চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নিমিষেই পরিবারের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ

ইমাম হোসাইন রাজু

১৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:০১ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিন থেকেই কর্মরত ছিলেন বেসরকারি একটি ব্যাংকে। তবে ইচ্ছে ছিল নিজেই কিছু করার। সে ইচ্ছেও পূরণ হয়েছে। মাত্র চার বছরেই হয়েছেন ব্যবসায়ী। কিন্তু সব ইচ্ছেই যেন এক নিমিষেই শেষ হল তার। তিনি ওমর ফারুক। গতকাল শুক্রবার পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট এলাকায় বাস দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
ওমর ফারুক নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার মৃত কোরবান আলীর ছেলে। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে ওমর ফারুক দ্বিতীয়। তার স্ত্রী ও চার বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সকলেই নগরীর পাঠানটুলী এলাকায় বসবাস করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওমর ফারুক ঢাকা ব্যাংকের দীর্ঘদিন থেকেই কর্মরত ছিলেন। তবে প্রায় পাঁচ বছর আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর থেকেই নগরীর আগ্রাবাদ পাঠানটুলী এলাকায় নিজ নামেই (হোটেল ফারুক) খুলেন খাবারের দোকান। যা দিয়ে পরিবারের হালও ধরেন তিনি। তবে দুর্ঘটনায় যেন ভেঙে গেল ফারুকের পরিবারের সে স্বপ্নও। ওমর ফারুকের চাচাতো ভাই মো. শফিক জানায়, নিজ গ্রাম নোয়াখালী হলেও তাদের বসবাস পাঠানটুলী এলাকায়। বেশ কয়েক বছর আগে ফারুকের পিতা মারা যায়। এরপর থেকেই ফারুক নিজেই পরিবারের দেখাশোনা করে আসছেন। আর বড় ভাই ফারুকের সাথে শফিকও হোটেল ব্যবসায় জড়িত।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকালে বান্দরবান এলাকায় ব্যক্তিগত কাজে যাচ্ছিলেন ওমর ফারুক। বিকেলেই ফেরার কথাও ছিল । কিন্তু পটিয়া দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।
নিহতের ভাগ্নে গোলাম কবির লিয়ন পূর্বকোণকে বলেন, ‘মামার ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল নিজে ব্যবসা করবেন। তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। কিন্তু অসময়ে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন তা কখনোই ভাবিনি’।
এদিকে গতকাল রাতেই নগরীর পাঠানটুলীর নিজ এলাকায় জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট