চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ

নিজস্ব সংবাদদাতা হ বাঁশখালী

২৩ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলা পর্যায়ে আন্তঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হয়েও চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে পরবর্তী ধাপে প্রতিযোগীরা অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কার্যালয়ের পত্র প্রেরণের গাফিলতির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ই-মেইলে এবং পত্রযোগে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ঋষিকেশ শীল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম পিটিআই ট্রেনিং সেন্টার মাঠে এবং হলরুমে জেলা

পর্যায়ের বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪টি ইভেন্টের মধ্যে (খ গ্রুপে) অভিভাবকরা খবর পেয়ে মাত্র ৩টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে প্রতিযোগীতায় বালক নৃত্য ১ম, কবিতা আবৃত্তিতে ২য় ও একক অভিনয়ে ৩য় হয়েছেন। জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত ১৩জন বালক ও ১৪জন বালিকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পারেনি।
শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, আন্তঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় বাঁশখালী উপজেলার ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিজয়ী ক্লাস্টার পর্যায়, ইউনিয়ন পর্যায় এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৯ জানুয়ারী ১ম স্থান অধিকার করেন। উপজেলা হতে ৩০জন বিজয়ী বালক/বালিকা জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করার জন্য চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়। ইভেন্টের মধ্যে ছিল বালক/বালিকার সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন, নৃত্য, পল্লীগীতি, লোকগীতি, দেশত্ববোধক গান, একক অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতা, শ্রেষ্ঠ কাব শিশু। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বালক/বালিকার মধ্যে ইভেন্ট ছিল, ১০০মিটার দৌড়, দীর্ঘ লাফ, উচ্চ লাফ, ভারসাম্য দৌড়, রিলে রেইস, ক্রিকেট বল নিক্ষেপ, অংক দৌড় ছিল।

বালক (খ) গ্রুপে প্রতিযোগী অংশ নেয়া বাণীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া দেবর্ষী মিত্র চৌধুরী পিতা প্রদীপ মিত্র চৌধুরী বলেন, লোকমুখে ও জেলার এক সাংস্কৃতি ব্যক্তির মুঠোফোনে খবর পেয়ে জেলা পর্যায়ে আমার ছেলেকে নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি। একক অভিনয়ে ২য় ও কবিতা আবৃত্তি ৩য় স্থান অধিকারী পালেগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র পরমাশীষ দাশের পিতা দেবাশীষ দাশ বলেন, ভোর সকালে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ছেলেকে জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছে এবং বাঁশখালীর শিক্ষার্থীর জন্য সম্মান বয়ে এনেছে।

নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, বালকদের নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংকন দেব অভি অংশ নিয়ে জেলা পর্যায়ে ১ম হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে অংশ নিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তারা কি কারণে জেলা পর্যায়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি তা আমার জানা নেই। অংশগ্রহণ না করার তো কথা নয়।
বাঁশখালীর প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সদস্য সালা উদ্দিন মোহাম্মদ কামাল বলেন, উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী বালক বালিকারা জেলাপর্যায়ে অংশ না করার ঘটনা দুঃখজনক। এটা শিক্ষা অফিসের গাফেলতি।

চট্টগ্রাম জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ঋষিকেশ শীল বলেন, বাঁশখালীর উপজেলা পর্যায়ে বালক/বালিকারা ক্রীড়া সংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় অংশ না নেয়ার বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিস আমলে নিয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ই-মেইলে এবং পত্রযোগে শোকজ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট