চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

প্রতারক ‘জ্বিনের বাদশা’ নুরুল আমিন গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া

১৯ মে, ২০১৯ | ২:১৫ পূর্বাহ্ণ

জ্বিনের বাদশা নামে পরিচিত নুরুল আমিন (৪৫) কে গত শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। সে সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা এলাকার মৃত আমির হোসেনর পুত্র। দীর্ঘদিন ধরে সে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কের বিভিন্ন পরিবহনে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে অভিনব কায়দায় পকেট হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১২ মে পটিয়া থানা তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জ্বিনের বাদশা পরিচিত নুরুল আমিন বেশ কিছুদিন ধরে পটিয়া পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ছিদ্দিকীয়া আবাসিক এলাকায় থাকত। জ্বিনের বাদশা আমিন বিভিন্ন মহিলা ও পুরুষের কাছ থেকে স্বর্ণ ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় স্থানীয় কাউন্সিলর গোফরান রানা প্রথমে তাকে আটক করে পটিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে পাওনাদারদের টাকা ও স্বর্ণ বুঝিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করায় তাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। এদিকে, উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসী আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী মোছাম্মৎ ছেনোয়ারা বেগমের (৩৬) কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণসহ প্রায় ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন সুরাহা করতে পারেনি। জ্বিনের বাদশার খোঁজে সর্বস্ব হারিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী অনেকটা পাগল। শনিবার দুপুরে প্রবাসীর এক আত্মীয় জ্বিনের বাদশাকে চিনতে পেরে চন্দনাইশ জেলা পরিষদ মার্কেট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করে। পরে পটিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদে জ্বিনের বাদশা আমিন স্বীকার করেছে সে একজন পকেটমার। জ্বিনের বাদশা নামে তাকে কেউ কেউ ডাকে। তার প্রকৃত নাম চোর নুরুল আমিন। সে লক্ষ্মী মূর্তি দিয়ে প্রবাসী স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। জ্বিনের বাদশাকে থানায় আনা হলে সে নিজেকে পকেটমার দাবি করেন। পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাদিম মাহমুদের পকেট থেকে টাকা নেওয়ার একটি দৃশ্য দেখান। কিভাবে গাড়িতে ওঠে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেন।
পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাদিম মাহমুদ বলেন, জ্বিনের বাদশা নুরুল আমিনকে আটকের পর পটিয়া থানায় আনা হলে সে নিজেকে পকেটমার হিসেবে দাবি করেন। পকেটমার আমিন ছাড়াও চন্দনাইশ এলাকার আলমগীর ও পটিয়ার বুগাইয়্যা নামের আরো একজন রয়েছে। তারা চট্টগ্রাম-কক্সাবাজার আরকান মহা সড়কের বিভিন্ন পরিবহন ওঠে যাত্রীদের কাছ থেকে নানা কৌশলে দুই আঙ্গুলে টাকা নেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট