চট্টগ্রাম বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দেশীয় ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়

আহসানুল হক চৌধুরী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন

১৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

বন্দর দিন দিন তার কাজের পরিধি বাড়াচ্ছে। তবে ট্রান্সশিপমেন্টের বেলায় দেখতে হবে যেন দেশীয় আমদানিকারকেরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। অর্থাৎ ট্রান্সশিপমেন্টের জাহাজ যদি প্রয়োরিটি পায় একইভাবে দেশীয় আমদানিকারকদের জাহাজকেও প্রায়োরিটি দিতে হবে। ট্রান্সশিপমেন্টে আরেটি বিষয় বিবেচনা করা জরুরি। সেটি হলো কার্গোগুলো বা কন্টেইনারগুলো জাহাজ থেকে নামিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্লটে বা জায়গায় রাখতে হয় বন্দরের মধ্যেই। এই পরিমাণ জায়গা বন্দরের আছে কিনা। বর্তমানে যতটুকু যায়গা আছে তাতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। তাই আমি মনে করি বন্দরের খুব দ্রুত কিছু জায়গা সম্প্রসারণ করা দরকার। ইয়ার্ড বৃদ্ধি করা দরকার। যাতে ট্রানজিট কার্গোগুলা একোমোডেট করতে পারে। ট্রান্সশিপমেন্টে বন্দরের প্রাধান সীমাবদ্ধতার মধ্যে এগুলো অন্যতম। তাই খুব দ্রুত এসবের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এবছরের মধ্যে শুরু হবে বলে শুনেছি। সেখানে চারটি জাহাজ বার্থিং-এর ব্যবস্থাও থাকবে। এই টার্মিনালের কাজ দ্রুত শেষ করে চালু করা গেলে জাহাজ জট কমে আসবে এবং ট্রান্সশিপমেন্টেও আর সমস্যা থাকার কথা না।

চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য নামানোর মূল উদ্দেশ্য হলো বাই রোডে তাদের পণ্য ভারতে নিয়ে যাওয়া। এতে তাদের পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে। কিন্তু আমাদের সড়ককের সেই লোড নেওয়ার জন্য আরেটু প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। সরকার এই বিষয়ে মনোযোগি হবেন আশা করি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট