চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কিশোর গ্যাং : এখনই প্রতিকার প্রয়োজন

২৫ জুলাই, ২০১৯ | ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

একটি দেশের মোট জনসংখ্যার সম্ভাবনাময়ী অংশ হলো কিশোর-কিশোরী। তাদের উপরে নির্ভর করে দেশের ভাগ্যাকাশে নতন সূর্যের দীপ্তিময় আলো। তাদের মেধা, উদ্ভাবনী শক্তি ও খেলা-ধুলোয় সফলতা বিশ্বের বুকে দেশকে পরিচিত করে। তাদের সাফল্যে পৃথিবীর বুকে নব-নব সম্মানের গর্বে ভরে যায় দেশের মাতৃত্ব কোল। বর্তমান সরকারের সুপরিকল্পিত ও সুদূরপ্রসারী যাত্রায় নতুন প্রজন্ম একটি বড় অংশ। আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের সংস্পর্শে এসে কিশোর-কিশোরী আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। বর্তমান সময়ে কিশোর কতৃক কয়েকটি হত্যাযজ্ঞের নৃশংস ঘটনা এ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।এমন ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়ী জনসম্পদের মধ্যে সৃষ্ট এ সকল ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত বিষয়গুলো যেন রীতিমতো এক আতংকের নাম। কিশোরদের এমন বিপথে গমনের ফলাফল আশঙ্কাজনক।
সর্বপ্রথম সবার চোখে পড়ে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরায় কিশোর আদনান হত্যার পর। যে ঘটনার তদন্ত রহস্য উদঘাটনে বের হয়ে এসেছিল কিশোর গ্যাং-এর কথা। সম্প্রতি কয়েক মাসের ব্যবধানে কয়েকটি কিশোর খুন হওয়ায় বিষয়টি উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। এ সকল কিশোর গ্রুপ গড়ে ওঠার কারণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া আবশ্যক।কিশোর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে পরিবারের দায়িত্বহীনতার দায় সবচেয়ে বেশি। পিতামাতার তদারকির অভাবে সন্তান অবাধ্য হয়ে এসব অপরাধে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এখনই সময় তাদেরকে সুপথে ফেরানোর। যেটার জন্য আমাদের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
পরিবার থেকে নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে। অনুশাসনের মাধ্যমে একজন সুনাগরিক তৈরি করতে পরিবারকেই বড় ভূমিকা রাখতে হবে। অনুসন্ধানের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অতীব প্রয়োজন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে জন-প্রতিনিধিরা যদি এগিয়ে আসেন এবং তাদের নিজ নিজ এলাকায় কিশোর গ্যাং অপরাধ বন্ধ করেন এবং কিশোরদের কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধ করেন,তাহলে এই সমস্যার সমাধান খুব সহজে হবে।পাশাপাশি প্রশাসনের উদ্যোগে সংশোধিত পরিকল্পনা করতে পারে আমূল পরিবর্তন।

আল-মাহমুদ
সাতক্ষীরা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট