কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতপাড়ের লাইট হাউজ এলাকায় ৩৩ একরের সরকারি পাহাড় দখল করে গড়ে উঠা আবাসন প্রকল্পে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার। এ সময় ১৫টি মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। একই সাথে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানের সময় অবৈধভাবে ঘর তৈরির দায়ের হাতেনাতে দুজনকে আটক করেন। তারা হলেন, লাইট হাউজ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৫৫) ও একই এলাকার নুরুল আলমের ছেলে নুরুল আজিম।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার পূর্বকোণকে বলেন; লাইট হাউস সার্বিক গ্রাম পল্লী উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি. নামে একটি সমিতির লোকজন বিশাল একটি সরকারি পাহাড় দখল করে বিক্রি করে যাচ্ছে। এমনকি অনেক স্থাপনাও তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৫টি মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। একই সাথে সেখানে মাইকিং করে এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সবাইকে নিজ দায়িত্ব সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সরকারি পাহাড়টি স্থানীয় কিছু নেতা ও প্রভাবশালী লোকজন দখল করে রোহিঙ্গাদের বিক্রি করার প্রমাণও পাওয়া গেছে। এমনকি পাহাড়ি জায়গাটি প্লট আকারে তৈরি করে সেখানে রোহিঙ্গাদের কেয়ারটেকার হিসেবে নিয়োজিত করেছে। আগামী এক সপ্তাহ পর সেখানে বড় ধরনের উচ্ছেদ চালানো হবে।
এসিল্যান্ড বলেন, ওই সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলে বিভিন্নভাবে খবর পাওয়া গেছে। এমনকি মোবারাক আলী নামে এক ভূমিদস্যুর নামও উঠে এসেছে। তাদের কয়েকজনের নেতৃত্বে সরকারি পাহাড়টি প্লট আকারে বিক্রি চলছে। ইতিমধ্যে অনেকেই তাদের কাছ থেকে ক্রয় করেছে এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার পূর্বকোণকে বলেন, লাইট হাউজ এলাকায় সরকারি বিশাল পাহাড় কেটে প্লট আকারে একটি ভূমিদস্যু চক্র বিক্রিতে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে । ইতিমধ্যে তাদের সব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময় কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পূর্বকোণ/এম