চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গুজব ও গণপিটুনির বিরুদ্ধে আমাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে

মোহাম্মদ আবুল কালাম

২৭ জুলাই, ২০১৯ | ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

‘ছেলেধরা’ গুজবে নানা স্থানে গণপিটুনিতে কয়েকজন নিরীহ মানুষ নিহত হওয়ার পর উৎকণ্ঠিত দেশের অভিভাবকরা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটে যাচ্ছে নিষ্ঠুর, নির্মম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। পাড়া-মহল্লায়, অলিতে -গলিতে, বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকদের দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। গণপিটুনি আতঙ্কে অনেকে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোই বন্ধ করে দিয়েছেন। সরকার ‘ছেলেধরা’ গুজব এবং গণপিটুনির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছে এবং নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
এতে জনমনে স্বস্থি কিছুটা হলেও ফিরে আসছে। তবে জনমনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা পুরোপুরি দূর হয়নি এখনো। একথা ঠিক যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে এ ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে বাচ্চা নিখোঁজ হওয়া, বাচ্চা চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়া, বিশেষ করে নেত্রকোনায় ব্যাগে শিশুর কাটা মাথাসহ যুবক আটকের পর জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনার পেছনেও অশুভচক্রের হাত আছে।
তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা লুঠা। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও নিতে হবে সুচিন্তিত পদক্ষেপ। মসজিদের খুৎবায়ও এ ব্যাপারে প্রচারণা চালাতে হবে। এতে সাধারণ মানুষ সচেতন হওয়ার সুযোগ পাবে। আর সাধারণ মানুষ সচেতন হলে গুজবে কান দেবে না।
এতে গণপিটুনির ঘটনাও ঘটবে না। আইন নিজের হাতে না নিয়ে কাউকে সন্দেহ হলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করবে। একে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
মানুষ স্বস্থি বোধ করবে। প্রশাসনের পাশাপাশি সচেতন সমাজবাসীরও দায়িত্ব আছে গুজব ও গণপিটুনির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে জননিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা রাখার। এ ব্যাপারে সামাজিক সংগঠনগুলোকেও জনস্বার্থ রক্ষাকারী ভূমিকা পালন করতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট