চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

মুুক্তিযুদ্ধে পরিকল্পিত লড়াইয়ের স্বরূপ

নাওজিশ মাহমুদ

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রতিরোধের পর শুরু হয় পরিকল্পিত যুদ্ধ। প্রতিরোধ যুদ্ধ ছিল স্বতঃস্ফুর্ত এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। বাঙালি জাতি শান্তিপূর্ণ এবং সংসদীয় পদ্ধতিতে অধিকার আদায়কে পাকিস্তানের সামরিক সরকার বলপ্রয়োগরে মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়েছিল। গণহত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার যে পরিকল্পনা করে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বিদ্রোহী বাঙালি সৈনিক ও জনগণ। প্রাথমিক প্রতিরোধের পর শুরু হয় পরিকল্পিত যুদ্ধের প্রস্তুতি, যাতে পাকিস্তানি জান্তার কাছ থেকে বাংলাদেশকে দখলমুক্ত করা যায়। হাজার হাজার যুবক ছাত্র প্রশিক্ষণের জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে।

তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। বিদ্রোহী বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী গড়ে উঠে। আওয়ামী লীগ সমর্থক যুবক ও ছাত্রদের নিয়ে বিএলএফ বা বেঙ্গল লিবারেশন ফোর্স গঠিত হয়। যা পরবর্তীকালে মুজিব বাহিনী হিসেবে পরিচিতি পায়। সেনাবাহিনীকে সহায়তা এবং বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারে পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠে মুক্তিবাহিনী। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া ছিল যেমন প্রধান চ্যালেঞ্জ, তেমনি ছিল অস্ত্র সরবরাহ করা। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বাছাইয়ের জন্য গড়ে উঠে যুবশিবির বা ইউথ ক্যাম্প। এই ইউথ ক্যাম্প থেকে মুক্তি বাহিনীর জন্য যেমন যুবক ও ছাত্রদের বাছাই করা হতো। তেমনি বিএলএফ এর সদস্যদেরও বাছাই করতো হাইকমান্ডের কর্তৃত্ব¡াধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্র এবং যুব নেতারা। বিএলএফ এর সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র সরবরাহ করতো “আইবি” বা “র”। যুদ্ধের কৌশল, বাংলাদেশে প্রবেশ এবং নিয়ন্ত্রণ করতেন বিএলএফ এর হাইকমান্ড। অপর দিকে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ, বাংলাদেশে প্রবেশ তত্ত্বাবধান করতেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা। সার্বিক সহযোগিতা ছিল বিএসএফ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর।

সেনাবাহিনীর যে সকল ব্যাটেলিয়ন পূর্ব থেকে ছিল, তাঁদের সাথে আরো যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেনাবাহিনীর নিয়মিত বাহিনীতে রিক্রুট করা হতো। সেনাবাহিনীতে নিয়মিত সদস্য হিসেবে যারা যোগ দিতেন, তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে গণ্য হতেন। বেতানভাতাদি সেনাবাহিনী আদলে পেতেন। কিন্তু তার বাইরে যে সকল হাজার হাজার যুবক দেশের অভ্যন্তরে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে প্রবেশ করেছেন তারা সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্যদের বদলে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা বা গেরিলা যোদ্ধা বা এফএফ হিসেবে পরিচিতি পান। তারা দেশের জনগণের সাথে মিশে বিভিন্ন অপারেশন অংশ নিতেন। দেশের অভ্যন্তরে জনগণের আশ্রয়ে থেকে তারা এই সকল যুদ্ধে অংশ নিতেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক জনগণের সাথে তাঁদের এক ধরনের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। জনগণের সাথে মিশে জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতায় এরাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল প্রাণ। মুক্তিযোদ্ধারা হয়ে উঠে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে এমন রাজনৈতিক দলসমূহের সক্রিয় কর্মী অথবা সাধারণ মানুষ অথবা আত্মীস্বজনদের বাড়িতে তারা আশ্রয় নিত। এই আশ্রয় অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ন্যাপ (উভয় অংশ) এবং সিপিবি লোকেরা ব্যবস্থ করে দিতো। মুসলিম লীগের অনেক সমর্থকও মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছে। সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলো আওয়ামী লীগের সংগঠক ও সমর্থকরা। বাংলাদেশের ব্যাপক জনগণ বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ভূমিহীন কৃষক, গরীব কৃষক এবং অবস্থাসম্পন্ন পরিবারগুলিতেই এই মুক্তিবাহিনী আশ্রয় নিতেন। বিএলএফএর সদস্যরাও এই ভাবে জনগণ বা কৃষকদের বাড়ীতে আশ্রয় নিতেন। গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ এবং প্রবেশের প্রাথমিক কাজ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃত্ব করলেও বাংলাদেশে অভ্যন্তরে প্রবেশের পর তাঁরা স্বাধীন ভাবে তাঁদের অস্ত্র সংরক্ষণ, অস্ত্রসংগ্রহ ও যুদ্ধ করতেন। খাদ্য এবং আশ্রয় তাদের মতো করে ব্যবস্থা করে নিতেন। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঝুঁকি নিয়ে সহযোগিতা করতেন। ফলে জনগণের সম্পর্কিত একটি স্থানীয় নেতৃত্ব গড়ে উঠে। বিএলএফ সদস্যরা প্রবেশ করলেও তারা একইভাবে স্থানীয় জনগণের বাড়ীতে আশ্রয় নিত এবং জনগণই খাদ্যের ব্যবস্থা করতেন। বিএলএফ এর সদস্যরা একটি রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হতেন। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি অনুগত ছিল। বিএলএফ ছিল বাঙালি জাতিয়তাবাদের আন্দোলনের থেকে গড়ে উঠা রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে সুশৃক্সক্ষল বাহিনী। আর এফএফ এর সাধারণ যুবকদের অংশগ্রহণ ছিল, যা সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ করলেও তাঁদের রাজনৈতিক সচেতনতা কোন রজনৈতিক মতাদর্শের প্রতি নিবেদিত ছিল না। যদিও বাংলাদেশ সরকার সেনাবাহিনী এবং সর্বোপরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি সাধারণ আনুগত্য ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট করে রাজনৈতিক মতাদর্শকে এরা ধারণ করতো না। ফলে অনেক বাম এবং আওয়ামী ঘরানার সাথে সংযুক্ত নয় অনেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে উঠে আসে। বিএলএফ বাংলাদেশের প্রবেশের পর অনেকে বিএলএফ এর সাথে যোগ দিয়েছে, অনেকে সহযোগিতা করেছে, অনেকে সমদূরত্বে অবস্থান করেছে। ব্যাক্তিগত কারণে বা নেতৃত্ব কারণে অথবা অন্য যে কোন কারণে হোক, অনেকের সাথে বিএলএফ এর বৈরী সম্পর্ক তৈরী হয়েছে।

