চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান

বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে বসতবাড়ি উচ্ছেদ বন্ধের দাবি বাঁশখালীতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী

১৮ জানুয়ারি, ২০২০ | ৩:১৬ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ী ইউনিয়নে গোবিন্দখাল খনন ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে বসতবাড়ি উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার সহকারে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবার। ১৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মাঠ ও প্রধান সড়কে নারী পুরুষরা মানববন্ধন করেছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিকাল ৩টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

মানববন্ধনকালে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, পুঁইছড়ী ইউনিয়ন হতে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ছনুয়া খাল ও গোবিন্দ খালের পুঁইছড়ী অংশের দরিদ্র, ছিন্নমূল, জনসাধারণকে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। শত বছরের পুরাতন বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে খাল খনন ও বেড়িবাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এ খালের পার্শ্বে ব্যক্তি মালিকানাধিন জমির মালিকদেরকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে লাল পতাকার খুঁটি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ ধরণের আচরণ মেনে নেয়া যাবে না। গত কিছুদিন ধরে স্কেবেটর দিয়ে ভেঙে শতাধিক বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীভাঙা-বাস্তুহারাদের পুনবার্সন করছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে বসতভিটা উচ্ছেদ করছেন। আমাদের বেঁচে থাকার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ক্ষতিগ্রস্ত ছৈয়দ আজম, মোহাম্মদ আলমগীর, তাহেরা বেগম, কমল জলদাস, নুরতাজ বেগম বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে অবৈধভাবে বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা চলবে না। অনেক পরিবার খাস দখলীয় জমি নিয়ে ৫০ বছর ধরে বসবাস করে আসছিল। অন্যায়ভাবে ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

পুঁইছড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলতানুল গণি চৌধুরী মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বলেন, গরিব, অসহায় মানুষদেরকে পুর্নবাসন না করে শত বছরের বসবাসকারী পরিবারদের বসতবাড়ি গুটিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বাঁশখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, পুঁইছড়ী এলাকায় খাল ও বেড়ীবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, পুঁইছড়ী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বসতবাড়ি উচ্ছেদের বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৬ মাস পূর্বে প্রসাশনকে জানানোর কথা।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট