায়। রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষালাভ। কলকাতার রিপন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি অর্জন। কলকাতার শিক্ষাজীবনে তিনি তাঁর গৃহশিক্ষক রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর মাধ্যমে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত হন। তখন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। ১৯০০-তেইউরোপ ভ্রমণ। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, রমাপ্রসাদ চন্দ, রাখালদাস, বন্দোপাধ্যায়, রামকমল সিংহ প্রমুখকে সঙ্গে নিয়ে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাচীন ঐতিহ্য আবিষ্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ। ১৯১০-এর সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ তাঁরা বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি নামে সংগঠনের সভাপতি। পরিচালক হন অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় এবং সম্পাদক হন রমাপ্রসাদ চন্দ। সংগঠনের পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ শরৎকুমার রায় তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খরচ করতেন। প্রত্নসামগ্রীর সংগ্রহ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে একটি জাদুঘর গঠনের প্রয়োজন দেখা দিলে পারিবারিক জমির উপরে নিজের খরচে শরৎকুমার একটি জাদুঘর ভবন নির্মাণ করেন।
গভর্নর লর্ড রোনাল্ডসে ১৯১৯-এ বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের ভবন উদ্বোধন করেন। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের পাশাপাশি রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী পাবলিক লাইব্রেরী, এশিয়াটিক সোসাইটি, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনী, ইন্ডিয়ান মিউজিক সোসাইটি প্রভৃতি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত।
১৯৩০-এ তিনি লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত। তাঁর জমিদারিতে কৃষিক উন্নতির জন্য তিনি কৃষিখামার, দুগ্ধখামার, চিনিকল, ফলের বাগান প্রভৃতি স্থাপন করেন। এলাকায় কৃষির উন্নতির জন্য তিনি তাঁর বড়ো ভা ইয়ের নামে বসন্তকুমার কৃষি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা ১৯৫২ সাল পর্যন্ত টিকে থকে। মৃত্যু ১৯৪৬।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট