চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ধূমপায়ীর সংখ্যা কমাতে চাই

সুচিন্তিত পদক্ষেপ

৩০ জুন, ২০১৯ | ১:০৭ পূর্বাহ্ণ

২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে গত চার বছরে বেশ কিছু সিগারেটের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর একসঙ্গে দেশে উৎপাদিত সব ধরনের সিগারেটের দামই বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ২০ শলাকা সিগারেটের প্রতি প্যাকেটে দাম বেড়েছে ৩৬ টাকা পর্যন্ত। সাম্প্রতিক সময়ে এই মূল্য সর্বোচ্চ।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে উচ্চমূল্য স্তরের সিগারেটের দাম প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেট ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৩ টাকা ও ১০৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৩ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া নিম্নস্তরের সিগারেট ৩৫ টাকা থেকে ৩৭ টাকা এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম ৪৮ টাকা থেকে ৬৩ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকে। এত ব্যাপক হারে সব ধরনের সিগারেটে দাম বাড়ানোর নজির নিকট অতীতে দেখা যায়নি। এই দাম বাড়ানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অধূমপায়ীরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত এক দশক ধরে প্রতি বাজেটেই ধারাবাহিকভাবে সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত এক দশকে সব স্তরের সিগারেটের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ করে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্য ছিল ৭ টাকা ৫০ পয়সা, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ৩৭ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে ১০ বছরের ব্যবধানে নি¤œস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় পাঁচগুণ। সিগারেটের দাম বাড়ানোর ফলে একদিকে যেমন রাজস্ব আয় বাড়ছে, অন্যদিকে কমছে ধূমপায়ীর সংখ্যা। গত আট বছরে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে ২১.৭ শতাংশ। এ ছাড়া গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে যেখানে তামাক খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ছিল ১০ হাজার কোটি টাকা, সেখানে এই অর্থবছরে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
আর সব ধরনের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করে সরকার নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়ন করা গেলে তামাকমুক্ত দেশ গড়া অসম্ভব কিছু না বলে ধারণা করছেন তারা।

সুকুমার তালুকদার
চট্টগ্রাম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট