দেশের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে শব্দদূষণের মাত্রাও সমান তালে এগিয়ে চলেছে। আমাদের শ্রবণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত শব্দ আমাদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। শব্দদূষণের কারণগুলোর মধ্যে একটি কারণ হলো উচ্চশব্দে হর্ণ বাজানো। এছাড়াও ভবনের নির্মাণকাজ, কলকারখানা, মাইকিং আরো অন্যান্য কারণেও প্রতিনিয়তই শব্দদূষণ হচ্ছে। একজন মানুষের স্বাভাবিক শব্দ গ্রহণের মাত্রা প্রায় ৪০-৫০ ডেসিবল। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রামে এর মাত্রা স্বাভাবিক সীমার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
শব্দদূষণের ফলে বধিরতা, হার্টের রোগ, কণ্ঠনালীর প্রদাহ, মস্তিষ্কের রোগ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে। শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবে এর প্রভাব আরো ভয়াবহ। মেজাজ খিটমিটে হয়ে যাওয়া, আচরণে উগ্রতা, অবসাদ, কাজে অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে। শব্দদূষণ আইন থাকলেও কোনো ক্ষেত্রেই আমরা এর যথাযথ প্রয়োগ দেখি না। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর অধীনে ২০০৬ সালে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার ৯ ধারায় উচ্চৈস্বরে গান-বাজনাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। যার কোনোটির প্রয়োগ আজো চোখে পড়ে না। এছাড়াও আবাসিক এলাকায় গান-বাজনা নিষিদ্ধ থাকলেও মানছে না কেউ এই আইন। শব্দদূষণ প্রতিকারে একমাত্র জনসচেতনতা ও সুষ্ঠু আইনের প্রয়োগই পারে এর মাত্রা কমিয়ে আনতে।
আফসানা ইতি
শিক্ষার্থী।