চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাঁশখালীতে দুই গরুচোর আটক
বাঁশখালীতে দুই গরুচোর আটক

গভীর রাতেই চবির ২০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আটক

চবি সংবাদদাতা

২৩ জানুয়ারি, ২০২০ | ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এখনো পর্যন্ত আটককৃতদের নাম কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে এদের মধ্যে সিএফসির ১২ জন ও বিজয়ের ৮ নেতা-কর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘প্রক্টরের গাড়ি ভেঙেছে, পুলিশের গাড়ি ভেঙেছে, অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া দুই হল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এর আগে বুধবার বিকেলে নিজেদের তিন কর্মীকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় অবরোধের ডাক দেয় ছাত্রলীগের উপপক্ষ ‘বিজয়’।

এ ঘটনার জেরে ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলের সামনে সংঘর্ষে জড়ান বিজয় ও সিএফসির নেতা-কর্মীরা। মারামারিতে জড়িত সিএফসি ও বিজয় পক্ষই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। পুলিশ ও ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল চারটার দিকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সিএফসির এক কর্মীকে মারধর করেন বিজয়ের কর্মীরা।

এর জের ধরে বিকেল পাঁচটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলে গিয়ে বিজয়ের দুই কর্মীকে মারধর ও একজনকে কুপিয়ে জখম করেন সিএফসির নেতা-কর্মীরা। ঘটনা জানাজানি হলে বিজয়ের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল এবং সিএফসির নেতা-কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে জড়ো হন। তাদের হাতে লোহার রড, লাঠিসোঁটা ও রামদা দেখা যায়। এ সময় দুই উপপক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ এসে তাদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালিয়ে লোহার রড ও কাচের বোতল নিয়ে যায়।

 

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট