কক্সবাজারের পেকুয়া ও টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে মালয়েশিয়াগামী ৮৪ জন রোহিঙ্গাকে যৌথভাবে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্টগার্ড। গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) গভীর রাতে পৃথক সময়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
পেকুয়া উপকূলীয় এলাকা করিমদাদ মিয়ার জেটিঘাট থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৬৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, কোস্ট গার্ড সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ বচি এলাকা হতে ৫ মানব পাচারকারী সদস্যসহ ১৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। নৌকাযোগে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতিকালে তাদের উদ্ধার করা হয়।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, শুক্রবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে করিমদাদ মিয়ার জেটিঘাট থেকে একদল রোহিঙ্গা আটক করে পুলিশ। স্থানীয় দালালচক্রের একটি সিন্ডিকেট আটক রোহিঙ্গাদের মালয়িেশয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই জেটিঘাটে নিয়ে আসে।
রোহিঙ্গা বোটের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য বজল আহমদের ছেলে আবদুল গণি ও মো. মনছুরসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বোটটি ভাড়া করে। আরো কিছুদূর যাওয়ার পর তারা কোথায় যাবে জানতে চাইলে ওই বোটে থাকা মনছুর আলম বলেন, আমরা সবাই মালয়েশিয়ায় যাব। আমি তখন স্থানীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও আ.লীগ সভাপতি তোফাজ্জল করিমের সাথে আলাপ করে বোটটি জেটিঘাটে নিয়ে আসি।
ওসি জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় একটি দালাল সিন্ডিকেট নিয়মিত রোহিঙ্গা পাচার করে আসছে। কিন্তু তথ্যগত প্রমাণের অভাবে তারা পার পেয়ে যায়। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের তথ্যানুযায়ী দালাল সিন্ডিকেটটির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।