চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম হেড কোয়ার্টার সিআরবি’র কাঠের বাংলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করলে, দেশ তাকে ভুলে যায় না।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা কিভাবে যুদ্ধ করেছে। তাঁর ছবিসহ বর্ণনা যদি ওই ঐতিহাসিক স্থানে তুলে ধরা হয় তাহলে, মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা গর্বিত হবে ইতিহাস জেনে। বুঝতে পারবে দেশের জন্য যদি কেউ কাজ করে তাহলে দেশ তাকে ভুলে যাবে না।’ গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় রেলওয়ে

পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরের কাঠের বাংলো পরিদর্শনকালে পূর্বকোণের প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ছিল, যুদ্ধের স্মৃতিবহ সকল ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণ করা। সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ করা এবং প্রয়োজনে জাদুঘর করা। যাতে করে নতুন প্রজন্ম যুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি ওই স্থানের সম্পর্কে জানতে পারে। আর এ সিদ্ধান্ত থেকেই চট্টগ্রামের রেলওয়ের সিআরবি’র এই কাঠের বাংলোকে আমরা সংরক্ষণ করতে উদ্যোগ নিচ্ছি। কারণ, এই কাঠের বাংলোটি ছিল তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের হেডকোয়ার্টার। যেখানে সংরক্ষণ রাখার চেষ্টা করবো এই স্থান থেকে যুদ্ধ করা প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার ছবিসহ তার পরিচিতি। পাশাপাশি তুলে ধরার চেষ্টা করবো, যুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা কীভাবে সহযোগিতা করে গেছেন তার ইতিহাসও।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের এই কাঠের বাংলোর ইতিহাস সম্পর্কে তিনি বলেন,‘৭১ সালে এটা ছিল আমার মুক্তিযদ্ধের হেডকোয়ার্টার। এখান থেকেই আমি ২৪ মার্চ এবং ২৫ মার্চ যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ পাঠাই। তখন এই কাঠের বাংলোকেই হেডকোয়ার্টার করা হয়। ২৫-২৭ মার্চ এখান থেকেই আমরা যুদ্ধ পরিচালনা করি। আমাদের মূল পরিকল্পনা ছিল, শহরটা দখল করা। এরপর ক্যান্টনমেন্টে যে বাঙালি সৈন্যরা রয়েছে তাদেরকে আমাদের সাথে যোগ করা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। কারণ, পাকিস্তানিরা নেভাল কমিনিউকেশন যে জায়গাটি যেটা ব্রিটিশ আমলে অফিসার্স ক্লাব ছিলো সেখানে তাদের বহু কমান্ডো রেখেছিল। যা আমরা জানতাম না। একসময় পাকিস্তানিরা আমাদের সৈন্যদের ওপর হামলা চালায়। বহু মুক্তিযোদ্ধা এসময় হতাহত হন। শেষ পর্যন্ত এই পাড়ে আমরা বেশিদিন থাকতে পারিনি।’

ঐতিহাসিক কাঠের বাংলো পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য রণজীত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান (এমপি), ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ (এমপি), এস এম শাহ্জাদা (এমপি) ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট