চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

তারুণ্যে মনোযোগ

২৯ জুন, ২০১৯ | ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

বাজেট হচ্ছে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা। দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিটি সরকার পরবর্তী অর্থবছরে কোন খাতে কত ব্যয় করে উন্নয়ন করবে তার পরিকল্পনা থাকে বাজেটে। সব বয়স ও পেশার জনগণকে নিয়ে এ উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজানো হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য আগের তুলনায় মনোযোগ বেড়েছে। তাদের জন্য অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ রয়েছে। তরুণদের উদ্যোগ বাস্তবায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়নসহ কিছু ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে ঘোষণা রয়েছে। ব্যবসা শুরুর জন্য আলাদা তহবিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় রয়েছে বরাদ্দ। তরুণদের প্রতি মনোযোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাজেটে বলা হয়েছে, যুব উন্নয়ন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতি কৌশলের অংশ। এ কারণে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার বেশ কিছু উদ্যোগ রয়েছে বাজেটে। কারণ দেশের সামনে জনমিতিক লভ্যাংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য সরকার ‘তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ স্লোগান সামনে রেখে যুবসমাজকে উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। তরুণদের সকল প্রকার ব্যবসা উদ্যোগে সহায়তার লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল গঠন করা হবে। বাজেট পেশের আগে সমকাল ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘তারুণ্যের বাজেট’ নামে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছিলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণদের রাখতে হবে। ওই আলোচনা সভায় তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্টার্টআপ তহবিল গঠনের প্রস্তাব আসে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন প্রস্তাব দেন আলোচকরা।
তরুণদের মধ্যে দুটি চাহিদা থাকে- উন্নত শিক্ষা এবং শিক্ষার পরে কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান হতে পারে নিজস্ব উদ্যোগ বা চাকরির মাধ্যমে। এবারের বাজেটে তরুণদের নতুন ব্যবসা বা উদ্যোগে সহায়তা করতে আলাদা করে ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১৫ লাখ লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ এবং এক লাখ লোকের জন্য বিশেষ কর্মসূচি তরুণদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। তবে তরুণদের একটি বড় অংশ কৃষি খাতে জড়িত, যারা গ্রামে অবস্থান করে। তাদের জন্য বিশেষ কিছু বাজেটে দেখা যায়নি। আর শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকার আরও মনোযোগ দিতে পারত।
বাজেট বক্তব্যে বলা হয়েছে, সরকার তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের জন্য কর্মে প্রবেশ উপযোগী আইন-বিধি ও নীতি-কৌশল সংস্কারের জন্য তিন বছর মেয়াদে কার্যক্রম শুরু করেছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০টি আইন-বিধি, নীতি-কৌশল প্রণয়ন অথবা সংস্কার করেছে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুম ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, ইন্টারনেট অব থিংস ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং পড়ানোর মতো উপযোগী করার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিদেশ থেকে শিক্ষক নিয়ে আসারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগ তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়ক।

হাসান মাহমুদ
চট্টগ্রাম।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট