চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

প্রাইমারী স্বাস্থ্যখাতের সফলতার উপর নির্ভর করছে রেফারেল পদ্ধতির সার্থকতা

চিকিৎসা শ্রমিকের দিনলিপি

ডা. হাসান শহীদুল আলম

৪ মে, ২০১৯ | ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

বৈশাখের মাঝামাঝি। ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। পটিয়াস্থ চেম্বার।
‘আপনার রক্তের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে কিডনীর কার্যকারিতা ঠিক হয়ে এসেছে। আপনি মাছ-মাংষ-ডিম পুনরায় খেতে পারবেন। পানি ঘণ্টা দুয়েক পর পর দিনে অন্তত দশ-বারো গ্লাস খাবেন। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করবেন।’-এ পর্যন্ত আমার বক্তব্য শুনে ষাটোর্ধ্ব ব্যবসায়ী ভদ্রলোকের মুখে স্বস্তিভাব ফুটে উঠতে দেখলাম। ব্যবস্থাপত্রসহ ভদ্রলোক যখন বিদায় নিচ্ছিলেন তখন ঘড়িতে দুপুর একটা। ক্ষণিকের অবসর পেয়ে পূবের জানালা পথে নজর বুলাতেই কাঁচা আমের ভারে নুয়ে পড়া আ¤্রশাখার দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো। নাম-না-জানা নানা রং এর পাখি ওড়াওড়ি করছে ডালপালার ফাঁকে ফাঁকে। গাছ পেরিয়ে আকাশ পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে গেলে রোদের তীব্র ছটায় চোখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হই। ভদ্রলোকের সন্তুষ্ট চেহারাটা পুনরায় মানসপটে ভেসে উঠলো।
সপ্তাহ তিনেক আগের কথা। তীব্র জ¦রে আক্রান্ত উল্লিখিত ভদ্রলোক স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক কর্তৃক প্রেরিত হয়ে আমার কাছে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্যে। যথারীতি চিকিৎসা দেবার পর সপ্তাহখানেকের মধ্যে রোগীর জ¦র সেরে যায়। কিন্তু রক্তরিপোর্টে হাইপারক্রেটিনেমিয়া পাওয়া গেলো। ব্যাপারটা কিডনীর কার্যকারিতার গোলযোগের কারণে সৃষ্টি হয় বিধায় রোগীকে চট্টগ্রাম শহরে অভিজ্ঞ কিডনী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। বিশেষজ্ঞ তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে পুনরায় আমার কাছ প্রেরণ করেছিলেন ফলো-আপ করার জন্য। অধ্যাপকের নির্দেশনার আলোকে আমি ফলো-আপ করায় রোগী বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন।
এখানে যে ব্যাপারটার প্রতি আমি সম্মানিত পাঠকবৃন্দের মনোযোগ আকর্ষণ করছি সেটা হচ্ছে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক, আমি, বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবং পুনরায় আমার দ্বারা যে পদ্ধতিতে রোগী চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়েছেন সেটি হচ্ছে চিকিৎসায় রেফারেল পদ্ধতির একটি ছোট উদাহরণ।
চিকিৎসায় রেফারেল পদ্ধতি বলতে কি বুঝায়?
ইংরেজী ‘রেফার’ শব্দের অর্থ হচ্ছে দায়িত্ব অর্পণ করা। চিকিৎসার রেফারেল পদ্ধতি মানে হচ্ছে যখন একজন চিকিৎসক বা কোন হাসপাতাল রোগীর চিকিৎসার পরবর্তী ধাপের দায়িত্ব অপর কোন চিকিৎসক বা হাসপাতালকে অর্পণ করে থাকে। বর্তমানে আমাদের দেশে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন সাব সেন্টার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন টারশিয়ারী ও বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু সচরাচর দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য সরাসরি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন টারশিয়ারী হাসপাতালে চলে আসে। অথচ উল্লিখিত রোগীর প্রথমে যাওয়া উচিৎ নিকটস্থ কম্যুনিটি ক্লিনিক বা ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ এবং সবশেষে টারশিয়ারী ও বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসার কথা। রেফারেল পদ্ধতির মাধ্যমে সরকারী হাসপাতাল থেকে সরকারী হাসপাতালে এবং সরকারী হাসপাতাল থেকে বেসরকারী হাসপাতালে রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ যে রোগীর যেখানে সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে রেফারেল পদ্ধতি রোগীকে সেখানে পাঠানোর একটি ব্যবস্থাপনা। যেসব দেশে ন্যাশনাল হেলথ সিসটেম বা জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাখাত রয়েছে সেসব দেশে রেফারেল পদ্ধতি চালু রয়েছে। এ পদ্ধতিতে সেবা প্রার্থীর সঙ্গে চিকিৎসকের কোন আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক থাকে না। সেখানে জাতীয় স্বাস্থ্যকর ও জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবাখাত গঠিত হয় এবং জনগণ নিজ নিজ আয় অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর প্রদান করে স্বাস্থ্যবীমার আওতাভুক্ত হয়। সেখানে সারসরি চিকিৎসককে কোন ফি দিতে হয় না। চিকিৎসক তাঁর নির্ধারিত ফি পান সরকারের তরফ থেকে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতি :
ক) রোগীদের চিকিৎসা অর্থনৈতিক অবস্থা : বাংলাদেশে ১৮ থেকে ২২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে। অথচ মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষকে সরকারী স্বাস্থ্যখাত সেবা দিতে সক্ষম। বাকী ৬০ শতাংশকে বাধ্য হয়ে বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিতে হয়। দেশে স্বাস্থ্য সেবা নিতে গিয়ে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় এর ৬৭ শতাংশই রোগীকে বহন করতে হয়। দেশে বাৎসরিক পারিবারিক চিকিৎসা ব্যয় ১৮০০০-৪০ হাজার টাকা। দেশে চিকিৎসাখাতে বাৎসরিক ব্যয় সরকারের ১০২০০ কোটি টাকা এবং জনগণের ৩০২০০ কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে, দেশে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ে সরকারী ব্যয় সর্বনি¤œ এবং ব্যক্তিগত ব্যয় সর্বোচ্চ।
খ) দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তিনটি ধাপে বিভক্ত : ১) প্রাইমারী ধাপ : ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র, বেসরকারী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পৌর ও সিটি কর্পোরেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহ ২) সেকে-ারী ধাপ : জেলা পর্যায়ে অবস্থিত সরকারী হাসপাতালসমূহ, বেসরকারী পর্যায়ের হাসপাতালসমূহ, পৌর ও সিটি কর্পোরেশন হাসপাতালসমূহ ৩) টারশিয়ারী ধাপ : জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অবস্থিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহ, বেসরকারী পর্যায়ে বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহ।
গ) ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রাইমারী স্বাস্থ্যখাত অবহেলিত : দেশে মোট ইউনিয়ন সংখ্যা ৪৫৫৪টি। প্রতি ইউনিয়নে জনসংখ্যা ৩৭৩০০ জন। প্রতি ইউনিয়নে চিকিৎসকের প্রয়োজন ১৪জন। বর্তমানে মোট সরকারী চিকিৎসক ৫ জন বর্তমান। অতএব প্রতি ইউনিয়নে চিকিৎসক আরো প্রয়োজন (১৪-৫) বা ৯জন। সুতরাং ৪৫৫৪টি ইউনিয়নে চিকিৎসক আরো প্রয়োজন ৪৫৫৪ঢ৯ বা ৪০৯৮৬ জন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, এ মুহূর্তে আরও ৪০৯৮৬ জন চিকিৎসককে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও মাতৃমঙ্গল কেন্দ্রসমূহে দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন।
ঘ) ঢাকা কেন্দ্রিক সেকে-ারী ও টারশিয়ারী স্বাস্থ্যখাত সার্বিক জনকল্যাণে ব্যর্থ : হেলথ বুলেটিন এর তথ্য অনুযায়ী ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংখ্যা ৬টি এবং সেকে-ারী ও টারশিয়ারী সুবিধা রয়েছে ৩৭টিতে। চট্টগ্রামে এ সংখ্যা দুই এবং ১৮। ময়মনসিংহে এ সংখ্যা যথাক্রমে এক এবং ৪। বরিশাল ও সিলেটে এ সংখ্যা এক এবং ৭টি করে। খুলনায় এ সংখ্যা দুই এবং ১৪। রাজশাহীতে এ সংখ্যা দুই এবং ১৩। রংপুরে এ সংখ্যা যথাক্রমে দুই এবং ১০।
ঙ) সরকারী খাতে অপর্যাপ্ত চিকিৎসক নিয়োগ : বর্তমানে সরকারী নিয়োগ প্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ২৬১৫৩ জন। কিন্তু ২৫০০ জনগণের জন্য একজন চিকিৎসক হিসেব করলে বর্তমানে সরকারী নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক থাকা উচিৎ ১৭ কোটি জনগণের জন্য প্রায় ৬৮০০০ জন। অর্থাৎ সরকারের উচিৎ আরও ৪১৮৪৭ জন চিকিৎসককে এখনই নিয়োগ দেয়া। পাশাপাশি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত জনসংখ্যার জন্য সরকারকে প্রতি বৎসর নিয়োগ দিতে হবে ৬৮৬ জন। অর্থাৎ সরকার এখনই যদি আরও ৪১৮৪৭ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয় এবং প্রতি বৎসর ৬৮৬ জন চিকিৎসককে নতুনভাবে নিয়োগ দেয় তবে চিকিৎসক পিছু ২৫০০ জনগণের হিসেবটা মিলবে। এতে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে, সরকারী খাতে নিয়োগকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৩৮ শতাংশ।
চ) অপর্যাপ্ত সেবাকর্মী নিয়োগ : বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের সাথে তিনজন নার্স থাকা আবশ্যক। অথচ বাংলাদেশে চিকিৎসক ও নার্সের অনুপাত হচ্ছে প্রতি একজন চিকিৎসকের সাথে মাত্র ০.৪ জন নার্স। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় নার্স রয়েছে মাত্র ১৩.৩ শতাংশ।
ছ) স্বাস্থ্যখাতে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ : একটি দেশে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ জিডিপি-এর কমপক্ষে ৫ শতাংশ এবং বাজেটের ১৫ শতাংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। সে হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ৪,৬৪,৫৭৩ কোটি টাকার বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দেয়া উচিৎ ছিলো প্রায় ৭০০০০ কোটি টাকা। কিন্তু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৩,৩৮৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪৬, ৬১৭ কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিগত ১০ বছরের হিসেবে দেখা যাচ্ছে এ সময়কালে স্বাস্থ্যখাতে ২ থেকে ৪ লাখ কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জ) প্রাইমারী ও সেকে-ারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংকটের কারণসমূহ : ১) চিকিৎসক সংকট ২) চিকিৎসক সহকারীর অপ্রতুলতা ৩) চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাব ও ওষুধের অপ্রতুল সরবরাহ ৪) হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ৫) চিকিৎসকদের আবাসন সমস্যা ৬) বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ৭) চিকিৎসকদের পরিবহনের অভাব ৮) চিকিৎসকদের নিরাপত্তার অভাব ৯) চিকিৎসকদের চাকুরীগত ও পেশাগত যথাযথ সম্মান না পাওয়া।
ঝ) টারশিয়ারী স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংকটের কারণ : ভ্রান্তনীতির কারণে বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যখাতে প্রাইমারী ধাপ প্রয়োজনের তুলনায় সবচেয়ে কম বরাদ্দ পাচ্ছে বিধায় এটি ভেঙ্গে পড়েছে। “আমাদের রাউজান প্রতিনিধি রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র নিয়ে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে তাতে এই উপজেলা তথা দেশের গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসা সেবার একটি বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রটিতে কোন চিকিৎসক নেই। ভবনটি জরাজীর্ণ। ৮ মাস আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২। নলকূপ অকেজো। কোন জনবল নেই একজন পরিদর্শিকা ছাড়া। কেন্দ্রের স্টাফ কোয়ার্টারে বাস করেন এক বহিরাগত মহিলা। কল্যাণকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সপ্তাহে মাত্র তিনদিন কেন্দ্রে আসেন (একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত)।” চট্টগ্রাম নগরীর কাছের উপজেলার একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যদি এই হাল হয় তবে দূরবর্তী দুর্গম, প্রান্তিক এলাকার স্বাস্থ্যসেবা কিরূপ তা অনুমান করতে পাঠকবৃন্দের কষ্ট হবে না আশা করি। তেমনিভাবে সেকে-ারী ধাপও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে জনগণ চিকিৎসার আশায় কোন রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় সরাসরি টারশিয়ারীতে ভীড় করেছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে না পেরে টারশিয়ারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ঞ) শুধুমাত্র রেফারেল পদ্ধতিই কি সমাধান ?
ধরা যাক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সমূহের কথা। এমনি ধরনের টারশিয়ারী ধাপের সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসম্পন্ন হাসপাতাল সমূহে যতো রোগী চিকিৎসার জন্য যায় তার ষাট শতাংশ উপজেলা হাসপাতাল সমূহে বা প্রাইমারী ধাপের হাসপাতালসমূহে এবং বিশ শতাংশ জেলা হাসপাতালসমূহে বা সেকে-ারী ধাপের হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হতে পারতো বলে পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে। চলবে

লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাবিদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট