চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

জাতিসংঘ দূতকে রোহিঙ্গা নেতা মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে চাই

নিজস্ব সংবাদদাতা, উখিয়া

২৩ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ও রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিব উল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত ২১ জানুয়ারি দুপুরে কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের মাস্টার মুহিব উল্লাহর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মিডিয়া কর্মীদের এড়িয়ে যান ইয়াং হি লি।

বৈঠকে ইয়াং হি লি রোহিঙ্গাদের সার্বিক বিষয়ে জানতে চান। রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ রোহিঙ্গাদের সার্বিক বিষয়ে তাকে অবগত করেন। মুহিব উল্লাহ বলেন, সামনে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাই। এখানে আমাদের সংস্কৃতি, পরিবেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে আমাদের ছেলে মেয়েরা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটসের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব, অবাধে চলাচল, সহায় সম্পত্তি ফেরত, স্কুল-কলেজে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া এসব বিষয়ে মিয়ানমার সামরিক সরকার আমাদের নিশ্চয়তা দিলে রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি বলে ইয়াং হি লি কে অবহিত করেন। এর পর ক্যাম্প লম্বাশিয়া ২ ইস্ট এ বসবাসরত ৪০ জন রোহিঙ্গা খৃষ্টানদের সাথে কথা বলেন। তারাও একই দাবি উত্থাপন করেন। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন রোহিঙ্গা নেতা জাফর আলমের বাড়িতে শান্তি মহিলা কমিটির ব্যানারে ১৬ জন নারী ও ২৪ জন পুরুষের সাথে কথা বলেন এবং ক্যাম্পের পরিস্থিতি জানতে চান। তারা বলেন, ক্যাম্পে বসবাস করা আমাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আমরা যাতে দ্রুত মিয়ানমারে ফেরৎ যেতে পারি তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এর আগে সোমবার ইয়াং হি লি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকার শূন্যরেখায় অবস্থিত ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রসঙ্গত তিনদিনের সফরে রবিবার বিকেলে কক্সবাজার আসেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা তার এ সফরের মূল উদ্দেশ্যে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট