চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফুটপাতেই একুরিয়ামের ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জানুয়ারি, ২০২০ | ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সৌন্দর্যবর্ধনের কথা বলে নগরীর জামালখানে ওয়ার্ডে ফুটপাত দখল করে চলছে একুরিয়ামের ব্যবসা। ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের সহযোগিতায় নালার উপর নগরীর কেসিদে সড়কের একজন পেশাদার অ্যাকুরিয়াম ব্যবসায়ী এ প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। সুভাশীষ পোদ্দার নামে ওই ব্যবসায়ীর সিনেমা প্যালেস এলাকায় অ্যাকোয়া জোন নামে একটি দোকান রয়েছে। অ্যাকুরিয়াম দেখতে আসা লোকজনের ভীড়ে অনেক সময় সড়কে যানজট লেগে যায় বৈকি।

সরেজমিন পরিদর্শনে পিডিবি অফিসার্স কোয়ার্টারের প্রথম ফটক থেকে শেষ ফটক পর্যন্ত আট ফুট প্রস্থ ও ৪৫০ ফুট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট জায়গায় খোলা নালায় স্ল্যাব নির্মাণ করে সেখানে দুটি অ্যাকুরিয়ামের প্রদর্শনী কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

দুই স্থাপনাতে দুটি ৩৫ বর্গফুটের বড় অ্যাকুরিয়াম এবং চার বর্গফুটের দুটি অ্যাকুরিয়াম বসানো হয়েছে। দুই দোকানের মাঝখানে আরো একটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে একুরিয়ামের মাছের খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র বিক্রি করা হচ্ছে। এর বাইরে সাধারণ মানুষের বসার জন্য সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে। একুরিয়াম ছাড়াও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে শেঠ প্রপার্টিজের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুটপাতের উপর অ্যাকুরিয়াম দোকানের ছবি তুলতে গেলে রেগে যান উক্ত ব্যবসায়ী। অ্যাকুরিয়াম ব্যবসায়ী শুভাশীষ পোদ্দার জানান, আমি পেশায় অ্যাকুরিয়াম ব্যবসায়ী। সিনেমা প্যালেস এলাকায় আমার দোকান রয়েছে। জামালখানের ফুটপাতে তিনটি অ্যাকুরিয়ামে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তাছাড়া অ্যাকুরিয়ামগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও আমার। সেখানে একটা বড় ধরনের খরচ রয়েছে। ধরে নিতে পারেন ওটি একটি প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র। আগামী পাঁচ বছরের জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাথে আমার একটি চুক্তি সম্পাদন হয়েছে।

কাউন্সিলর শৈবাল সুমন বলেন, অ্যাকুরিয়াম দেখভাল করার জন্য সুভাশীষকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ অ্যাকুরিয়ামের নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। আমার পক্ষে এগুলো করা সম্ভব নয়। এলাকার মানুষের বিনোদন ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য অ্যাকুরিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য সাত ফুট নালার প্রশস্ততা মাত্র দুই ফুট কমিয়ে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। নালাটিতে তেমন কোনো পানির প্রবাহ নেই। তারপরও পানি প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ কাজটি করছেন। তা কর্পোরেশনের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের’ অনুমোদন নিয়ে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। সৌন্দর্যবর্ধনের কাজগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেখানে একটি বাণিজ্যিক স্টল থাকবে। এই স্টল না থাকলে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ আসবে কোথায় থেকে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট