গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ হাই স্কুল মাঠে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলায় ১০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। গতকাল (সোমবার) বেলা ১টার দিকে কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এর আদালতে পুলিশ এ চার্জশিট জমা দেয়। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এদিকে আত্মসমর্পণের আগে ১০২ জন ইয়াবাকারবারীর সাথে রাষ্ট্রের দেওয়া কথা অনুযায়ী তাদের জেল থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করার কথা থাকলেও এখনো সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোন সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় জেলে থাকা ১০১ জন ইয়াবাকারবারীদের স্বজনেরা উদ্বিগ্ন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এ.বি.এম এস দোহা জানান, ‘গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ হাই স্কুল মাঠে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছিলো। তাদের মধ্যে কারাগারে থাকা ১০১ জনের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা ২টি মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে। জেল হাজতে থাকাকালীন সময়ে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার ফজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রাসেলের মৃত্যু হওয়ায় তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬/১ এর (১০) ধারায় এবং অস্ত্র আইনে পরস্পর যোগসাজশ করে নিজ নিজ দায়িত্বে অবৈধভাবে ইয়াবা ও অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে। অনুষ্ঠান শেষে ওই দিনই দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি ১০০ জনই টেকনাফের বাসিন্দা।