এই বিএলএফ বংলাদেশে প্রবেশের পর বাংলাদেশে অভ্যন্তরে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়। শেখ মনির অনুসারীরা তাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালেও বাকীরা রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি এবং মুক্তিযুদ্ধে যাতে চিনাপন্থী এবং রুশপন্থী বামদের হাতে চলে না যায় সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখে। যেখানে বাম সংগঠন ছিল, সেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আলাদা বাহিনী গড়ে উঠে। এই বাহিনীর সমর্থক, জনসম্পৃক্ত এবং জনবলও একেবারে কম ছিল না। বিএলএফ এর সাথে সংঘর্ষে চিনপন্থীরা যেমন হত্যার শিকার হতে হয়েছে, তেমনি বিএলএফ এর সদস্যদের প্রাণ দিতে হয়েছে।
পাবনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ , সিরাজগঞ্জ , চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রংপুর , রাজশাহী নওগাঁ চাপাই নবাবগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে বিএলএফ, মুক্তিবাহিনী, চিনাপন্থী বাম এই তিন শক্তি পরস্পরে সাথে বৈরী সম্পর্ক তৈরী হয়। এই বৈরী সম্পর্ক পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পাশাপাশি নিজেদেরও জীবন দিতে হয়েছে। (এই সম্পর্ক স্বাধীনতার পরবর্তীকালে রাজনীতি নির্ধারণে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে)। ঢাকা জেলা ও মহানগরে বিএলএফ ও এফএফ অনেক অপারেশন করলেও কারো একক আধিপত্য ছিল না। চট্টগ্রাম মহানগরে মুক্তিবাহিনীর তুলনায় বিএলএফ একক আধিপত্য কায়েম করতে সক্ষম হয়। বিএলএফ এর কমান্ডে না আসার কারণে চট্টগ্রাম মহানগরে যেমন জীবনহানির ঘটনাও আছে, তেমন চট্টগ্রামের দক্ষিণাংশেও হয়েছে। চিনাপন্থীদের একটি অংশ দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করে। তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী উভয়কে শত্রু ঘোষণা করে। যুগপৎ লড়াই করার চেষ্টা করে। এই দলে তোহার অনুসারী সিরাজ সিকদারের অনুসারী, মতিন আলাউদ্দিন ও টিপু বিশ^াসরা উল্লেখযোগ্য। তবে মস্কোপন্থীরা সযতেœ সংঘর্ষ এড়িয়ে যায়। চিনাপন্থী কারো কারো বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনবাহিনীকে সমর্থনেরও অভিযোগ আছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক মেরুকরণ ভিন্ন ভিন্ন্ ভাবে প্রতিফলিত হয়। উত্তর বঙ্গ এবং দক্ষিণ বঙ্গে চিনাপন্থী বামপন্থীদের একটি অংশ পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গ্রুপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কোথাও এই যুদ্ধ ত্রিমুখী এবং চুতর্মুখী লড়াইয়ের রূপ নেয়। ফলে পুর্বাঞ্চলের যুদ্ধের সাথে কেন্দ্রীয় অঞ্চলে যেমন ভিন্ন ছিল তেমনি দক্ষিণাঞ্চলে এবং উত্তারাঞ্চলেও ভিন্ন রূপে দেখা দেয়। এটাই ছিল বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক চিত্র।

প্রতিরোধ যুদ্ধ করতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেক বাহিনী গড়ে উঠে, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল টাঙ্গাইলে কাদেরিয়া বাহিনী, সংখ্যায় এবং সুশৃক্সক্ষল বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বের বাইরে এই বাহিনী ছিল বিএলএফ এর পরে সবচেয়ে বড় বাহিনী। তার প্রতিপক্ষ হিসেবে টাঙ্গাইলে বাতেন বাহিনী গড়ে উঠে। এ ছাড়া আফছার বাহিনী, আকবর বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী জয়নাল বাহিনীসহ অনেক বাহিনী গড়ে উঠে। ভারতে আশ্রয় না নিয়ে শুধু জনতার মধ্য থেকে গড়ে উঠা এই সকল বাহিনী সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য না থাকায় পরবর্তীকালে ক্ষমতাসীনদের ও বিরোধীদলের সরবরাহ লাইন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের পাশপাশি সাধারণ কৃষক এবং গরীব কৃষকদের বাড়িতেও আশ্রয় নিত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট রাজকার বাহিনী, শান্তি কমিটি এবং সেনাবাহিনীর সরাসরি আক্রমণের শিকার হতেন এই আশ্রয়য়দাতারা। কারণ তাঁদের স্থানান্তর হওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। তাঁদের ঘরবাড়ি জ¦ালিয়ে দিত। আগুনে নিজেরা আত্মরক্ষা করতে পারলেও তাদেরর জীবিকার অবলম্বন কৃষি, গবাদি পশু ও হাস-মুরগী হয় আগুনে পুড়ে যেত নতুবা পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর লুটের শিকার হতো। গ্রামের প্রায় কর্মক্ষম পুরুষদের ধরে নিয়ে যেত। হয় হত্য করতো, নতুবা মুক্তিপণ আদায় করতো এবং অনেককে জোর করে রাজাকার বাহিনীতে ভর্তি হতে বাধ্য করা হত। পাকিস্তান সেনাবহিনী ও রাজকার কর্তৃক আশ্রয়দাতা ও সাধারণ পরিবারের নারীদের ধর্ষণ এবং জোর করে বিয়ে করা, অর্থ আদায় প্রভৃতি অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। সংখ্যালঘুদের বিরাট অংশ ভারতে আশ্রয় নিলেও বাকীদের উপর নির্যাতন মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশী। তবে এর কিছু ব্যতিক্রমও ছিল। এতো প্রতিকুলতার মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধ অব্যাহভাবে চলতে থাকে। দিন দিন ক্রমান্বয়ে শক্তি অর্জন করে বাংলার বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল মুক্তিবাহিনী ও বিএলএফ বা মুজিববাহিনী আধিপত্য কায়েম করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে সেনাবাহিনীকে পুনর্বিন্যাস করা হয়। মেজর পদবীর অফিসাররা সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। এর মধে একটি সেক্টর ছিল নৌ কামান্ডোভিত্তিক। তিনজন সিনিয়র সেনকর্মকর্তার কমান্ডে তিনটি ব্রিগেড গঠন করা হয়। যেগুলি কমান্ডারদের নমের প্রথম অংশ অনুসারে নামকরণ করা হয়। একটি “জেড” ফোর্স। কমান্ডার ছিলেন জিয়াউর রহমান, একটি “এস” ফোর্স কমান্ডার ছিলেন সফিউল্লøাহ এবং আরেকটি “কে” ফোর্স খালেদ মোশারফ। ব্রিগেডগুলির মূল দায়িত্ব ছিল চিরায়ত যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সাথে সরাসরি লড়াই করে মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলা। আর সেক্টরভিত্তিক সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব ছিল দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যুদ্ধকে সমন্বয় করে ধীরে ধীরে মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলা। এর সাথে বিমান বাহিনীর কিছু অফিসার ও এয়ারম্যান নিয়ে স্বল্প ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান বাহিনী গড়ে তোলা হয়, ভারতের প্রদত্ত বিমান দিয়ে। নৌবাহিনী সেভাবে গড়ে না উঠলেও নৌ কমান্ডের মাধ্যমে কিছু সফল অপারেশনও পরিচালিত হয়। তবে রংপুরের রৌমারিসহ কিছু অঞ্চলে মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলে আমাদের সেনাবাহিনী দক্ষতার পরচিয় দেয়। সিলেটের রাধানগরে ভারতীয় সেনাবহিনীর ব্যর্থতা সত্ত্বেও বাংলদেশ সেনাবাহনীর তরুণ অফিসার সফলতার সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরাজিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। লে. নুরন্নবীকে ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক খেতাবের প্রস্তাব করলেও বাংলাদেশ সরকরের সম্মতি না দেয়ায় এই খেতাব বিবেচিত হয়নি। (আগামি রবিবার সমাপ্য)

নাওজিশ মাহমুদ রাজনীতি বিশ্লেষক ও কলামিস্ট।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট