চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সুন্দর জীবন ও সমৃদ্ধ দেশ

এম সোলাইমান কাসেমী

২৯ জুন, ২০১৯ | ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ইসলামে রোজা পালন শুধুমাত্র কতগুলি নিষেধাজ্ঞার সমষ্টিই নয় যে, মানুষ পানাহার করবে না, জৈবিক চাহিদা পূরণ করবে না, পরনিন্দা করবে না, সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হবে না। বরং এরই সাথে আদেশাবলীও অন্তরর্নিহিত, যেমন রমজান মাস হলো ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-তাসবিহ, পারস্পরিক সহানুভূতি সংবেদনশীলতার মাস। এ মাসে প্রতিটি নেক আমলের মর্যাদা বেড়ে যায় বহুগুণ। নবী কারিম (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বরকতময় মাসে আলাহর নৈকট্য লাভের আশায় একটি নফল কাজ করবে সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করলো। আর যে একটি ফরজ আদায় করলো সে যেন সত্তরটি ফরজ আদায় করলো। এ মাস ধৈর্যের মাস।
ধৈর্যের প্রতিদান হলো জান্নাত। এ মাস সহানুভূতি-সমবেদনার মাস। যে ব্যক্তি রোজা পালনকারীকে ইফতার করাবে সে রোজা পালন করার সম-পরিমাণ সাওয়াব পাবে। কিন্তু এতে রোজা পালনকারীর সাওয়াব কমবে না। রোজা পালনের সাথে আর এক বিশেষ আমল রয়েছে তারাবীহ’র নামাজ। এর প্রমাণে প্রিয়নবী (সা) ইরশাদ করেন, ‘আলাহ তায়ালা তোমাদের উপর রোজা ফরজ করেছেন আর আমি তারাবীহ’র নামাজ পড়ার মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ তোমাদের জন্যে সুন্নাত করেছি। যে ব্যক্তি আলাহর প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করে সাওয়াবের আশায় তারাবীহ’র মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করবে আলাহ তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।’ এ দিকগুলো বিবেচনা করলে বলতে হয়, রমজান মাস হলো ইবাদতের উৎসব, তিলাওয়াতের মওসুম, পূণ্যবান ও মুত্তাকী লোকদের জন্যে পূণ্যের বসন্তকাল, আবেদ ও রিয়াজতকারীদের জন্যে ঈদ। এখন চলে গেছে পূণ্যের এ বসন্তকাল। রেখে গেছে অর্জিত শিক্ষা। এই শিক্ষায় আমাদের জীবন পরিচালনা করে দেশ গড়তে পারলে তবেই সার্থকতা। আসুন, রমজানের শিক্ষাকে সুন্দর জীবন ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজে ব্যয় করি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট