চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ভদ্রের খেলা ক্রিকেটকে পুঁজি করে জুয়া কাম্য নয়

১৪ জুন, ২০১৯ | ১:০২ পূর্বাহ্ণ

যতদূর জানা যায়, ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতকের শেষ দিকে। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে শুরু হলেও অষ্টাদশ শতাব্দীতে এটি ইংলান্ডের জাতীয় খেলায় পরিণত হয়। ১৮৪৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হলেও স্বীকৃতি মেলে ১৮৮৭ সালে। তখন থেকেই বলা হয় ভদ্রতার খেলা ক্রিকেট।
১৮৪৪ সাল থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্বীকৃতি মেলে ১৯৯৭ সালে। সেই থেকে ক্রিকেট হয়ে ওঠে বাংলাদেশে সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা। ২২ বছরের ব্যবধানে ক্রিকেটে বাংলাদেশের খাতায় অর্জন হয়েছে নানা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি। দলের বিজয়ে যেমন উৎসব করেছে বাংলার অগণিত মানুষ, তেমনি দলের দুর্দিনে সাহস জুগিয়েছে সবসময়।
সম্প্রতি লক্ষ করছি ইংল্যান্ডে চলমান বিশ^কাপ ক্রিকেটকে পুঁজি করে দোকানপাট-হাটবাজার সর্বত্র চলছে জুয়াড়িদের রমরমা জুয়ার আসর। সেই জুয়ায় খেলছে ছাত্র, শ্রমিক থেকে শুরু করে সব পেশার লোকজন। আর সেই জুয়ায় টাকার পরিমাণ ৫০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায় অনেকসময়।
জুয়া ধরা হয় প্রতি বল, ওভার, চার, ছক্কা ও দলের জয়-পরাজয়কে পুঁজি করে। এমনও দেখেছি ব্যাটসম্যানদের রান হয়ে যায় জুয়াড়িদের জুয়ার অন্যতম উপায়।
এখন দেখা যায় জুয়া চলছে ইন্টারনেটের কিছু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে। যেখানে জুয়াড়িরা নিজেদের নামে একাউন্ট খুলে জুয়ায় মেতে উঠছে। আর সেই জুয়া খেলে কেউ বাসায় ফিরছেন সর্বস্বান্ত হয়ে, আর কেউ ফিরছেন পকেটভর্তি টাকা নিয়ে। সেই জুয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ জড়াচ্ছে অল্পতেই। ঘটছে হানাহানির ঘটনা। অতীতে আমরা দেখেছি জুয়া খেলে প্রাণ হারানোর মতো ঘটনা। জুয়ায় সব হারিয়ে মানসিকভাবে চাপে পড়ে মাদকের পথে পা বাড়াচ্ছে অনেক শিক্ষিত যুবক ও জুয়াড়িরা। এদের সংস্পর্শে বিপথে যাচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণরা। আর তাতে ঘটছে সামাজিক নানা বিশৃঙ্খলা।
জুয়ায় আসক্তি থেকে বিরত রাখতে অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে তার সন্তানের চলাফেরার প্রতি। আর না হয় আপনার অসতর্কতায় নষ্ট হয়ে যাবে সাজানো গোছানো পরিবার।
এসব জুয়াড়িদের লাগাম টানতে প্রশাসনকেও নজরদারি বাড়াতে হবে। আইনের আওতায় এনে সংশোধন করতে হবে জুয়ায় আসক্ত বিপথগামীদের। আর না হয় তরুণ সমাজ ধ্বংসের ভয়াবহ পরিণতি ভোগাবে বিভিন্ন পরিবারকে।
পরিশেষে বলি, জনপ্রিয় ও ভদ্রদের খেলা ক্রিকেটকে জুয়ার মাধ্যমে আপনার রোজগারের উৎস বানাবেন না। জুয়াকে না বলি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি।

মাসুম খান
সংবাদকর্মী

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট