চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আধুনিক হাসপাতাল হবে সিআরবি হাসপাতালসংলগ্ন অব্যবহৃত জায়গায়

অনলাইন ডেস্ক

১৬ জানুয়ারি, ২০২০ | ৬:১৮ অপরাহ্ণ

‘চট্টগ্রাম সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতাল’ সংলগ্ন অব্যবহৃত জমির উপর একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি)’র আওতায় ৫’শ বেডের বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং ১’শ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হবে।  এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এন্ড লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

‘গত ২০১৩ সালের ১৪ আগষ্ট সিসিইএ সভায় চট্টগ্রাম সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যবহৃত জমির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ হতে প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ১০০ সিট বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ স্থাপনে অনুমোদনের জন্য ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই তারিখের সিসিইএ’র সভায় উপস্থাপন করা হয়।

পরে বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত বিষয়ে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক পূর্ণাঙ্গ সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করার জন্য সুপারিশ করা হয় এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং টিইসি’র সুপারিশমতে পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বেসরকারি অংশীদার ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এন্ড কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সদয় বিবেচনা ও পুনঃঅনুমোদনের উপস্থাপন করা হবে।

এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পরিবেশের উপর যে মৃদু প্রভাব পড়বে তা মূল্যায়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (ইএমপি) দাখিল করেছে।

প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রস্তাবিত অবকাঠামোর ডিজাইন, নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে ৫০ বছর মেয়াদি চুক্তি সম্পাদন করবে। ৫০ বছর পর বেসরকারি অংশীদার পিপিপি চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নকৃত সাইট, ফিকচার্স, ফিটিংস ও যন্ত্রপাতিসহ অবকাঠামো বাংলাদেশ রেলওয়েকে হস্তান্তর করবে।

এছাড়া এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ও তৎপরবর্তী মেরামত সংরক্ষণ ও পরিচালনায় ব্যয় হবে প্রায় ৯৮৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে উক্ত অর্থ সংস্থান করতে হবে যা রেলওয়ের বাজেটের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ফলে প্রজেক্ট কোম্পানি বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে আপফ্রন্ট প্রিমিয়াম বাবদ পাঁচ কোটি টাকা প্রদান করবে। এছাড়া প্রজেক্ট কোম্পানি ষষ্ঠ বৎসর থেকে প্রতি বৎসর এক কোটি ৫০ লাখ টাকা হারে বাংলাদেশ রেলওয়েকে লিজ মূল্য প্রদান করবে। যা প্রতি তিন বৎসর অন্তর অন্তর ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হবে।

এছাড়া, প্রজেক্ট কোম্পানি চতুর্থ ও পঞ্চম বৎসর বাংলাদেশ রেলওয়েকে ৫ লাখ টাকা হারে লিজ মূল্য পরিশোধ করবে। প্রথম তিন বৎসর প্রজেক্ট কোম্পানি হাসপাতালের প্রথম ফেজ নির্মাণ করবে বিধায় প্রথম তিন বৎসরের মূল্য পরিশোধের বিধান রাখা হয়নি।

 

 

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট