চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মুনাফা মৎস্য চাষে

নয়নের মূলধন ৩০ হাজার থেকে বেড়ে ১৫ লাখ টাকা

আনোয়ারা শুক্রবারের প্রতিবেদন

আনোয়ারুল হক ম আনোয়ারা

২৪ জানুয়ারি, ২০২০ | ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় সফল মৎস্যজীবী হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন যুবক নয়ন। আর্থিক দৈন্যদশা কেটে এখন তিনি স্বাবলম্বী। মৎস্য চাষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে দিনাতিপাত করছেন। এলাকায় বেকার যুবকদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। তার সফলতা দেখে অনেকে মৎস্য চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া গ্রামের বাসিন্দা নয়ন দাশ (৩৭)। লেখাপড়ায় বেশিদূর এগোতে পারেনি। তার পিতা মৃত অজিত দাশ ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক। অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় সংসার চলে। নয়ন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রথম আনোয়ারা কলেজ রোডে স্টেশনারি দোকান দিয়েছিল। দোকানের মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিধি বাম। দোকানটি আগুনে পুড়ে যায়। পথে বসার উপক্রম হয় নয়নের। এতে হতাশ হলেও নয়ন হাল ছাড়েনি। টাকার অভাবে নতুন করে দোকান করা সম্ভব হয়নি। ভিন্ন পেশা বেছে নেয় নয়ন। ৩০ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে নিজ গ্রামে একটি পুকুরে মাছচাষ শুরু করেন। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার চাষকৃত মৎস্য পুকুর। এরপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন উপজেলার মৎস্য অফিস থেকে। তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ হুমায়ন মোর্শেদের পরামর্শ পেয়ে আরো উৎসাহিত হন নয়ন। এরপর জীবনে শুধু সফলতা আর সফলতা।

মাটির ঘর ভেঙে নির্মাণ করেন পাকাঘর। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শুরু করেন নতুন সংসার জীবন। স্ত্রী, সন্তান মা, ভাইসহ এখন পরিবারের সদস্য সংখ্যা আটজন। তিনি ২০১৮ সালে উপজেলা প্রশাসন থেকে সফল মৎস্যজীবীর পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই ব্যাপারে নয়ন দাশ জানায়, সাতবছর পূর্বে একটি পুকুরে মৎস্য চাষ আরম্ভ করি। প্রথমে শখের বশে চাষ করলেও মুনাফা পেয়ে মৎস্যজীবীর স্বপ্ন দেখতে থাকি। ৩০ হাজার টাকা থেকে এখন ১৫ লাখ টাকা মূলধন হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রশিক্ষণে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি। বর্তমানে ১২টি পুকুরে মৎস্য চাষ করে যাচ্ছি। মৎস্য চাষে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি করা হবে। মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ হুমায়ন মোর্শেদ বলেন, অল্প সময়ে মৎস্য চাষে সফল হয়েছে। বিভিন্ন সময় পরামর্শ গ্রহণ করে সার্থক হয় নয়ন। নয়নের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। মৎস্য চাষে আরো ভাল করবে বলে আশা করছি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট